রাহুল গান্ধীর করোনা ভাইরাস পরীক্ষার দাবি
প্রকাশিত : ১৭:৩৮, ৫ মার্চ ২০২০
ইতালি থেকে ভারতে আসা ১৬ জন পর্যটকের মধ্যে করোনা ভাইরাস আক্রান্তের খবর পাওয়া গেছে। আর তাদের থেকেই এ ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে। আক্রান্ত হয়েছে তাদের সঙ্গে থাকা গাড়ি চালকও।
ফলে ইতালি এখন ভারতীয়দের কাছে করোনা ভাইরাস আতঙ্কের আরেক নাম। আর এর মধ্যেই দিন কয়েক আগে ইতালি সফর সেরে দেশে ফিরেছেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধি। বর্তমানে সংসদের অধিবেশনেও যোগ দিচ্ছেন তিনি। এই পরিস্থিতিতে এবার রাহুল গান্ধির শরীরে করোনা ভাইরাস বাসা বেঁধেছে কিনা তা জানার জন্যে পরীক্ষা করার দাবি জানালেন বিজেপি সাংসদ রমেশ বিধুরী।
তিনি বলেন, "সাংসদরা জনগণের প্রতিনিধি, সাধারণ মানুষের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ হয় তাঁদের। কয়েকদিন আগেই রাহুল গান্ধি ইতালি থেকে ফিরেছেন। সম্প্রতি ইতালি থেকে আসা বহু মানুষের শরীরে করোনা ভাইরাস ইতিবাচক বলে প্রমাণিত হয়েছে। ফলে রাহুল গান্ধিরও করোনা টেস্ট করানো উচিত। কেননা ইতিমধ্যেই যদি তার দেহে ওই ভাইরাস বাসা বেঁধে থাকে তবে তার সঙ্গে যে সব সাংসদরা ওঠাবসা করেন তাদের সবার শরীরেও করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে পারে। সুতরাং রাহুলের উচিত করোনা ভাইরাসজনিত পরীক্ষা করানো এবং সংসদে এই পরীক্ষার ফলও প্রকাশ করা উচিত ... "।
মারাত্মক এই মারণ ভাইরাস ধীরে ধীরে থাবা বসাচ্ছে ভারতেও, ইতিমধ্যেই ভারতে মোট ২৯ জন করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগীর সন্ধান মিলেছে। সম্প্রতি গুরগাঁওয়ের এক পেটিএম কর্মীর শরীরে মিলল করোনা ভাইরাসের প্রমাণ। গত বছরের ডিসেম্বরে চিনের উহান শহর থেকে ছড়িয়ে পড়ে করোনা ভাইরাস। এখনও পর্যন্ত ৬০টি দেশে সেটি ছড়িয়ে পড়ার কথা জানা গিয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ৩,০০০ জনেরও বেশি মানুষের। আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৯০,০০০। চিনে করোনা ভাইরাসের কারণে নতুন করে আরও ৩১ জন মারা গেছে।
এখনও পর্যন্ত ভারতে ৫,৮৯,০০০ জনকে ২১টি বিমানবন্দরে স্ক্রিনিং করা হয়েছে। নেপালের সীমান্তে ১০ লক্ষ জনকেও স্ক্রিনিং করার কথা জানান তিনি। ২৭ হাজার জনকে গোষ্ঠীভুক্ত ভাবে বিশেষ পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। বুধবার জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন।
ইতালি, ইরান, দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপান থেকে আগত যাত্রীদের দেশে ঢোকার ক্ষেত্রে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়েছে ভারত। চীন, ইরান, দক্ষিণ কোরিয়া, ইতালিতে যেতে নিষেধ করা হয়েছে সমস্ত ভারতীয়কে। আক্রান্ত দেশগুলিতে বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া যেতে বারণ করা হয়েছে সরকারের তরফে। এসব দেশের রাষ্ট্রও নেতা ও কূটনীতিবিদের ছাড় দেওয়া হয়েছে। ছাড় পেয়েছেন আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর কূটনীতিবিদরা।
এসি
আরও পড়ুন