ইরাকে মার্কিন বিরোধী বিক্ষোভে নিহত ২
প্রকাশিত : ১০:৫০, ২৫ জানুয়ারি ২০২০ | আপডেট: ১১:০৯, ২৫ জানুয়ারি ২০২০

ইরাকে মার্কিন বিরোধী বিক্ষোভ চলছে- আল জাজিরা
ইরাকের রাজধানী বাগদাদে সরকার বিরোধী বিক্ষোভে দুই জন নিহত হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার রাজধানীতে বিক্ষোভ চলাকালে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে তারা নিহত হন। এ সময় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। আহতরা স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
মার্কিনবিরোধী বিক্ষোভের স্লোগানে বারবার কেঁপে ওঠে বাগদাদ। এতে বাগদাদের অধিবাসীরা ছাড়াও বিভিন্ন প্রদেশের শিয়া, সুন্নি, কুর্দি ও আরব গোত্রগুলো অংশ নেন। খবর বিবিসি, রয়টার্স ও এএফপি’র।
ইরাকের সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা যায়, নিহত দু্ই জনের মধ্যে একজন সরাসরি গুলি লেগে এবং অপরজন সামরিক গ্রেনেডের আঘাতে নিহত হন। রাজধানীতে হাজার হাজার মানুষের অংশগ্রহণে মার্কিন বিরোধী মিছিল অনুষ্ঠিত হওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর এ সংঘর্ষ হয়। তবে মার্কিন বিরোধী ঐ মিছিলের সময় কোন ঘটনা ঘটেনি।
কয়েক দশকের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রবিরোধী এত বড় বিক্ষোভ আর দেখা যায়নি। তাহরির স্কোয়ার ছাড়াও মার্কিন দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভকারীরা সমবেত হয়। ‘আমেরিকা নিপাত যাক’, ‘ইসরাইল ধ্বংস হোক’, ‘ইরাক থেকে এখনই বের হও মার্কিন সেনা’ বলে বিক্ষোভকারীরা স্লোগান দেন। ‘ইরাক হলো নবী-রাসুলদের দেশ’ ও ‘ইরাক থেকে বের হও আমেরিকান সেনারা’ লেখা ব্যানার চোখে পড়ে।
এদিকে গণবিক্ষোভকে বাধাগ্রস্ত করতে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্যোগে সিরিয়া থেকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর অনেক কর্মী ও সদস্যকে গোপনে ইরাকে আনা হয়েছে বলে দাবি করছেন বিক্ষোভকারীরা। ইরাকের গণভিত্তিক ও মার্কিনবিরোধী সরকার গঠন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করতে দেশটিতে দাঙ্গা-হাঙ্গামা বাধানোর চেষ্টা করে আসছে মার্কিন সরকার।
বাগদাদ বিমানবন্দরের কাছে সম্প্রতি মার্কিন ড্রোন হামলায় ইরানের জেনারেল কাসেম সোলেমানি এবং ইরাকের পপুলার মবিলাইজেশন ইউনিটের (পিএমইউ) উপপ্রধান আবু মুহানদিস আল মাহদি শহীদ হওয়ার পর মার্কিন বিরোধী শান্তিপূর্ণ গণবিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, বাগদাদের বিক্ষোভে অংশ নেয়া ইরাকিদের সংখ্যা কয়েক লাখ। মার্কিন সরকার ও তার আঞ্চলিক লেজুড়দের জন্য এটি বড় ধরনের রাজনৈতিক পরাজয় ও মার্কিনিদের প্রতি ইরাকিদের পদাঘাতের সমতুল্য। এতে ইরাকের জাতীয় সংহতি ও ঐক্য জোরদার করবে এবং এ অঞ্চলে মার্কিন-ইসরাইলি ষড়যন্ত্র বানচাল করবে।
ইরাকের এ শান্তিপূর্ণ মহাবিক্ষোভকে ১৯২০ সালে অনুষ্ঠিত ইরাকের ইসলামী বিপ্লব বা গণঅভ্যুত্থানের সঙ্গে তুলনা করা হচ্ছে। সে সময় ইরাক ও ইরানের প্রখ্যাত শিয়া ও সুন্নি আলেমদের আহ্বানে ব্রিটিশ দখলদারির বিরুদ্ধে ইরাকের সর্বত্র গণপ্রতিরোধ শুরু হয়।
এমএস/
আরও পড়ুন