ঢাকা, বুধবার   ১২ মার্চ ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

৭ মার্চের ভাষণ বাঙালির মুক্তির সনদ: হাসানুল হক ইনু

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:০৫, ৭ মার্চ ২০১৮ | আপডেট: ১৩:৩৯, ১৭ মে ২০১৮

Ekushey Television Ltd.

বাঙালির হাজার বছরের ইতিহাসে ৭ই মার্চ একটি অনন্য দিন। ১৯৭১ সালের এই দিনে ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) অনুষ্ঠিত জনসভায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঐতিহাসিক ভাষণ দিয়েছিলেন। তাঁর ১৯ মিনিট স্থায়ী এই ভাষণের মাধ্যমে তিনি বাঙালি জাতিকে পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে বেড়িয়ে আসার আহ্বান জানান। 

একই সাথে তিনি পাকিস্তান সরকারের নির্যাতন নিপীড়নের বিরুদ্ধে পুরো জাতিকে সোচ্চার করে মুক্তি সংগ্রামে উজ্জীবিত করেন। তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান থেকে সামরিক আইন প্রত্যাহার এবং নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের দাবির ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছিলেন। এই ভাষণ একটি জাতিকে মুক্তির মহাসড়কে তুলে দিয়েছিলো । 

বঙ্গবন্ধুর এ ভাষণটির গুরুত্ব অনুধাবন করে মার্কিন ম্যাগাজিনন ‘নিউজ উইক’ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ‘রাজনীতির কবি’ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। গত ২০১৭ সালের ৩০ শে অক্টোবর ইউনেস্কো ৭ই মার্চের ভাষণকে ‘ডকুমেন্টারি হেরিটেজ’ (বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য) দলিল হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করে ‘মেমোরি অফ দ্য ওয়ার্ল্ড ইন্টারন্যাশনাল রেজিস্টারে (এমওডব্লিউ)’ সংগৃহীত হয়েছে। দেশে বিদেশে এই ভাষণ মোট ১২টি ভাষায় অনুদিত হয়। 

বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক এ ভাষণের প্রেক্ষাপটে ঐতিহাসিক গুরুত্ব নিয়ে একুশে টেলিভিশন অনলাইনের সাথে মুখোমুখি হয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) একাংশের সভাপতি হাসানুল হক ইনু। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন একুশে টেলিভিশন অনলাইনের প্রতিবেদক কাজী ইফতেখারুল আলম তারেক।

একুশে টেলিভিশন অনলাইন: বাঙালি জাতির মুক্তির সংগ্রামের প্রেরণা সৃষ্টিতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ই মার্চের ভাষণকে আপনি একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আপনি কীভাবে মূল্যায়ন করেন?

হাসানুল হক ইনু:  বাঙালি জাতির হাজার বছরের ইতিহাসে ৭ই মার্চ একটি অবিস্মরণীয় দিন। বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ একটি পরাধীন জাতিকে স্বাধীনতার পথে অগ্রসর করে। বাংলাদেশকে একটি স্বশাসিত ভূখণ্ড হিসেবে কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে অবতীর্ণ হতে সাহায্য করেছে। ওই সময় দেশ কিভাবে পরিচালিত হবে তার পূর্ণাঙ্গ একটি চিত্র বঙ্গবন্ধুর এই ঐতিহাসিক ভাষণে তিনি উল্লেখ করেছেন। ২৬ মার্চ আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশে স্বাধীনতা ঘোষণা করা হয়। তবে ৭ই মার্চ হচ্ছে পাকিস্তানীদের হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে মহান মুক্তি সংগ্রামের প্রথম পদক্ষেপ। এই ভাষণ বাঙালির মুক্তির সনদ। 

একুশে টেলিভিশন অনলাইন: ৭ই মার্চের ভাষণের প্রেক্ষাপট স্বাধীনতার পরিবেশ সৃষ্টি করেছিল বলে আপনি মনে করেন কি?

