ঢাকা, সোমবার   ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

ইরানের বিরুদ্ধে ট্রাম্পের যুদ্ধ ক্ষমতা কমাতে প্রস্তাব পাস

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:৪৫, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০

চলমান উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যাতে ইরানের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপ না নিতে পারেন সেজন্য তার যুদ্ধ ক্ষমতা কমাতে আবারও ভোট দিয়েছেন দেশটির সিনেটররা।

স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার এ ব্যাপারে অধিকাংশ সিনেটর একমত হওয়ায় প্রস্তাবটি ৫৫-৪৫ ভোটে অনুমোদিত হয়। এর ফলে মার্কিন সংসদকে পাস কাটিয়ে ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চাপিয়ে দিতে পারবেন না ট্রাম্প। খবর বিবিসির।

তবে এমন সময় কার বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা নিল সিনেটররা, যখন কাসেম সোলাইমাইনিকে হত্যার পর একের পর মার্কিন ঘাটিতে হামলা করে আসছে ইরান। তবে এ প্রস্তাবের পক্ষে মার্কিন প্রেসিডেন্টও ভেটো দিবেন বলে মনে করা হচ্ছে।

প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা খর্বের এ প্রস্তাবে ডেমোক্র্যাটদের সঙ্গে বেশ কয়েকজন রিপাবলিকান সিনেটরও ভোট দিয়েছেন। ট্রাম্পের নির্দেশে ড্রোন হামলায় ইরানের কুদস ফোর্সের কমান্ডার কাসেম সোলাইমানিকে হত্যার কয়েক সপ্তাহ পর সিনেটে বিলটি পাস হল।

তবে ট্রাম্প বলছেন, ‘সিনেটের এ সিদ্ধান্তের বিপক্ষে ভেটো ক্ষমতা প্রয়োগ করবেন তিনি।’ কিন্তু প্রেসিডেন্টের ভেটো উল্টাতে হলে কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটের দুই-তৃতীয়াংশ সদস্যের সমর্থন লাগবে।

প্রস্তাবের উত্থাপক ডেমোক্রেট সিনেটর টিম কেইন বলেন, ‘উচ্চকক্ষের এ ভোট কংগ্রেসের সামর্থ্য দেখাল; এতে সেনা মোতায়েনের যে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে কংগ্রেসের গুরুত্বও প্রতিফলিত হয়েছে।

জানা গেছে, কংগ্রেসের সম্মতি ছাড়া ইরানের বিরুদ্ধে মার্কিন সশস্ত্র বাহিনীকে ব্যবহারের ক্ষমতার অবসান ঘটাতে এই পদক্ষেপে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এখন এই প্রস্তাব রিপাবলিকান নিয়ন্ত্রিত সিনেটে উঠবে, যাতে এক কঠিন লড়াইয়ের মুখোমুখি হতে হবে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, এ পদক্ষেপটি রিপাবলিকান অধ্যুষিত সিনেটে পাস হওয়া দুরূহ হবে বলেই মনে করা হচ্ছে। রিপাবলিকনরা বেশিরভাগই সোলাইমানিকে হত্যার ট্রাম্পের সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেছেন।

কংগ্রেসের অনুমোদন না পেলে ট্রাম্পকে ইরানের বিরুদ্ধে সব ধরনের সামরিক ব্যবস্থা বন্ধ রাখতে হবে-এমন একটি পদক্ষেপ নিতেই ভোট দিয়েছে প্রতিনিধি পরিষদ।

ইরানের বিরুদ্ধে সামরিক শক্তি ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা নেই বলে ট্রাম্প এরই মধ্যে উত্তেজনা প্রশমনের সুরে কথা বললেও কংগ্রেসের ডেমোক্র্যাটরা সোলাইমানির ওপর হামলা এবং এর পেছনে ট্রাম্প প্রশাসন যে যুক্তি দেখিয়েছে তাতে সন্তুষ্ট নয়। সেকারণেই তারা এখন ট্রাম্পের যুদ্ধ-ক্ষমতার রাশ টেনে ধরার চেষ্টা করছেন।

এআই/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি