দিল্লির সহিংসতায় নিহত ১৯
প্রকাশিত : ১১:৩২, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০ | আপডেট: ১১:৩২, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০
নাগরিকত্ব আইন সংশোধন নিয়ে ভারতের রাজধানী দিল্লিতে গুলি, মারপিঠ, হামলা, লুঠপাট, অগ্নিসংযোগ এবং গাড়ি ভাঙচুরের তাণ্ডব ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। গতকাল এই সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা ছিল ১৩, সেই সংখ্যা এখন ১৯। এমন খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
নয়াদিল্লির দাঙ্গাকবলিত এলাকার গুরু তেগ বাহাদুর হাসপাতালের এক কর্মকর্তা বলেন, বর্তমানে এখানে ১৫ রোগীর অবস্থা খুবই আশঙ্কাজনক। এ পর্যন্ত হাসপাতালে সর্বমোট ১৯ জন নিহত হয়েছেন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) উত্তর-পূর্ব দিল্লির কিছু এলাকায় বিক্ষোভ দেখামাত্র গুলি করার নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।
নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে ভারতের রাজধানী। পুলিশ কোনক্রমেই নিয়ন্ত্রণে আনতে পারছে না দিল্লির রাজপথ। কাঁদানে গ্যাস ও স্মোক গ্রেনেড নিক্ষেপ করলেও বিক্ষোভকারীদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না পুলিশ।
মঙ্গলবার গভীর রাতে দিল্লি হাইকোর্ট পুলিশকে নির্দেশ দেয়- হিংসার ঘটনায় আহতদের নিয়ে যাওয়ার জন্য, নিরাপদ পথের বন্দোবস্ত করতে এবং তাঁদের জন্য আপৎকালীন চিকিৎসার জন্য।
এদিকে আজ বুধবার ছিল সিবিএসই বোর্ড পরীক্ষা। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলিতে সিবিএসই বোর্ড সেই পরীক্ষা বাতিল করে দিয়েছে। এমনকি বন্ধ রয়েছে সকল সরকারি ও বেসরকারি স্কুলও।
মঙ্গলবার দ্বিতীয় দিনের মতো প্রাণঘাতী এই সহিংসতায় ধর্মভিত্তিক নাগরিকত্ব আইনবিরোধী বিক্ষোভকারীদের ওপর পাথর নিক্ষেপ ও গুলি চালায় আইনের স্বপক্ষরা।
সপ্তাহের শেষে শুরু হওয়া এই সহিংসতা সোমবারে মারাত্মক প্রাণঘাতী রূপ নেয়। মঙ্গলবার উত্তরপূর্ব দিল্লির বেশ কয়েকটি এলাকায় নতুন করে সহিংসতা শুরু হয়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও ডোনাল্ড ট্রাম্প যেখানে আলোচনা করতে বসেছেন, সেখান থেকে মাত্র কয়েক মাইল দূরে এই প্রাণঘাতী সহিংসতা চলছিল।
অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি উত্তর-পূর্ব দিল্লির বিভিন্ন এলাকা। বিভিন্ন বিল্ডিং থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখা গিয়েছে, এবং নাগরিকত্ব আইনের পক্ষে ও বিপক্ষে বিক্ষোভকারীদের মধ্যে সংঘর্ষের তিনদিনে রাস্তায় পড়ে আছে লাঠি, ভাঙা কাঁচের টুকরো।
রাজধানীর হিংসাত্মক পরিস্থিতি পর্যালোচনার জন্য বৈঠক করেছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা।
হিংসা ক্রমশ ছড়িয়ে পড়ায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ গত ২৪ ঘণ্টায় তাঁর তৃতীয় বৈঠকটি করেছেন। বৈঠকে ছিলেন আইপিএস অফিসার এসএন শ্রীবাস্তব। মঙ্গলবার তাঁকে বিশেষ পুলিশ কমিশনার হিসেবে নিযুক্ত করা হয়।
এএইচ/
আরও পড়ুন