হাসানুল হক ইনু: বঙ্গবন্ধুর এই ভাষণের মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতির মুক্তি ও স্বাধীনতা আন্দোলনের অতি উচ্চ মাত্রার রণনীতি রণকৌশল প্রয়োগ করেন। এদেশের সামাজিক, সাংস্কৃতিক, অর্থনৈতিক মুক্তির কথা, বাঙালির বঞ্চনার ইতিহাস, স্বশাসন, গণআন্দোলন এবং নির্বাচনের প্রক্রিয়া, একই সাথে পাকিস্তানী দোসরদের চক্রান্তের কথা এই ভাষণের মধ্য দিয়ে উল্লেখ করেন। এমন কি গণআন্দোলনের ফায়সালাও এখানে ছিল। জনগণের ন্যায্য দাবি নিয়ে পরিষ্কার কথা বলেন তিনি। তৎকালীন জাতীয় প্রেক্ষাপট কেমন ছিল সেটাও বিবেচনায় আনা দরকার। আমাদের অতীতের অর্জনগুলোর মধ্যে যেমন বাহান্নর ভাষা আন্দোলন, ৫৪ যুক্তফ্রন্টের নির্বাচনী বিজয়, ৬৯ এর গণ অভ্যূত্থান এবং ৭০ এর নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয় অর্জনের সকল ক্ষেত্রে পাকিস্তনীরা বিরোধীতা করেছিল।

সেই সময়ের প্রেক্ষাপট বিবেচনা করলে দেখা যায় যে, বঙ্গবন্ধুকে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা মধ্য দিয়ে হত্যার কৌশল, অন্যদিকে মাথার উপর পাকিস্তান ভাঙ্গার অভিযোগ এবং বিচ্ছিন্নতাবাদের অভিযোগ ছিল। এত কিছুর পরেও তিনি তিল তিল করে সাড়ে সাত কোটি বাঙালিকে মুক্তির সংগ্রামে জাগিয়ে তুলতে সক্ষমতা অর্জন করতে পেরেছিলেন। বঙ্গবন্ধু ছয়দফা আন্দোলনের মাধ্যমে দাবি উত্থাপন এবং স্বশাসনের পক্ষে গণরায় অর্জন, ঊনসত্তরে গণ অভ্যূত্থান মাধ্যমে আইয়ুবের শাসনতন্ত্র বাতিল, এক মাথা এক ভোট অর্জন করে তিনি সত্তরের নির্বাচনে নিরঙ্কুশ ব্যালট বিপ্লবের মাধ্যমে বিজয় অর্জন করেন।

তিনি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হবেন নাকি স্বাধীনতার লক্ষে উত্থিত জাতির কর্তৃত্বভার গ্রহণ করবেন-এই প্রশ্ন তার সামনে ছিল। তার নির্দেশনায় স্বাধীনতার পতাকা উঠেছে, স্বাধীনতার ইশতিহার পাঠ, জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন,   বাংলাদেশের সীমানা নির্ধারণ, বঙ্গবন্ধুকে দেশের সর্বাধিনায়ক হিসেবে ঘোষণা করা, জয় বাংলা বাহিনী গঠন, স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ গঠনসহ সকল আয়োজনে বাঙালি একটি স্বশস্র যুদ্ধের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছিল।

 

তিনি কোনো বিচ্ছিন্ন আন্দোলনের ডাক না দিয়ে কৌশলে পুরো জাতিকে ঐক্যের সুতোয় সম্পৃক্ত করতে পেরেছিলেন। বাঙালিদের মুক্তির সংগ্রামের পাকিস্তানিদের কাছে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের আন্দোলন  নামে আখ্যায়িত করতো। পাকিস্তানি শাসকদের এই রকম উস্কানিমূলক অভিযোগের ফাঁদে পা না দিয়ে তিনি পুরো জাতিকে মুক্তির পথে পরিচালিত করেন। যা একজন দক্ষ অভিজ্ঞ নাবিকের দ্বারায় সম্ভব। তিনি অত্যন্ত কৌশলে হাল ধরে নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে তরী বেয়ে গেছেন। যা কেবল একজন মহানায়কের পক্ষেই সম্ভব। আমরা যদি মন দিয়ে উপলদ্ধি করি, তবে বুঝতে পারবো তিনি একটি ভাষণের মাধ্যমে যে প্রজ্ঞার পরিচয় দিয়েছেন তা মহাকালের ইতিহাসে অনেক দার্শনিককেও ছাড়িয়ে গেছেন ।

