প্রেমে আপত্তি, পরিবারের সামনেই তরুণীকে গুলি
প্রকাশিত : ১৭:১৬, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০
আবারও অনারকিলিং-এর ঘটনা ঘটেছে। এবার মারাঠায় এ ঘটনা ঘটে। প্রেমের কারণে ১৯ বছরের এক তরুণীর নিম্নাঙ্গে গুলি চালায় তার এক আত্মীয়।
রক্তাক্ত অবস্থায় মেয়েটিকে হাসপাতালে নিয়ে এসেছিল তার পরিবার। সেখানেই ডাক্তাররা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। প্রথমে পুলিশকে ভুলপথে চালিত করার চেষ্টা করেছিল মেয়েটির পরিবার। বলা হয়েছিল, সশস্ত্র ডাকাতরাই তাকে খুন করেছে।
ময়নাতদন্তের রিপোর্টে দেখা যায়, মেয়েটির দেহে তিনটি বুলেটের ক্ষত রয়েছে। একটি তার থাইয়ের ভেতর দিকে, একটি যৌনাঙ্গে ও একটি কোমরের ঠিক উপরে পিঠের দিকে। সুয়ো মোটো মামলা করে মেয়েটির তুতো ভাই, তার বাবা-মা ও মেয়েটির বাবা-মায়ের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে সাধনা পুলিশ।
পুলিশ সুপার অবিনাশ পাণ্ডে জানিয়েছেন, 'ঘটনাস্থলে প্রচুর রক্তের দাগ ছিল। কোনও একজন সেই দাগ মোছার চেষ্টা করেছে। ঘটনাস্থল থেকে মিলেছে ভাঙা একটি চুরি, যা থেকে বোঝা যায় অপরাধীকে আটকানোর চেষ্টা করেছিল মৃতা। দেহটি পুরো ফ্যাকাসে হয়ে গিয়েছিল, যা থেকে বোঝায় যায় পুলিশে খবর দেওয়ার অন্তত ৫-৬ ঘণ্টা আগে খুন করা হয়েছে।' তার উপর পরিবারের লোকেদের অসংলগ্ন কথায় পুলিশের সন্দেহ আরও দৃঢ় হয়। দেহটি ময়নাতদন্তে নিয়ে যেতে বাধা দিলে কয়েকজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
পুলিশ জানতে পেরেছে, এক যুবকের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি হওয়ায় পরিবারে বাধার মুখে পড়তে হচ্ছিল মেয়েটিকে। শনিবার এমন একটি ঝগড়ার সময় মেয়েটিকে লক্ষ করে গুলি চালায় তার তুতো ভাই।
মেয়েটির ভাই পুলিশকে জানিয়েছে, তার তুতো দাদা কিট্টু ওরফে প্রশান্ত চৌধরী রাগের মাথায় দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রীকে খুন করে। বলা হয়, ‘কিট্টু, ওর বন্ধু সালমান আর আমি শনিবার রাতে এক বন্ধুর জন্মদিনের পার্টিতে মদ্যপান করছিলাম। আমরা বোনের সম্পর্কের কথা জানতাম। সবাই বারণ করা সত্ত্বেও ও সেই সম্পর্ক চালিয়ে যাচ্ছিল। পরিবারের সবার সামনে কিট্টু বোনকে খুন করে।’
মূল অভিযুক্ত কিট্টু ও তার বন্ধু সালমান পলাতক রয়েছে। পরিবারের বাকি সবাইকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এসি
আরও পড়ুন