করোনা ভাইরাস ঠেকাতে রোবট গাড়ি
প্রকাশিত : ১০:২৭, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০
করোনা ভাইরাস আতঙ্কে ভুগছে পুরো বিশ্ব। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত মহামারী এই ভাইরাসে ২৮০১ জনের মৃত্যু হয়েছে। বেশির ভাগেরই মৃত্যু হয়েছে চীনে। সারা বিশ্বে এ ভাইরাসে ৮২ হাজারে বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন।
প্রাদুর্ভাবের পর থেকে করোনা ভাইরাস ছড়ানো রোধে নানামুখী চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করছে চীন। সমন্বিত অর্থনীতিতে একটি মানবগোষ্ঠীকে চাইলেই আলাদা করে দেয়া যায় না। সবকিছু বন্ধ করলেও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি সরবরাহের জন্যও সংস্পর্শে আসতে হয়, আর সেখান থেকেই ছড়াতে পারে রোগটি। এ সমস্যার সমাধানে এগিয়ে এসেছে চীনের কয়েকটি ডেলিভারি কোম্পানি। আক্রান্ত গ্রাহকদের কাছে পণ্য পৌঁছে দেয়ার প্রক্রিয়ায় সংস্পর্শ কমাতে তারা রোবট গাড়ি ব্যবহার বাড়িয়েছে।
মেইটুয়ান ডিয়ানপিং, চীনের শীর্ষ ডেলিভারি অ্যাপ গত মাসে বেইজিংয়ের সানজি জেলায় রোবট গাড়ির মাধ্যমে ডেলিভারি শুরু করে। কোম্পানিটি বেইজিংয়ের আরও কয়েকটি স্থানে ব্যাপকভাবে এমন সেবা চালু করার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে।
এ পদ্ধতিতে পণ্যের ডেলিভারি ভাইরাসটি ছড়ানো রোধে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে বলে মনে করেন কোম্পানির নীতিনির্ধারকরা। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের সূত্রে জানা গেছে, সেনজেনে একজন আক্রান্ত ডেলিভারি কর্মী উপসর্গ প্রকাশের আগে ১৪ দিন ডেলিভারির কাজ করে গিয়েছিলেন, যার ফলে আরও চারজন আক্রান্ত হন। তাই বিশেষ প্রয়োজনের এই সময়ে রোবট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে বলে মনে করে মেইটুয়ান ডিয়ানপিং।
বিশেষ করে কোয়ারেন্টাইন এলাকা ও হাসপাতালে প্রয়োজনীয় মুদিপণ্য ও ওষুধপত্র পৌঁছে দিতে নিরাপদ দূরত্বে দাঁড়িয়ে শেষ পথটুকুতে এমন স্বয়ংক্রিয় গাড়ি ব্যবহার করলে সংক্রমণ কমানো যাবে। বেইজিংভিত্তিক জেডি লজিস্টিকস এমন কাজই করছে। তারা চলতি মাসের শুরু থেকে স্পর্শকাতর এলাকাগুলোতে ডেলিভারি করার ক্ষেত্রে ‘লাস্ট মাইল’ বা শেষ পথটুকুতে এসব গাড়ি ব্যবহার করছে।
কোম্পানিটির একজন মুখপাত্র সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টকে বলেন, উহান নাইনথ হসপিটাল থেকে প্রতিদিন তারা ১০ থেকে ২০টি অর্ডার পেয়ে থাকেন। এর মধ্যে অর্ধেকের বেশি অর্ডার ডেলিভারির ক্ষেত্রে এমন পদ্ধতি অবলম্বন করে থাকেন। আরেকটি কোম্পানি ইলি ডট মি একটি কোয়ারেন্টাইনড হোটেলের রুমে খাবার পৌঁছে দিতে রোবটের ব্যবহার করছে। কোম্পানিটি দীর্ঘদিন ধরে ফুড ডেলিভারি ড্রোন নিয়েও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে আসছে।
আরও পড়ুন