বয়স নয়, ঋতুবতী হলেই বিয়ের যোগ্য!
প্রকাশিত : ১৯:০৯, ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০ | আপডেট: ১৯:২৫, ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০
ছবি- হুমা ইউনুস, ফেসবুক থেকে নেয়া
মেয়ে প্রাপ্তবয়স্ক না হলে ক্ষতি নেই, শুধু ঋতুবতী হলেই হবে। তাহলেই তাকে বিয়ে দেয়া বা করা যাবে। সংখ্যালঘুদের জোর করে ধর্মান্তরিত এবং অপহরণ করে বিয়ের অভিযোগে পাকিস্তান যখন বেশ চাপে, ঠিক তখনই এমন মন্তব্য করল দেশটির একটি আদালত। যা নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে রীতিমত তোলপাড়।
ঘটনার সূত্রপাত গত বছর। অভিযোগ, ২০১৯ সালের ১০ অক্টোবর খ্রিস্টান পরিবারের মেয়ে ১৪ বছরের হুমা ইউনুসকে বাড়ি থেকে অপহরণ করেন ২৮ বছরের আব্দুল জব্বার। জোরপূর্বক ধর্মান্তরিত করে হুমাকে বিয়েও করেন তিনি।
এদিকে, মেয়েকে ফিরে পেতে সেই থেকে আইনি লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন হুমার বাবা ইউনিস এবং মা নাগিনা মাসিহ্। তাদের দাবি, ২০০৫ সালের ২২ মে হুমার জন্ম। গির্জা এবং স্কুলের নথিপত্রেও তার প্রমাণ রয়েছে। সেই হিসাবে হুমার বয়স ১৪ বছর।
সিন্ধ বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ আইন অনুযায়ী, বিয়ের ন্যূনতম বয়স যেখানে ১৮ বেঁধে দেয়া হয়েছে, সেখানে হুমা ও আব্দুলের বিবাহ আইনত বৈধ নয়। কিন্তু, গত সোমবার এই মামলার শুনানি চলাকালীন তাদের যুক্তিকে আমল দেননি সিন্ধ হাইকোর্টের দুই বিচারপতি মোহাম্মদ ইকবাল কালহোরো এবং ইরশাদ আলি শাহ। বরং শরিয়তী আইনকে উল্লেখ করে তারা জানান, হুমা প্রাপ্তবয়স্ক কি না, তা আদৌ গুরুত্বপূর্ণ নয়। বরং ঋতুবতী বলেই আব্দুলের সঙ্গে তার বিবাহ বৈধ।
আগামী ৪ মার্চ এই মামলার পরবর্তী শুনানি। তবে, ইতিমধ্যেই বিষয়টি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন হুমার পরিবারের আইনজীবী তবস্সুম ইউসুফ। তিনি বলেন, ‘অপহরণ এবং জোর করে বিয়ে রুখতেই ২০১৪ সালে বাল্য বিবাহ রদ আইন আনা হয় সিন্ধ প্রদেশে। কিন্তু হাইকোর্টের মন্তব্য সেই আইনের পরিপন্থী। তদন্তকারীরা ইচ্ছাকৃতভাবে আব্দুলের হয়ে পক্ষপাতিত্ব করছেন বলেও নিশ্চিত মেয়েটির পরিবার। এমনকি হুমার বয়স নিয়েও মিথ্যা তথ্য পেশ করা হতে পারে বলে আশঙ্কা তাদের। বিষয়টি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা।’ সূত্র- আনন্দবাজার।
এনএস/
আরও পড়ুন