ঢাকা, শনিবার   ২১ ডিসেম্বর ২০২৪

যুদ্ধশিশুরা বাংলাদেশের ইতিহাসের অংশ: মুস্তফা চৌধুরী 

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২৩:০৮, ১৯ মার্চ ২০২০

গবেষক ও লেখক মুস্তফা চৌধুরী- সংগৃহীত

গবেষক ও লেখক মুস্তফা চৌধুরী- সংগৃহীত

১৯৭১ সালে পাকিস্তানী হানাদাররা বাংলাদেশের নারীদের ধর্ষণ করে। তারপর অনাকাঙ্ক্ষিত গর্ভধারণ। মুক্তিযুদ্ধে ধর্ষণের শিকার নারীদের সন্তানদের ‘যুদ্ধশিশু’ বলা হয়। অনেক পরিবার সেসব সন্তানদের গ্রহণ করেনি। তাদের ঠাঁই হয়নি এ দেশের স্বাধীন মাটিতে। সে সময় কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, নরওয়ে, সুইজারল্যান্ডসহ আরও কিছু দেশ যুদ্ধশিশুদের দত্তক নিতে আগ্রহ প্রকাশ করে। এসব যুদ্ধশিশুদের ঘটনাবহুল জীবন নিয়ে রচিত হয় একটি বই-’৭১ এর যুদ্ধশিশু অবিদিত ইতিহাস। গবেষণামূলক বইটির রচয়িতা মুস্তফা চৌধুরী।

২০১৫ সালের একুশে বইমেলায় বইটির মোড়ক উন্মোচন করা হয়। বইটি প্রকাশের পর ব্যাপক সাড়া পড়ে। মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে অনেক কাল্পনিক গল্প আছে। সে দিক থেকে যুদ্ধ শিশুদের নিয়ে এমন বই দেশে এই প্রথম বলে জানান মুস্তফা চৌধুরী।

মুস্তফা চৌধুরী ১৯৭২ সালে মাত্র ২৩ বছর বয়সে কানাডায় পাড়ি জমান। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর এবং এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৭২ সালে কয়েক মাস তিনি তৎকালীন জগন্নাথ কলেজে অধ্যাপনা করেন। তিনি কানাডার ওয়েস্টার্ন অনটালিও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্রন্থাগার ও তথ্য বিজ্ঞান এবং কারলিটন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কানাডিয়ান হিস্ট্রিতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। 

এরপর তিনি ৩৪ বছর ধরে কানাডার ওটোয়াতে সেদেশের সরকারী চাকরি করেন। তিনি দেশটির সরকারের বিভিন্ন বিভাগ, গ্রন্থাগার ও আর্কাইভ, পাবলিক সার্ভিস কমিশন, কর্মসংস্থান এবং ইমিগ্রেশন, কানাডার মানব সম্পদ বিভাগ, কানাডার স্বাস্থ্য বিভাগসহ বিভিন্ন বিভাগে চাকুরি করেছেন। ২০১১ সালে তিনি চাকুরি থেকে অবসর নেন। মুস্তফা চৌধুরী গ্রন্থগার ও আর্কাইভে কাজ করার সময় মূলত বাংলাদেশের যুদ্ধশিশুদের উপর গবেষণা শুরু করেন।  

নিজের গবেষণালব্দ অভিজ্ঞতা নিয়ে কথা বলেছেন মুস্তফা চৌধুরী। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন একুশে টেলিভিশনের প্রতিবেদক মুহাম্মাদ শফিউল্লাহ

একুশে টেলিভিশন: যুদ্ধশিশুদের নিয়ে কাজ কিভাবে শুরু করলেন? 
মুস্তফা চৌধুরী: কানাডায় সরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ করি। দেশটির হেরিটেজ নামে এক বিভাগে আমার কাজ। সে সময় আন্তঃদেশীয় অ্যাডাপশনের (সন্তান দত্ত্বক) বিষয়াদির উপর ছিল আমার গবেষণা। তখন আমি কাজ করতে গিয়ে একটা ডকুমেন্ট পেলাম। যেটায় বাংলাদেশ থেকে কিছু দত্ত্বক নেওয়া শিশুর কথা উল্লেখ রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে আমার আগ্রহ তৈরী হলে তাদের খুঁজে বের করলাম। বিষয়টা খুবই স্পর্শকাতর হওয়ায় প্রথমে কেউ কথা বলতে রাজি হচ্ছিল না।  

সরকারী চাকুরীজীবী এবং গবেষক হওয়ায় ধীরে ধীরে তাদেরকে আমি বুঝাতে সক্ষম হই। একটা সময় আমি কানাডার সংবাদ পত্রে বিষয়গুলো নিয়ে লিখতে শুরু করলাম। দেশটির বেশ কয়েকটি সংবাদ পত্রে গুরুত্বের সঙ্গে বিষয়গুলো প্রকাশ করলে তারাই আমাকে সহযোগিতা করে এবং বই লিখতে তাগাদা দেয়।

