ভারতে আক্রান্ত ৮২ হাজারের কাছাকাছি
প্রকাশিত : ১২:২৯, ১৫ মে ২০২০
ভারতে প্রতিদিনই প্রকট হচ্ছে করোনার দাপট। লকডাউন চললেও শিথিল রয়েছে অনেক স্থানে। এতে করে জেঁকে বসছে ভাইরাসটি। যার শিকার প্রায় ৮২ হাজার মানুষ।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে এনডিটিভি জানিয়েছে, ভারতে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার শিকার হয়েছেন ৩ হাজার ৯৬৭ জন। এতে করে আক্রান্ত বেড়ে ৮১ হাজার ৯৭০ জনে দাঁড়িয়েছে। প্রাণ গেছে আরও ১শ জনের। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত করোনার আঘাতে ২ হাজার ৬৪৯ জনের মৃত্যু হলো।
আর ২৭ হাজার ৯২০ জন মানুষ ভয়ঙ্কর সংক্রামক করোনার কবলে পড়েও চিকিৎসা সহায়তায় এখন ভালো আছেন ও পুরোপুরি সুস্থ হয়ে গেছেন।
করোনার সংক্রমণের শুরু থেকেই সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি মহারাষ্ট্রের। তা সে সংক্রমণের দিক থেকেই হোক বা মৃত্যু সংখ্যায়। ভারতে মোট করোনা আক্রান্তের এক-তৃতীয়াংশই মহারাষ্ট্রের। এই রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ২৭ হাজার ৫২৪। মৃত্যুর নিরিখেও দেশের মধ্যে শীর্ষে। যেখানে এখন পর্যন্ত ১ হাজার ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। যদিও সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৬ হাজার ৫৯ জন।
সংক্রমণের নিরিখে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে তামিলনাড়ু। এই রাজ্যে এখনও পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ৯ হাজার ৬৭৪ জন। এরপরই রয়েছে গুজরাট (৯ হাজার ৫৯১)। যেখানে প্রাণহানি হয়েছে ৫৮৬ জনের। রাজধানীতে দিল্লিতে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় সাড়ে ৮ হাজার। এরপরই রয়েছে রাজস্থান (৪ হাজার ৫৩৪), মধ্যপ্রদেশ (৪ হাজার ৪২৬), উত্তরপ্রদেশ (৩ হাজার ৯০২) এবং অন্ধ্রপ্রদেশ (২ হাজার ২০৫)। করোনার সংক্রমণ হাজার ছুঁতে চলেছে এমন রাজ্যের মধ্যে রয়েছে বিহার। সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা ৯৯৪ জন। কর্নাটক (৯৮৭) ও জম্মু-কাশ্মীর (৯৮৩)।
আর কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের রিপোর্ট অনুযায়ী পশ্চিমবঙ্গে আক্রান্তের সংখ্যা ২ হাজার ৩৭৭ জন। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন সংক্রমিত হয়েছেন ৮৭ জন। মৃত্যু হয়েছে ২১৫ জনের। সুস্থ হয়েছেন ৭৬৮ জন। যদিও রাজ্য সরকারের হিসেব বলছে, করোনায় মৃত্যু হয়েছে ১৪৩ জনের।
করোনা থেকে বাঁচতে দেশে গত ২৫ মার্চ থেকে লকডাউন জারি করা হয়। তবে ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, আগামী ১৭ মে তারিখের পরেও উঠছে না লকডাউন।
তবে লকডাউন জারি রেখেই বিভিন্ন জায়গায় করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের প্রবণতা বিবেচনা করে কিছু কিছু ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়ার কথাও বিবেচনা করছে কেন্দ্র। ধীরে ধীরে স্বাভাবিক পথে ফিরতেই হবে, তাই প্রথমেই শিথিল করা হতে পারে বিমান ও স্থানীয় পরিবহণগুলো চলাচলে জারি রাখা নির্দেশিকা।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের এক উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তা জানিয়েছেন, লকডাউনের এর সময় যাত্রীসংখ্যা সীমিত রেখে শুরু করা হতে পারে বাস, ট্যাক্সি ও অটো পরিষেবাও। তবে সব যানবাহনই চলবে করোনার হটস্পট নয় এমন জায়গাতেই। মূলত নন-কনটেইনমেন্ট জোনগুলিতেই চলাচল করবে সেগুলো। জানা গেছে, সরকার আগামী সপ্তাহ থেকেই দেশের মধ্যে বিমান পরিষেবা শুরু করার পরিকল্পনাও করছে।
এর আগে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে বিল গেটসের সঙ্গে বৃহস্পতিবার আলোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই মহামারির মোকাবিলায় বৈজ্ঞানিক গবেষণাসহ বৈশ্বিক সমন্বয়ের গুরুত্ব নিয়েও আলোচনা করেন তারা।
এদিক বৃহস্পতিবার মধ্যপ্রদেশ-মহারাষ্ট্র সীমান্তে অবস্থিত সেন্দওয়া শহরে পরিযায়ী শ্রমিকরা রীতিমতো হিংস্র হয়ে ওঠেন। সেখানকার ন্যাশনাল হাইওয়েতে যানজট থাকায় তারা দীর্ঘক্ষণ আটকে থাকায় ক্ষোভ ঝারেন মধ্যপ্রদেশ সরকারের উপর। শেষপর্যন্ত হাইওয়ে ধরেই হাঁটতে শুরু করেন তারা।
পরিযায়ী শ্রমিকদের অভিযোগ, মধ্যপ্রদেশ সরকার তাদের জন্যে কোনও খাবার বা পরিবহণের বিকল্প ব্যবস্থা করেনি।
এআই//
আরও পড়ুন