আপনারা জানেন, ৭ মার্চের পর সবাই একেকজন মুজিব হয়ে উঠেছে। সুতরাং আমাদের বুঝতে হবে ৮ই মার্চ থেকে স্বাধীনতা ঘোষণার দিন পর্যন্ত পাকিস্তানের বুকে দাঁড়িয়ে কণ্ঠে জাতীয় সংগীত ধারণ করে, লাল সবুজ পতাকা উঁচিয়ে স্বাধীন স্বশাসিত দেশের মুক্তির স্বাদ আমরা এ ভাষণের মধ্য দিয়ে গ্রহণ করেছি। এ ভাষণ সাড়ে সাত কোটি মানুষের সমর্থনকে ঐক্যবদ্ধ করেছে। বঙ্গবন্ধু কারাগারে আছেন নাকি অন্য কোথাও আছেন সে দিকে না তাকিয়ে সবাই বঙ্গবন্ধুর মত ভূমিকা রাখতে শুরু করেছে।

একুশে টেলিভিশন অনলাইন: আমরা জানি যে, একাত্তরের উত্তাল দিনগুলোতে বিশ্ব রাজনৈতিক পরিস্থিতিও অত্যন্ত জটিল ছিল। সেই মুহূর্তে বাঙালির স্বাধীনতার এই স্বপ্ন বিশ্ব রাজনীতিতে কতটুকু  প্রভাব ফেলেছিল? 

হাসানুল হোক ইনু: পরিস্থিতি পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, সেই সময় বিশ্ব রাজনীতি অনেকাংশে বিভক্ত ছিল। ৬২ সালে  ভারত এবং চীনের যুদ্ধের পরে তাঁদের পারস্পরিক বিরোধ আরও প্রকট  হয়ে পরে। তখন  রাশিয়ার সাথে কোন চুক্তি ছিল না। এরপরে ১৯৬৫ সালের পাক ভারত যুদ্ধের পরে তাসখন্দ শান্তি চুক্তি হয়। এই সময় পাকিস্তান, ভারত, রাশিয়া শান্তির বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিল। পাকিস্তানিদের সাথে কমনওয়েলথভুক্ত দেশ, চীন এবং মার্কিনীদের সাথে পাকিস্তানের সুসম্পর্ক বজায় ছিল। তখন সোবিয়েত ইউনিয়ন এবং আমেরিকার মধ্যে ছিল শীতল যুদ্ধ ছিল। এই প্রেক্ষাপটে বঙ্গবন্ধু রণনীতি-রণকৌশল ঘোষণা করেন। বঙ্গবন্ধু মঞ্চে যখন উঠেন ঠিক ওই সময় সামনে ছিল বিশাল জনসমুদ্র, হাতে বাঁশের লাঠি, কণ্ঠে জয় বাংলার ধ্বনি, চোখে মুক্তির আগুন আর অদূরে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী আর স্বাধীনতার স্বপ্নটা ধ্বনিত হচ্ছে সাড়ে সাত কোটি বাঙালির হৃদয় থেকে। এই প্রেক্ষাপটে বাঙালির স্বপ্ন সাধ স্বাধীনতা যেন কোন ভাবে মার না খায় সে জন্য ৮ মার্চ সকাল থেকে অসহযোগ আন্দোলনের নামে বাংলাদেশের স্বাধীনতার কর্তৃত্বভার বঙ্গবন্ধু নিজ হাতে তুলে নেন।

২৩ মার্চ সারা দেশে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তলন করা হয় এবং পাকিস্তানের কফিনে শেষ পেরেকটি ঠুকে দেওয়া হয়েছিলো। কার্যত বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে এদেশে স্বাধীন শাসন শুরু হয়। এর শাসনকে যেন কোনোভাবে বানচাল করতে না পারে সেই জন্য সশস্র যুদ্ধের নির্দেশনা তিনি ভাষণে দিয়ে গেছেন। ২৫ মার্চের রাতে স্বাধীন স্বশাসিত দেশে পাকিস্তানিদের আক্রমণ করে বিশ্ববাসী দেখেছে। অনেক রাষ্ট্র এই গণহত্যার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে আবার অনেকে উস্কানিও দিয়েছে। জাতির এই কঠিন বিপদের মুহূর্তে বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হওয়ার পূর্ব মুহূর্তে স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। এর মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পথে যুদ্ধের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়।

একুশে টেলিভিশন অনলাইন: বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণকে ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যের প্রামাণ্য দলিল হিসেবে অন্তভুক্ত করেছে। এই ব্যাপারে আপনার অভিমত কি?

হানানুল হক ইনু: দেখুন আমরা স্বীকৃতির জন্য অপেক্ষা করি না। তারা স্বীকৃতি দিয়েছে এই জন্য তাদের ধন্যবাদ। তবে বঙ্গবন্ধুর এই ভাষণকে স্বীকৃতি দিয়ে ইউনেস্কো নিজেই সম্মানিত হয়েছে বলে মনে করি। কারণ তারা পৃথিবীর যেকোন জাতির উদার সংস্কৃতির ঐতিহ্যগুলোকে সংরক্ষণ করে থাকে। তাদের বিবেচনায় এই ভাষণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

একুশে টেলিভিশন অনলাইন: বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণার মধ্য দিয়ে দেশ স্বাধীন হয়েছে। এই ভাষণ নিয়ে ইতিহাস বিকৃতিও কম হয়নি। এই ব্যাপারে আপনাদের পদক্ষেপ কি?

হাসানুল হক ইনু: দেখুন, এক নদী রক্তের বিনিময়ে, নয় মাসের রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মাধ্যমে ১৬ ডিসেম্বর বিজয় অর্জন করে বাংলাদেশ। এই অর্জন কোন বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। এমন কি আকাশ থেকেও ঝরে পরেনি। পাকিস্তানি চৌকাঠে দাঁড়িয়ে এ দেশকে হানাদারদের হাত থেকে বঙ্গবন্ধু উদ্ধার করেন। তাঁর নেতৃত্বে আমরা যুদ্ধ করে বিজয় অর্জন করি।

বঙ্গবন্ধু হাজার বছরের ইতিহাসে একজন অনন্য সংবেদনশীল নেতা যিনি জাতির প্রাণের স্পন্দন টের পেয়েছিলেন। স্বাধীনতার পরে মাথা উঁচু করে বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হলেও পরাজিত শক্তি ও তাঁদের এদেশীয় দোসর দের হাতে বঙ্গবন্ধু সপরিবারে নির্মমভাবে নিহত হন। এরপরে এদেশে চরমভাবে ইতিহাস বিকৃতি হতে থাকে। এই নারকীয় খেলা থেকে বাংলাদেশকে মুক্তি দিয়েছে বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা।

বাংলাদেশ আবার বাংলাদেশের পথে চলতে শুরু করেছে,বাংলাদেশের রক্তাক্ত আত্মা আবার ফিরে এসেছে। শেখ হাসিনার হাত ধরে বঙ্গবন্ধু স্বমহিমায় স্বগৃহে প্রত্যাবর্তন করেছেন। জাতি একটা মহামানবের অপেক্ষায় ছিলো। যা ৭ই  মার্চের মঞ্চে বাঙালি মুগ্ধ চোখে অবলোকন করেছেন। আমরা সেই থেকে স্বাধীনতার জিসু রূপে আবির্ভূত বঙ্গবন্ধুকে পেলাম। আমার এই মুহূর্তে কবি বাবুল জোয়ার্দার একটি কবিতা মনে পরছে। তিনি বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে লিখেছেন "সে ছিল দীঘল পুরুষ/ হাত বাড়ালেই ধরে ফেলতো পঞ্চাশ হাজার বর্গমাইল/ সাড়ে সাত কোটি হৃদয় ধরে ফেলতো বৈশাখী মেঘ অনায়াসে।”

তাই আমরা বলতে পারি বঙ্গবন্ধু শুধুমাত্র একটি মানুষ নন, তিনি একটি পতাকা,  একটি মানচিত্র, আর সাড়ে সাত কোটির অনুভুতির বহিঃপ্রকাশ।

একুশে টেলিভিশন অনলাইন: আমাদেরকে মূল্যবান সময় দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

হাসানুল হক ইনু: আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ।

টিকে


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি