বাংলাদেশসহ ৭ দেশের সঙ্গে কুয়েতের বিমান চলাচল বন্ধ
প্রকাশিত : ১১:০৫, ৭ মার্চ ২০২০
করোনার প্রকোপ থেকে মুক্তি পেতে বাংলাদেশসহ বিশ্বের ৭টি দেশের সঙ্গে বিমান চলাচল সাময়িক সময়ের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে কুয়েত সরকার। যা শুক্রবার থেকে কার্যকর হয়েছে।
আগামী এক সপ্তাহের জন্য এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে আরব টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। অন্যান্য দেশগুলো হলো- ভারত, শ্রীলঙ্কা, সিরিয়া, লেবানন, ফিলিপাইন, সিরিয়া ও মিশর।
কুয়েতের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ‘এসব দেশের নাগরিকরা যারা দেশগুলোতে সর্বশেষ দুই সপ্তাহ অবস্থান করেছেন তাদের ক্ষেত্রে এ নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হবে। আর কুয়েতের যেসব নাগরিকরা এসব দেশ ভ্রমণ করেছেন তারা ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে থাকবেন।’
বিশ্বের প্রায় শতাধিক দেশে ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাসে কুয়েতে এখন পর্যন্ত মৃতের ঘটনা না ঘটলেও, আক্রান্ত হয়েছেন অন্তত ৫৮ জন। নতুন করে যাতে আক্রান্তের সংখ্যা না বাড়ে সে জন্য এই সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নিয়েছে দেশটি।
এদিকে, উৎপত্তিস্থল চীনসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশে ক্রমাগত বেড়েই চলেছে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। এখন পর্যন্ত ৩ হাজার ৪৮৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। যেখানে ৩ হাজার ৭০ জনই চীনা নাগরিক। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় চীন ও অন্যান্য দেশের দেড়শ’রও বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন।
একইসঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের হার। যেখানে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩ হাজারের বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা লাখ ছাড়িয়েছে।
আর চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন আরও দেড় হাজারের বেশি মানুষ। যেখানে এখন পর্যন্ত করোনায় প্রকোপ থেকে মুক্তি মিলেছে ৫৫ হাজার ১৯০ জনের।
চীনের বাইরে সবচেয়ে বেশি আক্রান্তের সংখ্যা দক্ষিণ কোরিয়ায়। সেখানে এখন পর্যন্ত ৬ হাজার ৫৯৩ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন এবং মারা গেছে ৪২ জন।
অপরদিকে, চীনের বাইরে সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে ইতালিতে। প্রথম দিকে তেহরান এগিয়ে থাকলেও এক সপ্তাহের মাথায় ছাড়িয়ে যায় রোম। সেখানে এখন পর্যন্ত এই ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৪ হাজার ৬৩৬। আর গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও ৪৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে সেখানে প্রাণ হারিয়েছেন ১৯৭ জন নাগরিক।
মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ইরানেও এই ভাইরাসের প্রকোপ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। সেখানে এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ৭৪৭ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গেছেন ১২৪ জন।
গত ৩১ ডিসেম্বর চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরেই প্রথম এই ভাইরাসের উপস্থিতি ধরা পড়ে। দেশটির উহান শহরের একটি সামুদ্রিক খাবারের বাজার থেকে এই ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এআই/
আরও পড়ুন