চীনে ভয়াবহ পরিস্থিতি, বাংলাদেশে না ফিরলেই ভালো (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১০:২৮, ২৯ জানুয়ারি ২০২০
চীনের দেওয়া তথ্য মতে করোনাভাইরাসে এখন পর্যন্ত দেশটিতে মারা গেছেন ১৩২ জন। আক্রান্ত হয়েছেন ৫ হাজার ৯৭৪ জন। এর মধ্যে চীনের হুবেই প্রদেশের অবস্থা সবচেয়ে খারাপ। সেখানে ১২৫ জন মারা যাওয়ার পাশাপাশি ৩ হাজার ৫৫৪ জন আক্রান্ত হয়েছেন। খবরটি দিয়েছে চীনা ডেইলি। তবে বাস্তবে হিসেবটা উল্টো। অভিযোগ রয়েছে তথ্য গোপন করছে চীন। এবার সেই কথা জানালেন চীনের ইয়াননান প্রদেশের কুনমিং সিটিতে অবস্থান করা এক বাংলাদেশি শিক্ষার্থী। তিনি বেশ কিছু তথ্য প্রকাশ করেছেন নিজের ফেসবুকে ভিডিওর মাধ্যমে। এমন কি দেশের কথা চিন্তা করে, দেশের মানুষের কথা চিন্তা করে, সতর্কতা অবলম্বন করতে চীন ত্যাগ না করার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
বর্ণ সিদ্দিকী নামের ওই প্রবাসী শিক্ষার্থী ভিডিও বার্তায় সেখানকার বর্তমান অবস্থা তুলে ধরেন। যে ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
তিনি জানান, এই ভাইরাসের উৎপত্তিস্থল চীনের উহান শহরে প্রায় তিনশ’রও বেশি বাংলাদেশি শিক্ষার্থী আটকা পড়েছে। উহান শহরে নিজেদের কক্ষে প্রায় বন্দী অবস্থায় রয়েছেন তারা। অবস্থানরত বাংলাদেশিরাও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কায় রয়েছেন।
এদিকে দেশের কথা ভেবে আপাতত বাংলাদেশে না ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বর্ণ সিদ্দিকী।
ভিডিওতে তিনি জানান, এই মুর্হূতে দেশের স্বার্থে আমি আমার মাতৃভূমিতে যাবো না। চীনে আমরা শিক্ষার্থী ছাড়াও আরও হাজার হাজার বাংলাদেশি আছেন। আমরা জানি না এই রোগটা কার কাছে চলে এসেছে। এই রোগটার একটা অদ্ভুত ব্যাপার হচ্ছে, এটি শরীরে আসার পর থেকে ১৪ দিন অবস্থান করবে এবং কোনো লক্ষণও প্রকাশ করবে না। এখন আমরা যারা এখানে আছি তারা যদি দেশে ফিরে যাই তাহলে নিজের অজান্তেই কারো না কারো সাথে এই ভাইরাস দেশে চলে যেতে পারে। তাই দেশের সার্থে এখন চীনে থাকাই ভালো।
একটি গণমাধ্যমকে বর্ণ সিদ্দিকী বলেন, ‘আমি এই মুর্হূতে বাংলাদেশে যেতে চাই না। সেখানে গিয়ে আমার যদি খারাপ অবস্থা হয়, তবে তো আমার পরিবারের মধ্যেও এসব ছড়াবে। এটা ভাইরাস জনিত রোগ। কারো সাথে থাকলেই এই রোগের বিস্তার ঘটবে। আমার বাবা-মা যতই বলুক। আমি সেখানে যাবো না।’
ভিডিওতে চীনের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে গোটা চীনেই আতঙ্ক বিরাজ করছে। তবে এ বিষয়ে গণমাধ্যমে তেমন খবর আসছে না। আমি আমার চাইনিজ বন্ধুদের মাধ্যমে জানতে পেরেছি, চীনে এই ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা অনেক বেশি যা বহির্বিশ্বের গণমাধ্যমে তেমন খবর প্রকাশ পাচ্ছে না। চীন সরকার চাচ্ছে না যে এই ভাইরাসটার কারণে অন্যরা উদগ্রিব হোক।’
তিনি বলেন, ‘ইতিমধ্যে এই ভাইরাসের প্রভাব চীনের অর্থনীতিতেও পড়েছে। আমি ইতিমধ্যে অনেকগুলো বাজার ঘুরেছি, আগে এসব বাজারে শাক-সবজির কোন ঘাটতি না থাকলেও এখন কোনো কাঁচা তরকারি পাওয়া যাচ্ছে না। যা পেয়েছি তা শুষ্ক খাবার।’
দেখুন সেই ভিডিও :
এসএ/
আরও পড়ুন