‘নতুন সোলেইমানি’ সম্পর্কে কিছু গোপন তথ্য
প্রকাশিত : ২২:২৮, ১২ জানুয়ারি ২০২০ | আপডেট: ২২:৩০, ১২ জানুয়ারি ২০২০
এসমাঈল কায়ানি
ইরানের প্রভাবশালী জেনারেল কাসেম সোলেইমানি মার্কিন ড্রোন হামলায় নিহত হওয়ার পর দেশটির এলিট ফোর্স কুদস বাহিনীর দায়িত্ব নিয়েছেন জেনারেল এসমাঈল কায়ানি। ইরানের প্রভাবশালী এই পদে দায়িত্ব পাওয়া কায়ানি কেমন মানুষ, কেমন যোদ্ধা তিনি? চলুন তার সম্পর্কে কয়েকটি তথ্য জানা যাক-
৬৩ বছর বয়সী এসমাঈল কায়ানির জন্ম ইরানের মাসাদ শহরে। দেশটির দ্বিতীয় জনবহুল শহর মাসাদ শিয়া মুসলমানদের গুরুত্বপূর্ণ তীর্থস্থান।
স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম বলছে, কুদস বাহিনীর প্রধান হিসেবে সুলেইমানি ইরানের পশ্চিমের অঞ্চলগুলোতে কাজ করতেন। অন্যদিকে, কায়ানি ছিলেন উত্তরাঞ্চলের দায়িত্বে। সেখানে মাদক পাচার রোধে ভূমিকা রেখেছেন তিনি। এছাড়া আফগানিস্তানে তালেবানবিরোধী যুদ্ধে নর্থ অ্যালায়েন্সকে সহায়তা করেছেন কায়ানি।
১৯৭৯ সালে ইরানের ইসলামিক রেভ্যল্যুশন গার্ড কর্পস (আইআরজিসি) গঠন করা হয়। পরের বছরই এই বাহিনীতে যোগ দেন কায়ানি।
১৯৮০ থেকে ১৯৮৮ সাল পর্যন্ত চলা ইরান-ইরাক যুদ্ধে কাসেম সুলেইমানির মতো তারও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। সেই যুদ্ধের পরই কুদস বাহিনীতে যোগ দিয়ে আফগানিস্তান ও তুর্কমেনিস্তান সংলগ্ন সীমান্তে কাজ শুরু করেন তিনি।
জেনারেল সুলেইমানির মৃত্যুর পর কুদস বাহিনীর দায়িত্ব নিয়েই এসমাঈল কায়ানি বলেছেন, ‘সর্বশক্তিমান আল্লাহ চান আমরা শহিদ সুলেইমানির হয়ে প্রতিশোধ নিব। নিশ্চিতভাবেই তা করা হবে।’
যে সোলেইমানির কারণে মধ্যপ্রাচ্যে বিশেষ করে ইরাক, লেবানন, ফিলিস্তিন ও ইয়েমেনে ইরানের এত প্রভাব তৈরি হয়েছে। সেই জেনারেলের জায়গায় দায়িত্ব নিয়েছেন কায়ানি। মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের সেই প্রভাব ধরে রাখা কিংবা একে আরও বিস্তৃত করতে তিনি কতটা ভূমিকা রাখতে পারবেন, সেটা দেখার জন্য অবশ্য বিশ্বকে কিছু সময় অপেক্ষা করতেই হবে।
এনএস/
আরও পড়ুন