ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪

সিএএ-এনআরসি`র ফলে বহু মুসলিম রাষ্ট্রহীন হবে: ইইউ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২০:৩৭, ২৬ জানুয়ারি ২০২০ | আপডেট: ২০:৪৪, ২৬ জানুয়ারি ২০২০

সিএএ-বিরোধী একটা খসড়া গ্রহণ করেছেন ইউরপিয়ান ইউনিয়নের (EU) ১৫০ জন সাংসদ

সিএএ-বিরোধী একটা খসড়া গ্রহণ করেছেন ইউরপিয়ান ইউনিয়নের (EU) ১৫০ জন সাংসদ

ভারতের নাগরিকত্ব সংশোধন আইন (সিএএ) বিরোধী একটা খসড়া গ্রহণ করেছেন ইউরপিয়ান ইউনিয়নের (ইইউ) ১৫০ জন এমপি। খসড়াতে উল্লেখ করা হয়, "যে পন্থা অবলম্বন করে ভারত সরকার সিএএ লাগু করছে, তা বিশ্বব্যাপী বৃহত্তর রাষ্ট্রহীনতার পরিসর তৈরি করবে। যার কারণে বাড়বে মানুষের দুর্ভোগ।" 

ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে ওই এমপিরা অভিযোগ তুলেছে- ভারত সরকার তার সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিতে বিরোধী, সমালোচক, সাংবাদিক আর মানবাধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠনগুলোকে আইনি মামলায় জড়িয়ে দিচ্ছে। অযথা তাদের হয়রানি করছে। আর ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের মধ্যে বিভেদ তৈরি করছে।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাছে তাদের আবেদন, "ইউনিয়নের সঙ্গে ভারতের কোনও প্রকার বাণিজ্য চুক্তির আগে ওই খসড়ায় উল্লেখ করা মানবাধিকার লঙ্ঘনের ধারাগুলো উল্লেখ করা হোক। তোলা হোক মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রসঙ্গ।" 

এদিকে, সম্প্রতি মানবাধিকার রক্ষার সূচকে ১০ ধাপ নেমে গেছে ভারত। নাগরিকত্ব আইন আর জম্মু-কাশ্মীরে লাগু হওয়া বিধিনিষেধ এই তালিকা তৈরির নেপথ্যে নেতিবাচক অনুঘটক হিসেবে কাজ করেছে। আগামী সপ্তাহে ব্রাসেলসে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া প্লেনারি অধিবেশনে এই খসড়া পেশ করবেন ওই এমপিরা। 

পাশাপাশি, প্রতিবাদীদের মামলায় না ফাঁসিয়ে আলোচনায় বসতে ভারত সরকারের প্রতি আবেদন করেছেন ওই ১৫০ জন সাংসদ। 

জানা গেছে, সিএএ-এনআরসি'র বিরুদ্ধে আন্দোলনকে সমর্থন জানানো হয়েছে ওই খসড়ায়। ওই খসড়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বলা হয়, "আইনি ব্যাখ্যা দিয়ে সংখ্যালঘুদের মৌলিক অধিকার হনন করতে চেষ্টা করছে ভারত। ফলে সিএএ আর এনআরসি রূপায়িত হলে সে দেশের প্রচুর মুসলিম রাষ্ট্রহীন হবেন।" 

পাশাপাশি নাগরিকদের মৌলিক অধিকার প্রদানে ভারতের আন্তর্জাতিক দায়বদ্ধতা আছে বলেও স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন ওই সাংসদরা। আন্তর্জাতিক স্তরে ভারত মানবাধিকার রক্ষার ১৫ ধারা অনুসরণ করে। যে ধারায় বলা হয়েছে, প্রত্যেক নাগরিকের স্বতন্ত্র অধিকার আছে। রাষ্ট্র দ্বারা চিহ্নিত কোনও নাগরিক তার সেই অধিকার হারাতে পারেবন না, বা কেউ সেই অধিকার কেড়ে নিতে পারবে না। ইইউ'র পাশাপাশি রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার কমিশনের কর্মকর্তা বলেছেন, সিএএ মৌলিকভাবে বিভেদকামী। 

সেই খসড়া প্রস্তাবে কাশ্মীর প্রসঙ্গের কথাও উল্লেখ আছে। সেই খসড়ায় বলা, "ইইউ ও তার সদস্য রাষ্ট্রগুলো, রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ঘোষিত প্রস্তাব কাশ্মীরে লাগু করুক।" 

গত বছর অক্টোবর ও চলতি বছরের জানুয়ারিতে ইইউ-এর সাংসদরা দু'ধাপে উপত্যকা পরিদর্শন করে গেছেন। যে সফরকে ঘিরে ইতোমধ্যে সমালোচিত হয়েছে কেন্দ্রের সরকারের ভূমিকা। যেখানে দেশের বিধায়ক, সাংসদরা কাশ্মীর যেতে পারছেন না, সেখানে বিদেশি কূটনীতিকদের কীভাবে কাশ্মীর ভ্রমণের অনুমতি দেয়া হচ্ছে। সূত্র- এনডিটিভি।

এনএস/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি