ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪

ইতালিতে করোনায় মৃতদের অধিকাংশই ষাটোর্ধ্ব 

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৪:০১, ২৪ এপ্রিল ২০২০

চীন থেকে শুরু হওয়া করোনা ভাইরাসে মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে ইউরোপ। যার সবেচেয়ে ভুক্তভোগী ইতালি। যেখানে সাড়ে ২৫ হাজারেরও বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। আক্রান্ত সংখ্যা ১ লাখ ৯০ হাজার। 

যাদের অধিকাংশের বয়স ষাটোর্ধ্ব। দেশটিতে জনসংখ্যায় তরুণদের তুলনায় বয়স্কদের সংখ্যাটাই বেশি। আর এতে করেই সেখানের এতটা প্রাণহানি বলে মনে করছেন অনেকে। পাশাপাশি সামাজিক ব্যবস্থাকেও দায়ী করছেন কেউ কেউ। 

সম্প্রতি ইউরোপের এই দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে বৃদ্ধাশ্রমে থাকা হাজারো ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। যাদের বেশির ভাগের বয়স ষাটের বেশি। গত বুধবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এ নিয়ে পোস্ট দেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী লুইজি দি মায়িও।

ওই ঘটনায় তদন্ত চলছে জানিয়ে অবহেলাকারীদের শাস্তির আওতায় আনা হবে বলে জানান তিনি। 

এসব বয়স্কদের দাদা-দাদি ও নানা-নানি সম্বোধন করে মায়িও বলেন, ‘বর্তমান এ মহামারিতে আমরা আমাদের অভিভাবকদের হারিয়েছি। মহামূল্যবান এসব দাদা-দাদুরা তাদের মৃদু হাসি দিয়ে আমাদের মন ভরিয়ে দিতেন। যা কিনা মাঝেমধ্যে ছোট্ট শিশুরা দিতে পারে। আমি আমার দাদা-দাদু ও নানা-নানুকে হারিয়েছি কয়েক বছর আগে। তাদের সঙ্গে শৈশবে অনেক গুরুত্বপূর্ণ সময় কাটিয়েছি। আমি জানি একটি ব্যক্তি জীবনে তাদের ভূমিকা কমবেশি। তাই বলব, আপনারা কেউ ভেঙ্গে পরবেন না।’

এছাড়াও তিনি এই মহামারিতে যারা আত্মীয়স্বজনদের হারিয়েছেন তাদের ভার্চুয়াল আলিঙ্গন জানান।

দেশটির কয়েকটি গণমাধ্যমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, বৃদ্ধাশ্রমে করোনায় আক্রান্তদের কর্মীরা সেবা দিতে গড়িমসি করেন ও অমানুষিক আচরণ করেন। এছাড়াও অনেকে সেবা না দিয়ে চাকরি ছেড়ে চলে যান। এতে করেই অনেকে কাঙ্খিত চিকিৎসা না পেয়ে মারা যান। 

ইতালির ন্যাশনাল হেলথ ইনস্টিটিউটের তথ্যানুসারে, দেশটিতে মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ৮৫ শতাংশের বেশি জনের বয়স ৬০-এর বেশি। যেখানে দেশটির ২৩ শতাংশ জনগোষ্ঠীর বয়স ৬৫ -এর ওপরে। ফলে, জাপানের পর বিশ্বের সবচেয় বেশি বয়স্ক মানুষের বসবাস ইউরোপের এই সমৃদ্ধ দেশটিতে। 

বয়স্করা এমনিতেই নানা রোগে ভুগছিলেন। এতে প্রাণঘাতি করোনা প্রতিরোধ করা তাদের পক্ষে অনেকটা অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায়। প্রতিষ্ঠানটি বলছে, মৃত ব্যক্তিদের মধ্যে ৪৮ শতাংশই আগে থেকে নানা রোগে ভুগছিলেন।

অন্যদিকে, সামাজিক ব্যবস্থাকে কেউ কেউ দায়ী করছেন। কারণ হিসেবে বলা হয়, দেশটিতে অধিকাংশ বয়স্ক পরিবার থেকে আলাদা থাকলেও বড় একটি অংশ একসঙ্গে থাকেন। নাতি-নাতনিসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সংস্পর্শে থাকেন তারা। 

করোনার উপসর্গ দেখা দিলে ১৪ দিন আলাদা থাকার কথা বলা হয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে। এতে করেই তাদের জন্য সংকটাবস্থা তৈরি করেছে। তাদের মাধ্যমে অন্যান্যদের মাঝে ছড়িয় পড়ছে। যার ফলে সেখানে সংক্রমণের হার এতটা প্রকট।  

এআই/
 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি