করোনায়ও যুক্তরাষ্ট্র-ইরানের মধ্যে উত্তেজনা থেমে নেই
প্রকাশিত : ১৫:৪৩, ২৭ এপ্রিল ২০২০ | আপডেট: ১৫:৪৪, ২৭ এপ্রিল ২০২০
২০১৫ সালের কথা। সেই সময় পারমাণবিক চুক্তিকে ঘিরে ইরান-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে শুরু হয় সংঘাতের। ওবামার আমলে সেই চুক্তি হয়েছিল। কিন্তু ট্রাম্প এসে তার বিরুদ্ধাচারণ করলে তাদের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি ঘটতে থাকে। চলতি বছরের শুরুতে ট্রাম্পের নির্দেশে বাগদাদ বিমানবন্দরের কাছে ড্রোন হামলায় ইরানি কমান্ডার কাশেম সোলেইমানি নিহত হলে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক তলানিতে এসে পৌঁছায়। করোনার দাপটে যখন সারা বিশ্ব কাঁপছে ঠিক সে সময়েও থেমে নেই পারস্য উপসাগর নিয়ে ইরান-যুক্তরাষ্ট্র উত্তেজনা। একে অপরকে ঘায়েল করতে চলছে হুমকি-পালটা হুমকি।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র বলেছিল, ইরান যদি বেশি ঝামেলা করে তাহলে তাদের নৌযানগুলো গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে। এর জবাবে ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর প্রধান বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্র যদি তার আগ্রাসি মনোভাব থেকে ফিরে না আসে তাহলে তারাও হাত গুটিয়ে বসে থাকবে না। মার্কিন যুদ্ধজাহাজগুলোও ধ্বংস করে দেওয়া হবে।
সর্বশেষ ইরানি প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি বলেছেন, উপসাগরে যুক্তরাষ্ট্রের উসকানিমূলক কর্মকাণ্ডের দিকে নজর রাখছেন তারা। পরিস্থিতির বিবেচনায় পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
হাসান রুহানি বলেন, বিশ্বের এ কঠিন অবস্থায় তারা কোনো সংঘাতে যেতে চান না। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র যদি অব্যাহতভাবে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করতে থাকে তাহলে তারাও এর সমুচিত জবাব দিতে জানে।
গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের তরফ থেকে বলা হয়েছিল, তাদের নৌযানগুলোকে হয়রানি করা হলে তারাও ইরানের নৌযানগুলোকে ধ্বংস করে দেবে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক টুইটারে তখন বলেছিলেন, এ ধরনের নির্দেশনা তিনি তাদের নৌবাহিনীকে এরই মধ্যে দিয়েছেন। এর পরই ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর প্রধান মেজর জেনারেল হোসেইন সালামি বলেন, এ ধরনের কিছু করা হলেও তারাও উপসাগরে মার্কিন যুদ্ধজাহাজগুলো ধ্বংস করে দেবে। কেননা তারা তাদের জলসীমার নিরাপত্তা বিধানে সবসময় বদ্ধপরিকর।
তিনি বলেন, আমি এরই মধ্যে আমাদের নৌবাহিনীকে এ নির্দেশনা প্রদান করেছি। হোসেইন সালামি বলেন, আমি সব মার্কিনির উদ্দেশে বলতে চাই, আমাদের জাতীয় নিরাপত্তায় হুমকি আসে এমন কিছু করা হলে আমরা এর সমুচিত জবাব দেব। কেননা আমাদের বিরুদ্ধে কোনো ধরনের নাশকতা আমরা বরদাশত করব না।
এমন প্রেক্ষাপটে হাসান রুহানি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের উসকানি সত্ত্বেও ইরান এই অঞ্চলে কোনো সংঘাতের উদ্যোগ নেবে না। তারা অত্যন্ত নিবিড়ভাবে বিষয়টি প্রত্যক্ষ করছেন। যুক্তরাষ্ট্রকে এখন ভাবা উচিত যে বিশ্ব এক ভয়ানক পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র যদি এভাবে তাদের বাড়াবাড়ি অব্যাহত রাখে তাহলে তারাও বসে থাকবে না।
এসএ/
আরও পড়ুন