ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২১ নভেম্বর ২০২৪

করোনাভাইরাস: চীনের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধে হংকংয়ে ধর্মঘট

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৮:৩২, ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০

চীনে আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পাওয়া প্রাণঘাতি করোনাভাইরাস থেকে মুক্তি লাভের আশায় ইতিমধ্যে অস্ট্রেলিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র চীনা সীমান্ত বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে। এবার এ ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে সীমান্ত বন্ধসহ পাঁচ দফা দাবিতে ধর্মঘটে নেমেছে হংকংয়ের হাসপাতাল কর্মীরা।

আজ সোমবার হংকংয়ের হসপিটাল অথরিটি এমপ্লয়িজ অ্যালায়েন্সের (এইচএইএ) শত শত সদস্য এ ধর্মঘটে নেমে পড়েন। রয়টার্স ও বিবিসি এ খবর নিশ্চিত করেছে। 

নতুন এ ভাইরাস চীনের পাশাপাশি বিশ্বের অন্তত ২৫টি দেশে ঢুকে পড়েছে। চীনের বাহিরে সবচেয়ে বেশি সন্ধান মিলেছে থাইল্যান্ডে (১৮ জন)। এরপরই হংকং, যেখানে এ পর্যন্ত ১৫ জনের মাঝে মরণঘাতি এ ভাইরাসের দেখা মিলেছে। ফলে দ্রুত তা আরও ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে এ নগরীর সাধারণ মানুষ ও চিকিৎসকরা।

তবে এমন পরিস্থিতিতে মেডিকেল কর্মীদের ধর্মঘটে না যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে নগরটির সরকার। তা সত্ত্বেও তাদের ১৮ হাজার সদস্যের মধ্যে দুই হাজার ৪০০ সদস্য ধর্মঘটে অংশ নিয়েছে বলে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলোতে বলা হচ্ছে। 

সরকারের কাছে এইচএইএ-র জানানো দাবিগুলো হলো, মূলভূখণ্ড চীনের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ করা, জনগণের মধ্যে মাস্ক বিতরণ সহজ করা, সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে থাকা মেডিকেল কর্মীদের পর্যাপ্ত সুরক্ষা ও সরবরাহ নিশ্চিত করা, রোগীদের জন্য যথেষ্ট পৃথক ওয়ার্ডের ব্যবস্থা করা এবং ধর্মঘটী মেডিকেল কর্মীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা না নেওয়ার নিশ্চয়তা। 

হংকংয়ের বাণিজ্যিক এলাকার কেন্দ্রস্থলে স্বাস্থ্য কর্মী ইউনিয়নের সমর্থনে প্রায় শ’খানেক লোক সমাবেশ করেছে। এখানে কয়েকজনের হাতে থাকা ব্যানারে লেখা ছিল, ‘সীমান্ত বন্ধ করো, প্রাদুর্ভাব রুখো।’

তবে এখন পর্যন্ত হংকংয়ের নেতা ক্যারি লাম চীনের সঙ্গে হাইস্পিড ট্রেন ও আন্তঃসীমান্ত ফেরি চলাচল স্থগিত করলেও সীমান্ত পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়ার মতো কোনো পদক্ষেপ নেননি। এ রকম পদক্ষেপ ‘অনুচিত ও অকার্যকর’ হবে বলে জানান তিনি। 

সরকারি তথ্যানুযায়ী, হংকংয়ের ৯০ শতাংশ খাদ্যই আমদানি করা হয়, এর বড় একটি অংশ মূলভূখণ্ড থেকে আসে। করোনাভাইরাসের আতঙ্কে থাকা নগরীটির বাসিন্দারা এরইমধ্যে মাংস, চাল ও ক্লিনিং পণ্য কিনে সুপারমার্কেটগুলো খালি করা হয়েছে। 

গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহর থেকে উৎপত্তি হওয়া এই ভাইরাসে এখন পর্যন্ত ৫ বিদেশিসহ ৩৬২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে অধিকাংশই উহানে বসবাসকারী নাগরিক। আক্রান্তের সংখ্যাও বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। এখন পর্যন্ত ১৭ হাজারেরও  বেশি মানুষ এ ভাইরাসে আক্রান্ত বলে জানিয়েছে দেশটির স্বাস্থ্য বিভাগ। 

সোমবার সকাল পর্যন্ত নতুন করে আড়াই হাজারের বেশি ব্যক্তিকে করোনায় আক্রান্ত বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। যাদেরকে চিকিৎকদের পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। আর পর্যবেক্ষণে থাকা প্রায় সাড়ে চারশ ব্যক্তিকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে। চীনের বাহিরে এখন পর্যন্ত গতকাল ফিলিপাইনে একজনের মৃত্যু হয়েছে। 

এআই/এসি
 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি