ব্রাজিলে আবারও সর্বোচ্চ আক্রান্ত
প্রকাশিত : ১২:০৮, ১৬ মে ২০২০ | আপডেট: ১২:২৮, ১৬ মে ২০২০
নিরব ঘাতক হয়ে ব্রাজিলে ছড়িয়ে পড়েছে করোনা। প্রতিদিনের আক্রান্তে আবারও দেশটিতে সর্বোচ্চ হানা দেয়ার ঘটনা ঘটেছে। যাতে প্রাণহানি ১৫ হাজার ছুঁই ছুঁই। তারপরও লকডাউনের বিপক্ষে প্রেসিডেস্টে বোলসোনারো।
এমনকি, তার নির্দেশনা না মানায় এক গভর্নরের সাথে রীতিমত বাঁকযুদ্ধে লিপ্ত হয়েছেন বোলসোনারো। সাও পাওলোর ওই গভর্নরের ন্যায় অন্যান্যরাও প্রেসিডেন্টের নির্দেশনা মানতে অনেকটা অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।
আজ শনিবার বাংলাদেশ সময় সকাল পর্যন্ত বিশ্বখ্যাত জরিপ সংস্থা ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্যমতে, দক্ষিণ আমেরিকার দেশটিতে গত একদিনে রেকর্ড ১৫ হাজার ৩০৫ জন করোনার কবলে পড়েছেন। এতে করে মোট আক্রান্ত বেড়ে ২ লাখ ১৮ হাজার ২২৩ জনে দাঁড়িয়েছে। প্রাণ হারিয়েছেন আরও ৮২৪ জন। ফলে, মৃতের সংখ্যা ১৪ হাজার ৮১৭ জনে ঠেকেছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে এ বৈশ্বিক ভাইরাসে ল্যাটিন আমেরিকার সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশটি করোনার হটস্পট হিসেবে ধরা হচ্ছে।
তবে, এসব কিছুতে এখন পর্যন্ত পাত্তাই দিচ্ছে ব্রাজিল সরকার। উল্টো যেসকল গর্ভনর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নিয়ম মেনে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতের নির্দেশনা জারি করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন প্রেসিডেন্ট বোলসোনারো।
দেশটির অন্যতম জনবহুল রাজ্য সাও পাওলো। ফলে, সেখানকার সেলুন চালু রাখার নির্দেশনা দেন প্রেসিডেন্ট বোলসোনারো। তবে, সে ডিক্রি কার্যকর করতে অসম্মতি দেন স্থানীয় গর্ভনর জোয়াও ডোরিয়া।
এ বিষয়ে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘মাত্র একজন মানুষ সাও পাওলোর ভবিষ্যতের সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। তিনি ব্রাজিলের অর্থনৈতিক ভবিষ্যতের সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। সসম্মানে বলছি, গভর্নরের সঙ্গে আপনাদের কঠোর হতে হবে। কারণ এটা খুবই গুরুতর ইস্যু, এটা একটা যুদ্ধ। ব্রাজিল বিপদে আছে।’
ব্রাজিলের এক-তৃতীয়াংশ অর্থনৈতিক লেনদেন হয় সাও পাওলোর মাধ্যমে। দেশটির মধ্যে সবচেয়ে বেশি করোনা সংক্রমিত হয়েছে এ অঞ্চলেই। ইতোমধ্যেই রাজ্যটির হাসপাতালগুলো রোগীর চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে।
এ কারণে সাও পাওলোর গভর্নর স্থানীয়দের ঘরে থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন এবং অনাবশ্যক সব ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান আগামী ৩১ মে পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করেছেন। ডোরিয়ার মতো আরও অন্তত ১০ গভর্নর বোলসোনারোর ডিক্রি না মানার ঘোষণা দিয়েছেন।
ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘মানুষ মারা যাবে? দুর্ভাগ্যজনকভাবে, যাবে। লকডাউন থাক বা না থাক প্রাণহানি চলবেই। লকডাউনের কারণে অর্থনৈতিক বিশৃঙ্খলায় যত মানুষ প্রাণ হারাবে তার সংখ্যা আরও বেশি হবে।’
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ব্রাজিলে করোনা ভাইরাসে প্রকৃত আক্রান্তের সংখ্যা অনেক বেশি হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কেননা, দেশটিতে প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম পরীক্ষা করা হচ্ছে।
গত সপ্তাহে প্রকাশিত এক জরিপে বলা হয়, ব্রাজিলে সরকারিভাবে ঘোষিত সংখ্যার চেয়ে দেশটিতে করোনায় প্রকৃত আক্রান্তের সংখ্যা ১৫ গুণ বেশি হতে পারে।
এআই//
আরও পড়ুন