ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২১ নভেম্বর ২০২৪

ক্যারিয়ারের শুরুতে যে ৬ টি বিষয় মেনে চলবেন

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২২:৪৮, ২২ মে ২০১৮ | আপডেট: ১২:৩০, ২৩ মে ২০১৮

শিক্ষাজীবন শেষে ক্যারিয়ারের শুরুটা আমাদের অনেকের জন্যই বেশ কঠিন একটা সময়। কোন খাতে কীভাবে ক্যারিয়ার শুরু করবেন সেটাই অনেকে বুঝে উঠতে পারে না। তবে যেদিকেই আপনি ক্যারিয়ার শুরু করেন না কেন কিছু বিষয় আছে যা সব ক্ষেত্রেই দরকার হবে। ক্যারিয়ারে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সফল এমন বেশ কয়েকজন নতুনদের জন্য তাদের পরামর্শ দিয়েছেন। তাদের পরামর্শের ভিত্তেই লেখা এই প্রতিবেদনটি হতে পারে আপনার মূল গাইডলাইন।

১. লক্ষ্য থাকতে হবে বড়

কথায় বলে মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়। তাই আপনি ততটাই বড় বা সফল হতে পারবেন যতটা হওয়ার স্বপ্ন আপনি দেখেন। ক্যারিয়ারে আপনি কতটা উপরে উঠতে চান তার একটি সময় অনুযায়ী তালিকা তৈরি করুন। যেমন আগামী ২ বছরে নিজেকে কোন স্থানে আনতে চান তা কাগজে কলমে লিখুন। কিছু দিন পর ফলোআপ করুন যে আপনার লক্ষ্য অর্জনে আপনি কতটূকু এগিয়েছেন। আপনার অবস্থানে অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে যারা কাজ করছেন তাদের অবস্থা দেখুন। তাদের বেতন, শ্রম এগুলো বিবেচনা করে মূল্যায়ন করুন যে আপনি কোন অবস্থানে আছে।

পাশাপাশি, যেসব প্রতিষ্ঠানের ভবিষ্যত ভালো এমন প্রতিষ্ঠানে কাজ করার চেষ্টা করুন। আপনার আশেপাশে ইন্ডাস্ট্রি দ্রুত বদলে যাবে। তাই এমন একটি ট্রেনেই উঠুন যার গতি অন্যদের থেকে বেশি আর যার নিজের গন্তব্যে পৌছানোর তাগিদ আছে।

২. সফলদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করুন

সফল হতে হলে সফলদের সাথে আপনার যোগাযোগ রাখা উচিত। এতে করে আপনি তাদের থেকে অনেক কিছু শিখতে পারবেন। তাদের অভিজ্ঞতা, সমস্যা সমাধানের কৌশল, সফল হওয়ার গল্প এগুলো থেকে আপনি অনেককিছু জানতে ও শিখতে পারবেন। তাই এদের সাথেই আপনার যোগাযোগ রাখা উচিত। ক্যারিয়ারে উপরে উঠতে এরা আপনাকে অনেক সাহায্যও করতে পারে।

৩. ভালো একাডেমিক জ্ঞান

একাডেমিক ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে কারো যোগ্যতা যাচাই হয়তো সবসময় ঠিক না। তবে একাডেমিক জ্ঞানের ওপর ভিত্তি করে যোগ্যতা যাচাই করা যেতেই পারে। আপনার সিজিপিএ কম হলেও আপনি একজন ভালো কর্মী হতে পারেন। তবে আপনার একাডেমিক জ্ঞান ভালো না থাকলেও সিজিপিএ শুধুই একটি সংখ্যা আপনার জন্য। তাই যে বিষয় নিয়েই পড়াশুনা করেন না কেন তার ওপর ভালো দখল আপনার থাকা চাই।

শুধু তাই নয়, যে বিষয়ে আপনি পড়াশুনা করেছেন সেই বিষয়ের সাথে সংশ্লিষ্ট খাতের সর্বশেষ খবরাখবর আপনার জানা থাক চাই। জানেন তো, স্মার্ট তারাই যাদের কাছে তথ্য থাকে!

৪. কাজের জায়গাও গুরুত্বপূর্ণ

আপনি কোথায় কাজ করছেন তাও খুব গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে মোটা অংকের টাকা আয় করা যায় এমন স্থানে চাকরি করলে এমনিতেই আপনার বেতন বেশি হবে। সেইসাথে উপার্জিত টাকা কম গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ব্যয় করার চেষ্টা করুন।

একটি উদাহরণ দিয়ে বললে বিষয়টা পরিষ্কার হবে। আপনি যদি ইউরোপ বা আমেরিকার কোন প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন আর তা যদি বাংলাদেশের মতো দেশে ব্যয় করেন তাহলে খুব সহজেই এখানে একটা বাড়ি করতে পারবেন। যা হয়তো সেই দেশগুলোতে কঠিন। অথবা এই দেশে থেকে উপার্জন করা কঠিন।

পাশাপাশি আপনি যে প্রতিষ্ঠানেই কাজ করুন না কেন, প্রতিষ্ঠানটির প্রধান কার্যালয়ে কাজ করার তাগিদ থাকা চাই আপনার মধ্যে। কারণ, প্রতিষ্ঠানটির সার্বিক সিদ্ধান্ত যারা নেয় আপনি সেখানে তাদের সাথে কাজ করবেন।

৫. যোগাযোগ দক্ষতা

সবকিছু ছাপিয়ে আপনাকে যে বিষয়টি মাস্টার হতে হবে তা হচ্ছে যোগাযোগ দক্ষতা। অনেকের ভালো যোগাযোগ থাকার পরেও ক্যারিয়ারে বেশিদূর যেতে পারেন না। এর কারণ হলো যোগাযোগের মানুষ থাকলেও তার হয়তো যোগাযোগের দক্ষতা ছিল না। এই বিষয়টিতে যদি আপনি ভালো হতে পারেন তাহলে খুব সহজেই গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নজরে পরে যেতে পারেন আপনি। আপনার চিন্তাভাবনা ও লক্ষ্যের বহিঃপ্রকাশ ঘটাতে পারবেন আপনি।

৬. প্রতিনিয়ত নিজেকে শিক্ষা দিন

আপনি হয়তো একটি বিষয়ে দক্ষ এবং বেশ ভালো অবস্থানেই আছেন। এর মানে এই না যে, আপনি সেখানেই থেমে থাকবেন। ব্যবসায়িক খাত দ্রুত পরিবর্তনশীল। তাই নতুন নতুন ধারণার সাথে আপনার পরিচিত থাকতে হবে। আপনাকে এমন এক ব্যক্তি হতে হবে যে শুধু একটি কাজই পারেন না। বরং একাধিক খাতের একাধিক বিষয়ে আপনাকে কাজে লাগানো যেতে পারে। তাই নিজেকে সবসময় কিছু না কিছু শিক্ষা দিন আর তৈরি রাখুন।

সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

//এস এইচ এস//টিকে


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি