‘করোনা ভাইরাসে’ ভয়াবহ পরিস্থিতির মুখোমুখি চীন
প্রকাশিত : ২৩:৫৬, ২৫ জানুয়ারি ২০২০
‘করোনা ভাইরাস’ প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং
চীনে প্রাণঘাতী নতুন আতঙ্ক ‘করোনা ভাইরাস’ দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পড়ছে বলে সতর্ক করে দিয়ে দেশটির প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বলেছেন, ভয়াবহ পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছে চীন। চীনে নতুন এ ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা উদ্বেগজনক হারে বৃদ্ধি পাওয়ায় শনিবার দেশটির সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে জরুরী এক বৈঠকে তিনি ওই সতর্ক বার্তা দেন।
দেশটির মধ্যাঞ্চলের উহান প্রদেশে প্রাণঘাতী এই ভাইরাস প্রথম শনাক্তের পর থেকে এখন পর্যন্ত সেখানে ৪১ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। এছাড়া এই ভাইরাসে সংক্রমণের সংখ্যা ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। শনিবার পর্যন্ত চীনে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় এক হাজার ৩০০ জনে পৌঁছেছে। চীনের এই ভাইরাস ইতোমধ্যে বিশ্বের ১২টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। দেশটির বেশ কিছু শহরে ভ্রমণে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে।
এই ভাইরাসের উৎসস্থল হিসেবে পরিচিত উহানে রোববার (২৬ জানুয়ারি) থেকে প্রাইভেট যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে। করোনা ভাইরাসের বিস্তারের আশঙ্কায় এই শহরের বাসিন্দাদের অন্য কোথাও চলে যাওয়া কিংবা শহরে কাউকে আসতে দেয়াও হচ্ছে না।
দেশটিতে করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবেলায় এক সপ্তাহের মধ্যে জরুরি ভিত্তিতে দুটি হাসপাতাল নির্মাণ করা হচ্ছে।
চীনের রাষ্ট্রীয় দৈনিক পিপলস ডেইলি বলছে, দুই সপ্তাহের কম সময়ের মধ্যে এ দুটি হাসপাতাল নির্মিত হবে। এতে আড়াই হাজারের বেশি মানুষ চিকিৎসা সেবা নিতে পারবেন। উহানে ইতোমধ্যে দেশটির সামরিক বাহিনীর বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের পাঠানো হয়েছে।
এর আগে দেশটির হুবেই প্রদেশের উহানে গত ডিসেম্বরে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের উপস্থিতির বিষয়টি নিশ্চিত হয়। শনিবার চান্দ্রবর্ষ উদযাপন শুরু হওয়ার কথা থাকলেও দেশটির বিভিন্ন শহরে বাতিল করা হয়েছে। দেশটির বেশ কিছু শহরে জরুরি মেডিক্যাল চেকআপের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেখানে শহরে চলাচলকারী মানুষের শরীরে জ্বরের কোনও আলামত আছে কিনা তা পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। এছাড়া একাধিক শহরে ট্রেন স্টেশন বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
এদিকে, চীনে করোনা ভাইরাস ছড়ানোর কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে দেশটিতে বসবাসরত বা ভ্রমণরত বাংলাদেশিদের জন্য হটলাইন চালু করা হয়েছে। এর নম্বর (৮৬)-১৭৮০১১১৬০০৫। বেইজিংয়ে বাংলাদেশ দূতাবাস এ হটলাইন চালু করেছে বলে শনিবার (২৫ জানুয়ারি) এক বার্তায় জানিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে ভাইরাস ছড়ানো উহান শহরের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন রেখেছে চীন। ফলে সেখানকার বাসিন্দাদের সঙ্গে আটকা পড়েছেন অন্তত ৫০০ বাংলাদেশি শিক্ষার্থী। উহানে আটকে পড়া বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের অনেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেশে ফেরার আকুতি জানিয়েছেন।
এনএস/
আরও পড়ুন