হাজার পরিবারে খাদ্যসামগ্রী দিলেন মালয়েশিয়া প্রবাসী ইউনুস
প্রকাশিত : ২১:২৪, ১৩ এপ্রিল ২০২০
করোনা ভাইরাস জনিত কারণে হোম কোয়ারেণ্টাইনে থাকা যশোরের মনিরামপুর থানার মশ্মিনগর ইউনিয়নের নয়টি ওয়ার্ডের প্রায় এক হাজার পরিবারকে মালয়েশিয়া প্রবাসী গাজী ইউনুছ আলির পক্ষ থেকে খাদ্যসামগ্রী প্রদান করা হয়েছে।
করোনা ঝুঁকির মধ্যে প্রবাসে বসেই মণিরামপুর উপজেলার মশ্মিনগর ইউনিয়নের কর্মহীন গৃহবন্দি প্রায় এক হাজার পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন তিনি। পরিবারের স্বজনদের মাধ্যমে এলাকার কর্মহীন দরিদ্র মানুষের তালিকা করে দুই দিন যাবত প্রত্যেকটি পরিবারে খাদ্যসামগ্রী পৌছে দিয়েছেন।
গতকাল শনিবার সকাল থেকে নোয়ালী, খাজুরা, রামপুর, শাহপুর, চাকলা ওয়ার্ডে এবং দ্বিতীয়দিনের মত মশ্মিনগর, ভরতপুর, কাঠালতলা, চাপাতলাসহ ইউনিয়নে ১৬টি গ্রামের এক হাজার পরিবারের মাঝে এই খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন মালয়েশিয়া প্রবাসী গাজী ইউনুছ আলির ছেলে মো: মিথুন হোসেন, ইউনুছ আলীর বন্ধু আবু মুসা, মো: রেজাউল বিশ্বাস, মো: আবুল দফাদার, শ্বশুর মো: মোস্তফা গাজি ও বড় ভাই মো: রেজাউল গাজি প্রমুখ।
ভ্যানচালক মিলন হোসেন বলেন, ‘বাইরে মানুষজন নেই। ভাড়াও হচ্ছে না। এজন্য ১৪/১৫ দিন ধরে বাড়ি থেকে ভ্যান বের করিনি। ঘরে খাবার নেই। ইউনুছের দেওয়া চাল-ডালে ৪/৫দিন সংসার চলানো যাবে। আমিও এই প্রথম কোন খাদ্য সহায়তা পেলাম।’
‘প্রবাসী গাজী ইউনুছ আলির পক্ষে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ’ এমন লেখা ব্যানার ইজিবাইকের পাশে লাগিয়ে গত শনিবার সকাল থেকে গ্রামে গ্রামে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে। আজ রোববার বিতরণ কাজ শেষ করা হয়েছে। গত দুইদিনে প্রায় এক হাজার পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।
মালয়েশিয়া প্রবাসী গাজী ইউনুছ আলি মুঠো ফোনে বলেন, প্রায় ২৪ বছর যাবত আমি মালয়শিয়ায় আছি। বিদেশে থাকলেও কিন্তু মন পড়ে থাকে গ্রামে। এলাকার মানুষের যে কোন সংকটে আমি এগিয়ে যাই। করোনাভাইরাসের কারণে আজ মানুষের জীবন মহাসংকটে। করোনার ছোবল থেকে পৃথিবীর কোনো দেশই এখন মুক্ত নয়। বাংলাদেশেও করোনার প্রাদুর্ভাবে বাড়ছে রোগীর সংখ্যা। নানা রকম দুশ্চিন্তা ও আতংকে আছেন বাংলাদেশীরা। এছাড়া, খাদ্য সংকটে ভুগছেন অনেকেই। তাদের জীবনে নেমে এসেছে অবর্ণনীয় কষ্ট ও যন্ত্রণা। এ পরিস্থিতিতে প্রবাসে থেকেই আমার নিজ এলাকার দিন আনা দিন খাওয়া মানুষের জন্য কিছু করার হ্মুদ্র প্রয়াস।
মালয়েশিয়া প্রবাসী গাজী ইউনুস আরও বলেন, ‘মানুষের এমন দুর্দিনে যে যার অবস্থান থেকে পাশে দাঁড়ানো উচিত। আমি সামর্থ্য অনুযায়ী আমার গ্রামের মানুষকে সহায়তা করার চেষ্টা করেছি। যে কারণে আমার বন্ধু ও পরিবারের সদস্যদের মাধ্যমে ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ডের ১৬টি গ্রামের কর্মহীন দরিদ্র মানুষের তালিকা তৈরি করে প্রত্যেকটি পরিবারের মাঝে খাদ্যসামগ্রী পৌছে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছি।’
আরকে//
আরও পড়ুন