ভাইরাস ঠেকাতে নজরবন্দি চীনের শহর
প্রকাশিত : ১৮:১৮, ২৩ জানুয়ারি ২০২০
ভাইরাস ঠেকাতে মাস্ক পড়েছেন পর্যটকরা, বেইজিং বিমানবন্দর- এপি
শহর ছেড়ে বাইরে যেতে পারছে না কোনও উড়োজাহাজ। শহরের ভিতরে সমস্ত পরিবহণ ব্যবস্থা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করার কথা ভাবা হচ্ছে। যাত্রীদের দেখা নেই রেলওয়ে স্টেশনে। অনেক স্টেশনেই তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। খবর আনন্দবাজার পত্রিকা’র।
নোভেল করোনা ভাইরাস’র (২০১৯-এনসিওভি) আতঙ্কে এমনই এক থমথমে অবস্থা চীনের উহান শহরের। ভাইরাসের মোকাবিলায় ঐ শহরকে কার্যত নজরবন্দি করে ফেলেছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। ১ কোটি ১০ লক্ষ মানুষের শহরটি আক্ষরিক অর্থে জনশূন্য।
চীনের হুবেই প্রদেশের এ শহরটিতে ইতোমধ্যে করোনাভাইরাসে অক্রান্ত হয়ে ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। প্রায় ৬০০ জন সংক্রমিত হয়ে পড়েছে। চীন ছাড়াও এ ভাইরাস জাপান, থাইল্যান্ড, দক্ষিণ কোরিয়াতেও দেখা গিয়েছে। এমনকি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সিয়াটলেও ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ছে।
আশঙ্কা করা হচ্ছে, বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ছে ভাইরাসটি। তবে ঠিক কত জন এতে আক্রান্ত হয়েছেন তার হিসাব এখনও পাওয়া যায়নি। গতকাল বুধবার একটি অসমর্থিত সূত্রে জানা যায়, লন্ডনের ইম্পিরিয়াল কলেজ দাবি করেছে- উহান শহরে ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত চার হাজার মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। দেশটির সরকারি এক হিসাবে ৫৭১ জনের ভাইরাস আক্রান্ত হওয়ার কথা বলা হয়েছে। তবে চীনের ন্যাশনাল হেল্থ কমিশন জানিয়েছে, আরও ৩৯৩ জনের মধ্যে ভাইরাসটি ছড়িয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।
করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। শনিবার শুরু হতে যাওয়া চীনা নববর্ষ উদযাপনের জন্য নিজের দেশে যাচ্ছেন বিভিন্ন দেশে থাকা চীনারা। বেইজিং বিমানবন্দরে আসা পর্যটকদের মুখে ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে এক ধরণের বিশেষ মাস্ক দেখা যায়।
চীনের স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের আশঙ্কা যে, সপ্তাহান্তে এ ভাইরাসে সংক্রমণের হার আরও বাড়বে। তবে তারা এখনও ভাইরাসটির উৎস নিয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, উহান শহরের কোনও বাজারে বন্য প্রাণির বেআইনি ব্যবসায়ের সময় এটি নজরে আসে। পরে শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে তা ছড়িয়ে পড়ে। এখন পর্যন্ত ভাইরাসের কোন প্রতিশোধক পাওয়া যায়নি। তবে জ্বর এবং শ্বাস-প্রশ্বাসে অসুবিধার মতো উপসর্গ দেখা দিলেও সতর্ক হতে বলছেন চিকিৎসকেরা। একে বিশ্ববাসীর স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে জরুরি অবস্থা বলে ঘোষণা করা হবে কিনা তা পর্যালোচনা করে দেখছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)।
এমএস/এসি
আরও পড়ুন