একুশে টেলিভিশন: এ কাজগুলো করতে গিয়ে আপনার প্রতিবন্ধকতা কতটুকু ছিল?
মুস্তফা চৌধুরী: অনেক প্রতিবন্ধকতা ছিল। সবচেয়ে বড় এবং বেশি প্রতিবন্ধকতা ছিল দালিলিক প্রমাণ নিয়ে। দালিলিক প্রমানাদি ১৯৭৫ সালের পর পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে। কানাডা এবং জেনেভায় কিছু আর্কাইভ করা আছে। অস্টেলিয়ার এক গবেষক আমাকে এ বিষয়ে বেশ সহযোগিতা করেছিলেন। সে সময় বাংলাদেশেও আসলাম কয়েকবার তবে কোন লাভ হলো না। যেসব মিশনারী চ্যারেটিজ থেকে শিশুদের দত্ত্বক দেওয়া হয়েছিল সেখানেও গিয়ে কোন কিছু পেলাম না। 

বইটিতে যুদ্ধশিশুদের বর্তমান অবস্থা এবং ইতিহাস তুলে ধরেছি। যুদ্ধশিশুরাও ইতিহাসের একটা বড় অংশ। ২০১৪ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল যুদ্ধশিশু ও বীরঙ্গনাদের পূর্নবাসনের ব্যবস্থা করার জন্য সরকারকে বলেছিলেন কিন্তু ৬ বছর পার হলেও একটা যুদ্ধশিশুও বেরিয়ে আসে নাই। এটা একটা বিশাল প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। যুদ্ধশিশুদের বয়স এখন ৪০ এর কোঠায়। এখন তারা ঘর সংসার করছে। এ সময় তারা বিষয়টিকে হয়ত আর সামনে আনতে চাইছে না বলে ধারণা করছি। হয়ত বিষয়টিতে তারা সংকোচ ও অসমতার স্বীকার হবেন বলে ভাবছেন। 

একুশে টেলিভিশন: কী ধরনের অসমতা বা বৈষ্ণম্য থাকতে পারে?
মুস্তফা চৌধুরী: যতই বলি না কেন আমরা তো আলোকিত নই। আমি বা আমরা বলি, সংকোচের কিছু নেই। কিন্তু মেয়ে বা ছেলে বিয়ের ক্ষেত্রে যদি জানতে পারে, যার সঙ্গে একজন যুদ্ধশিশুর বিয়ে হচ্ছে। তখন হয়ত আমরা বিয়ে থেকে পিছিয়ে যাব। আমাদের বলায় এবং করায় বিশাল ফারাক রয়েছে। নিজেদের ক্ষেত্রে আমরা পিছিয়ে যাই। সেদিক থেকে আমরা আলোকিত হই নাই। 

তবে এখন বিষয়টিতে মানুষ আগ্রহ দেখাচ্ছে। এখন বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। মিডিয়া কথা বলছে। এটা একটা আশার বিষয়। 

একুশে টেলিভিশন: বাংলাদেশে অবস্থিত যুদ্ধশিশুদের নিয়ে আপনার পরিকল্পনা কি? 
মুস্তফা চৌধুরী: বাংলাদেশে অবস্থানকৃতদের নিয়ে গবেষণা নেই। প্রথমে জানতে হবে কারা যুদ্ধশিশু?  তাদেরকেই প্রথমে বেরিয়ে আসতে হবে। অন্যথায় খুঁজে বের করা বেশ কঠিন। সঠিক দালিলিক প্রমাণ তেমন একটা নেই। তাদেরই প্রথমে আত্মপরিচয় দিতে হবে। সরকার এ ক্ষেত্রে তাদের পরিচয় প্রকাশে আহবান জানাতে পারে। তবে কেন তারা নিজেদের পরিচয় প্রদান করবে এটাও ভাবতে হবে। যুদ্ধশিশুরা মনে করেন, এতে তারা কটুকথার শিকার হবেন। কেননা আমরা তো বাস্তবিক অর্থে তেমন আলোকিত হয়নি। তবে অবস্থার পরিবর্তন হচ্ছে। যেমন দশ বছর আগে এ বিষয়টি নিয়ে কেউ কথা বলেনি। দেখুন আপনিও কিন্তু লিখছেন। এখন অধিকার নিয়ে কথা বলা হচ্ছে। নিজের পরিচয় নিয়ে তারাই হয়ত এক সময় আগ্রহী হবেন। 

