ঢাকা, সোমবার   ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

বিশ্বে আলোচিত কে এই সোলাইমানি?

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:৩২, ৩ জানুয়ারি ২০২০ | আপডেট: ১১:৫০, ৩ জানুয়ারি ২০২০

ইরাকের রাজধানী বাগদাদে মার্কিন বিমান হামলায় ইরানের বিপ্লবী গার্ডস বাহিনীর এলিট কুদস ফোর্সের কমান্ডার মেজর জেনারেল কাসেম সোলাইমানি নিহত হয়েছেন।

ইরানি সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্যক্তিদের মধ্যে তিনি একজন। ২০১৮ সালে ইরানপোল ও মেরিল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয় একটি জরিপ প্রকাশ করেছে, যেখানে ইরানি প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফের চেয়েও তার জনপ্রিয়তা বেশি দেখা গেছে।

নিজ দেশে ভক্তদের কাছে তার পরিচিতি হাজি কাসেম নামে। আর শুধু মধ্যপ্রাচ্য নয়, পুরো সমরজগতে এখন বিশেষ মনোযোগে রয়েছেন তিনি।

ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসি’র একজন কমান্ডার সোলাইমানি। তবে অলিখিতভাবে তার পদমর্যাদা দেশটির যে কোনও সামরিক কর্মকর্তার ওপরে। রেভল্যুশনারি গার্ডের ‘কুদস্ ফোর্স’ তার নিয়ন্ত্রণে পরিচালিত হয়।

প্রায় দুই যুগ আগে বাহিনীটি গড়ে তুলেন তিনি। অপ্রচলিত যুদ্ধের জন্য তৈরি একটা বৃহৎ ‘স্পেশাল অপারেশান ইউনিট’ বলা যায় একে। এর প্রধান কর্মক্ষেত্র এখন ইরানের বাইরে। দেশটির বৈশ্বিক উত্থানে বর্শার ফলকে পরিণত হয়েছেন কুদস ফোর্সের সদস্যরা, যাদের ব্যবহার করে মধ্যপ্রাচ্যে ইতিমধ্যে সামরিক ভারসাম্যে পরিবর্তন ঘটিয়ে ফেলেছেন হাজি কাসেম। এ তৎপরতার তাপ লাগছে পৃথিবীর অন্যত্রও; বিশেষ করে অর্থনীতিতে।

সোলাইমানি তার বাহিনীর পুরো কাজকর্মের জন্য জবাবদিহি করেন শুধু আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির কাছে। তাই ইরানিরাও ‘কুদস্ ফোর্স’-এর সংখ্যা ও সামর্থ্য নিয়ে সামান্যই ওয়াকিবহাল।

এই ‘ফোর্স’-এর সঙ্গে কাজ করছে লেবাননের হিজবুল্লাহ, ফিলিস্তিনের হামাস ও ইসলামিক জিহাদ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের ‘ফাতেমিয়ুন’ আর ‘জাইনাবিয়ুন’ নামের মিলিশিয়া গ্রুপ এবং ইয়েমেনের হুতিরা। এর বাইরে সিরিয়া-ইরাকে শিয়াদের অনেক প্রশিক্ষিত বাহিনী রয়েছে ‘কুদস ফোর্স’-এর অধীনে। রীতিমতো আন্তমহাদেশীয় চরিত্রের যোদ্ধাদল এটি। সঠিক আকার ও সদস্যসংখ্যা আঁচ করা প্রকৃতই কঠিন। ইরান এদের বলছে ‘প্রতিরোধের অক্ষশক্তি’। অন্তত ১৫-২০টি দেশে সরাসরি কিংবা সীমিত পরিসরের ইসরায়েল, যুক্তরাষ্ট্র, সৌদি আরব, আরব আমিরাতসহ বিভিন্ন দেশের স্বার্থের বিপরীতে ছদ্মযুদ্ধে লিপ্ত এরা।

যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের সবচেয়ে বড় শত্রু ভাবা হয় তাকে। যুক্তরাষ্ট্রের বনেদি জার্নাল ‘ফরেন পলেসি’ এ বছর বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন পেশার গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের যে তালিকা করেছে, তাতে সমর খাতে জেনারেল কাসেম সোলাইমানিকে প্রথম স্থানে রেখেছে। পাশাপাশি এও সত্য, যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসন এই জেনারেলকে একজন ‘সন্ত্রাসী’ হিসেবেই দেখে। তাকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের জারি করা একাধিক নিষেধাজ্ঞা আছে।

তবে সোলাইমানিকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে ইসরায়েলের মাথাব্যথাই বেশি। ইরানের এই জেনারেলকে তারা প্রকাশ্যেই ‘এক নম্বর শত্রু’ বলে।

সিরিয়া নিয়ে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের পরিকল্পনা ব্যর্থ করে দেওয়ার পাশাপাশি লেবাননে হিজবুল্লাহরও প্রধান অভিভাবক কাসেম সোলাইমানি।

একে//


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি