‘ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিচ্ছে আইসিটি খাত’
প্রকাশিত : ১৯:১১, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮
বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীলের কাতারে পর্যবেক্ষণের তালিকায় উঠেছে। গত কয়েক বছরে তথ্যপ্রযুক্তিসহ সার্বিক খাতে হয়েছে ব্যাপক উন্নয়ন। যা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্নকে ত্বরান্নিত করেছে। এমনটিই মনে করেন সামিটি কমিউনিকেশন্স লিমিটেডের এমডি ও সিইও মো. আরিফ আল ইসলাম। একুশে টেলিভিশনের একুশে বিজনেস অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
একুশে টেলিভিশন: প্রথমে জানতে চাইবো দেশের তথ্য প্রযুক্তিখাতের অগ্রগতিটা কিভাবে মূল্যায়ন করছেন?
আরিফ আল ইসলাম: টেলিকম খাতে ব্যাপক উন্নতি সাধিত হয়েছে এটা আমরা সবাই জানি। আইএসপির সংখ্যা অনেক বেড়েছে। আইএসপি সেবাটাও সারা বাংলাদেশে অনেক বেশি সহজলভ্য হয়েছে। তিন বছর আগেও সিস্ক ব্রডব্যান্ড বাসায় বাসায় দিত। সেটা দুই-তিন শতাংশের কাছে ছিল। যেটা এখন ১০ শতাংশের কাছাকাছি। আশপাশের উন্নত দেশগুলোতেও দশের কাছাকাছি আছে।
এছাড়া সফটওয়ার সেক্টরেও বেসিস ও অন্যান্ন প্রতিষ্ঠানে বিপুল পরিমানে প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে। বিভিন্ন অ্যাসোসিয়েশন এটা নিয়ে কাজ করছে। হাইটেক পার্ক হচ্ছে। হার্ডওয়ার ক্ষেত্রেও অভ্যন্তরীন উৎপাদন পরিকল্পনা চলছে। আগে যেখানে চায়না থেকে বিশেষ ডিজাইনে বানিয়ে আনা হতো।
এখন সেখানে দেশেই তা তৈরি হচ্ছে।দুই তিনটা প্লান্ট হয়েছে। আরো বেশি করার সম্ভাবনা আছে। সার্বিক বিবেচনায় আমরা এ খাতের প্রসারতায় উন্নয়নশীল দেশের কাছাকাছি চলে যাচ্ছি।আমাদের আইটি ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সূচকে আগের তুলনায় অনেক এগিয়েছি। আর দুই-তিন বছর পর আমরা একটা জাম্প দিতে পারবো। আমাদের ডিজিটালাইজড বাংলাদেশের একটি রিফলেকশন পাওয়া যাচ্ছে।ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্নকে ত্বরান্নিত করছে তথ্যপ্রযুক্তি খাত।
একুশে টেলিভিশন: সামিট কমিউনিকেশন্স এখন কোন কোন দিকে বেশি কাজ করছে?
আরিফ আল ইসলাম: আমরা সারা বাংলাদেশে ফাইবার অপটিক নেটওয়ার্ক করছি।যেটার মাধ্যমে আইএসপি ও টেলিকম অপারেটররা ট্যান্সমিশন ব্যাকবোনের সুবিধা পাবে।সারা বাংলাদেশে আমাদের ৪০ হাজার কিলোমিটার ফাইবার অপটিক নেটওয়ার্ক আছে।এর মধ্যে সাড়ে ৪ হাজার মোবাইল অপারেটর বেস কানেকশন অপারেট করছি।যেমন থ্রিজি ও ফোরজিতে যে পরিমান বেসস্টেশন ভলিয়ুম তৈরি হয়, সেটা ওয়ারলেসলি ক্যারি করা সম্ভব হয় না।
একুশে টেলিভিশন: গ্রাহকদের মাঝে ইন্টারনেট সুবিধা সহজে পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে কি করছেন?
আরিফ আল ইসলাম: পাঁচ-ছয় বছরের আগের তুলনায় ইন্টারনেট কস্ট এখন অনেক কমেছে।এটার ভলিয়ুম যত বাড়বে কস্ট ততো কমবে।
একুশে টেলিভিশন: ইন্টারনেট সেবা নিয়ে আপনার মতামত কি?
আরিফ আল ইসলাম: সেবার ক্ষেত্রে কয়েকটা পার্টি ইনভলপ।কিছু হ্যান্ড ওভার টেক ওভার ইস্যু আছে।বিশেষভাবে আমরা আইএসপি বা মোবাইল অপারেটরদেরকে যে সেবাটা দিচ্ছি সেটা হচ্ছে- আমরা ওনাদের ৯৯.৯৯৯ কনসিন্সটেন্টলি গত দুই বছর ধরে সরবরাহ করে যাচ্ছি।
একুশে টেলিভিশন: দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ডিজিটালের ছোঁয়া লাগাতে আপনাদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কি?
আরিফ আল ইসলাম: ৮ বছর আগে আমাদের যখন লাইসেন্স দেয়, কথা ছিল ১০ বছরের মধ্যে দেশের সব উপজেলায় এ সেবা পৌঁছে দেওয়ার। আমরা হয়তো আগামী ১ বছরের মধ্যে অর্থাৎ ৯ বছরের মধ্যেই সব উপজেলা কাভার করে ফেলবো।
ভিডিও দেখুন
আরও পড়ুন