আমি আমার বইটির একটা অধ্যায়ের পুরোটাই যুদ্ধশিশুর সরাসরি মুখের কথা তুলে ধরেছি। তাদের ভাবনা তুলে ধরেছি। তারা কতটুকু কানাডিয়ান বা কতটুকু বাংলাদেশি হয়ে পরিচয় প্রকাশ করতে আগ্রহী হয় সে বিষয়টা তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। 

একুশে টেলিভিশন: বাংলাদেশে অবস্থানকৃতদের বর্তমান অবস্থা কেমন হতে পারে?
মুস্তফা চৌধুরী: এটা আসলে ধারণা করা ছাড়া কিছুই বলা যাবে না। বাংলাদেশের যুদ্ধশিশুদের সঠিক পরিসংখ্যান তো কোথাও নেই। আমি মনে করছি, কানাডার মতোই বাংলাদেশে অবস্থানকৃত যুদ্ধশিশুরা স্ব স্ব জায়গায় প্রতিষ্ঠিত। তবে কানাডায় বাংলাদেশের যুদ্ধশিশুরা এখন তাদের পরিচয় প্রদানে কুণ্ঠাবোধ করছেন না। বাংলাদেশে অবস্থানকৃত যুদ্ধশিশুরা কুণ্ঠা প্রকাশ করছে- এমনটিই হতে পারে। ২০১৪ সালে ট্রাইবুনাল যুদ্ধশিশুদের পূর্ণবাসনের জন্য যে রায় দিয়েছিলেন তারপর তো কোন যুদ্ধশিশু বেরিয়ে আসেননি। এটা আমারদের নিজেদেরই প্রশ্ন করতে হবে কেন বেরিয়ে আসছেন না। আমিই উত্তর দিচ্ছি, তারা মনে করেন তারা বেরিয়ে আসলে তারা বৈষ্ণম্যের শিকার হবেন। যখন ১৯৭২ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ইন্টারন্যাশনাল সোস্যাল সার্ভিসকে সুপারিশের জন্য অনুরোধ করেছিলেন যে, কি করা যায়। তখন ঐ সার্ভিস বলেছিল, তারা বড় হলে বৈষ্ণম্যের শিকার হবে তাই তাদেরকে বিদেশীদের মধ্যে যারা দত্ত্বক নিতে চায় তাদের দিয়ে দিতে হবে। তাহলেই তারা ভালো থাকবে।
 
সে সময় বাংলাদেশে তারা নিগৃহীত হয়েছিল। পত্রিকাগুলো তখন তাদেরকে শত্রু সন্তান, জারজ সন্তান, অনাকাঙ্খিত শিশু, অপ্রত্যাশিত শিশু হিসেবেই পরিচিত করায়। বিভিন্নভাবে তাদেরকে আখ্যায়িত করা হয়েছে। প্রত্যেকটা নেতিবাচক শব্দ। আজাদ পত্রিকাও তাদেরকে শত্রু সন্তান হিসেবে উল্লেখ করে। যখন তাদের কয়েকজনকে কানাডায় আনা হয় তখন এক মাত্র অবজারভারই একমাত্র পত্রিকা তারা খবর প্রকাশ করে। বিষয়টা এমন যে, তাদের নিয়ে কোন সংবাদ যেন প্রকাশ হতে পারে না। তবে সে সময় কানাডার প্রত্যেকটা খবরের কাগজে বিষয়টি কিন্তু গুরুত্বের সঙ্গে প্রকাশ করেছে। 

একুশে টেলিভিশন: যুদ্ধশিশুদের সঠিক সংখ্যা জানা যাচ্ছে কি?
মুস্তফা চৌধুরী: যুদ্ধশিশুদের সঠিক সংখ্যা জানতে হলে আগে জানতে হবে কত জনের জন্ম হয় নাই। সে সময় তো অনেক মায়ের গর্ভপাত করা হয়েছিল। সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন হতে পারে এই ভয়ে লুকানো হয়েছিল। তাই সঠিক সংখ্যা বলা যাবে না। এছাড়াও এ নিয়ে সরকারী বা বেসরকারীভাবে সঠিক দালিলিক প্রমাণ নেই। এ নিয়ে তখন সতকর্তা দেখা যায়নি। আমি বাংলাদেশ থেকে কিছু তথ্য পাওয়ার চেষ্টা করেছি। ১৯৭৫ সালে অনেক প্রমাণ পুরোপুরি পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে। 

