শরণার্থীদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে তুরস্ক: জার্মানি
প্রকাশিত : ২০:৫৭, ৪ মার্চ ২০২০ | আপডেট: ২১:০৩, ৪ মার্চ ২০২০
গ্রিস-তুর্কি সীমান্তে সিরিয় শরণার্থীদের ওপর হামলা
তুরস্কের পদক্ষেপকে অগ্রহণযোগ্য বলে অভিহীত করেছে জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মার্কেল। তিনি বলেন, শরণার্থীদেরকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে ইউরোপের ওপর চাপ সৃষ্টি করছে তুরস্ক।
তুরস্ক সেদেশে আশ্রয়গ্রহণকারী হাজার হাজার শরণার্থীকে ইউরোপে ঢোকানোর জন্য সীমান্ত খুলে দেয়ার পর জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মার্কেল এ ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানালেন।
অভিযোগে উঠে, সিরিয়া সংকটের শুরু থেকেই তুরস্ক একে অপব্যবহারের চেষ্টা করে আসছে। এ লক্ষ্যে তুরস্কের কর্মকর্তারা বহুবার সিরিয়ার জনগণের প্রতি সমর্থনের দাবি করলেও বাস্তবতা হচ্ছে তারা কেবল নিজেদের স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়ে এসেছে।
ইরানি সংবাদমাধ্যম জানায়, সিরিয়ার ইদলিবে তুরস্কের সামরিক হস্তক্ষেপের প্রতি আমেরিকা ও ন্যাটো জোট সমর্থন দিলেও ইউরোপীয় দেশগুলো সুনির্দিষ্টভাবে আঙ্কারাকে সহযোগিতা দেয়া থেকে বিরত রয়েছে। তুরস্ক সরকারের ধারণা তারাও ন্যাটোর সদস্য হওয়ার কারণে এ জোটের অন্য দেশগুলো রাশিয়া ও সিরিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে তুরস্ককে সহযোগিতা করবে। কিন্তু ন্যাটো জোট কেবল মৌখিক সমর্থন দেয়ার মধ্যেই সীমাবদ্ধ রয়েছে।
ন্যাটোর মহাসচিব জেন্স স্টোলেনবার্গ এ জোটের জরুরি বৈঠকে সিরিয়া ও রাশিয়ার বিমান হামলায় তুর্কি সেনা নিহতের ঘটনায় সহমর্মিতা প্রকাশ করে এর নিন্দা জানিয়েছেন এবং একইসঙ্গে ইদলিবে সিরিয়ার সেনাবাহিনীর ওপর তুরস্কের হামলা বন্ধেরও আহ্বান জানিয়েছেন।
ন্যাটো জোট কেবল মুখে তুরস্কের প্রতি সমর্থন দেয়ায় এবং ইউরোপীয় কর্মকর্তারাও সাহায্য না করায় তুরস্ক সরকার খুবই ক্ষুব্ধ হয়ে আছে। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগান প্রথমে শরণার্থীদেরকে ইউরোপে পাঠানোর হুমকি দিয়েছিলেন এবং এখন তিনি সীমান্ত খুলে দিয়েছেন। তুরস্ক গ্রিসের সীমান্ত খুলে দেয়ায় ইউরোপের দিকে শরণার্থীর ঢল নেমেছে যা ওই অঞ্চলে নতুন করে সংকট তৈরি করেছে। কারণ গ্রিস শরণার্থীদের প্রবেশ ঠেকানোর চেষ্টা করছে।
এদিকে, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এক বিবৃতিতে তুরস্ক ও গ্রিস সীমান্তে শরণার্থীদের ওপর নির্যাতন ও সহিংসতার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছে, বেচারা শরণার্থীরা রাজনৈতিক সংঘাতের হাতিয়ারে পরিণত হয়েছে।
এসি
আরও পড়ুন