একুশে টেলিভিশন: কানাডায় কতজন যুদ্ধ শিশু বাস করছেন এবং আপনি কত বছর ধরে গবেষণা করছেন?
মুস্তফা চৌধুরী: ১৯৭২ সালে রেডক্রসের মাধ্যমে প্রথম ১৫ জন যুদ্ধশিশুকে দত্তক নেয় কানাডার দুটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। তিনটি ধাপে এসব শিশুদের দত্তক নেয় কানাডা সরকার। প্রথম পর্যায়ে নেওয়া ১৫ শিশুর মধ্যে ছিল ৮ জন মেয়ে ও ৭ জন ছেলে। আমি গত ২০ বছর ধরে যুদ্ধ শিশুদের নিয়ে গবেষণা করেছি।

একুশে টেলিভিশন: এ গবেষণায় আপনি বাংলাদেশ না কানাডার উপর নির্ভর করেছিলেন?
মুস্তফা চৌধুরী: আমি বাংলাদেশ থেকে তেমন একটা তথ্য পাই নাই। মন্ত্রণালয় থেকে শুরু করে বিভিন্ন দপ্তরে যোগাযোগ করেও কোন লাভ হয়নি। তবে কানাডার সরকারী আর্কাইভস থেকে আমি তথ্য সংগ্রহ করেছি। বাংলাদেশে তেমন একটা আগ্রহ দেখা যায়নি। এটার কিছু কারণও হয়ত আছে। 

একুশে টেলিভিশন: যুদ্ধ শিশুদের দত্তক দেওয়ার প্রক্রিয়াটা কী ছিল?
মুস্তফা চৌধুরী: যুদ্ধ পরবর্তী সময়ে রেডক্রস ও আন্তর্জাতিক কয়েকটি সংস্থা যুদ্ধের সময় নির্যাতিত ও ধর্ষিতা নারীদের নিয়ে কাজ করেছিল। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রতিদিনই গর্ভপাত করানো হতো। সেসব বীরাঙ্গনা হোমে আশ্রয় নিতেন। সরকার যখন সিদ্ধান্ত নিল, যুদ্ধ শিশুদের দেশের বাইরে পাঠিয়ে দেওয়া হবে তখন রেডক্রসসহ আরও কিছু প্রতিষ্ঠান এ বিষয়ে এগিয়ে আসে। পরবর্তীতে রেডক্রসের সহযোগিতায় কয়েকটি দেশ যুদ্ধ শিশুদের দত্তক নিতে আগ্রহ প্রকাশ করে। সবার আগে এগিয়ে আসে কানাডার দুটি স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান। পরবর্তীতে দুই দেশের সহযোগিতায় তা সম্ভব হয়।

একুশে টেলিভিশন: যুদ্ধশিশুরা ইতিহাসের অংশ কতটুকু?
মুস্তফা চৌধুরী: অবশ্যই, তারাই ইতিহাসের বড় একটা অংশ। আসলে বিভিন্ন দপ্তরের মধ্যে পারস্পারিক সহযোগিতা না থাকলে এ ইতিহাস ধরে রাখা যাবে না। বাংলাদেশে মন্ত্রণালয় থেকে শুরু করে বিভিন্ন দপ্তর কেমন যেন আগ্রহী নয়। কর্মকর্তা বা কর্মচারীরা এ বিষয়টায় সহযোগিতা করতে চায় না। যতটুকু তথ্য আছে তাও দিতে চায় না। বিভিন্ন সময়ে তথ্যের বিকৃত হয়েছে। মুক্তযুদ্ধের অনেক বই, নাটক থাকলেও যুদ্ধশিশুদের নিয়ে তো তেমন একটা নেই। যা আছে তা তো কাল্পনিক। যুদ্ধশিশুদের নিয়ে কখনও আলাদা চিন্তাভাবনা ছিল না। 

একুশে টেলিভিশন: কানাডায় যারা আছেন তারা বাংলাদেশকে কিভাবে ধারণ করেন? 
মুস্তফা চৌধুরী: তারা নিজের অধিকারের দিক দিয়ে বাংলাদেশকে ধারণ করেন। তারা এখন স্বাভাবিকভাবেই পরিচয় দেন। তারা বিব্রতবোধ করেন না। তারা কানাডিয়ান বাবা মায়ে সঙ্গে থাকলেও বাংলাদেশে মা বাবার কথা বলেন। তারা বলে ‘আমরা কানাডিয়ান, বাই বর্ন বাংলাদেশি’।  এদের কেউ কেউ মায়ের খোঁজে বাংলাদেশে এসেছিলেন। তবে মাকে আর তারা খুঁজে পাননি। দত্তক দেওয়ার সময় অনেক বিষয়ই সুস্পষ্টভাবে লেখা ছিল না। দুই বছর আগে আমার সঙ্গে শামা নামের একটা মেয়ে বাংলাদেশে এসেছিলেন। অনেকে বাংলাদেশে এসে বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডে জড়িত হচ্ছেন। বিভিন্ন কল্যাণমূলক কাজে অনুদানও দিচ্ছেন। 

এমএস/এসি

 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি