সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এ বাড়ছে কাজের পরিধি
প্রকাশিত : ২৩:০৫, ২৬ অক্টোবর ২০১৮
ক্যারিয়ার হিসেবে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং অনেকের কাছে পছন্দের একটি খাত। এই খাতে কাজের সুযোগ ও পরিধি বাড়ছে আগের সময় থেকে অনেক বেশি। তবে সিভিল ইঞ্জিনিয়াইং এ সফল ক্যারিয়ার গড়তে হলে চাই দক্ষতা। আর বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দক্ষতা অর্জনে পড়াশুনার বিকল্প কিছু নেই।
দেশে উন্নয়নমূলক কার্যপরিচালনার পাশাপাশি মফস্বল এলাকায় নির্মাণ করা হচ্ছে পাকা ভবন। সেই সাথে সরকারি বড় বড় প্রকল্প যেমন মেন্ট্রোরেল, মহাসড়ক নির্মাণসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি ভবন নির্মাণে সামনে আরও দক্ষ সিভিল ইঞ্জিনিয়ারের চাহিদা বাড়বে।
আজ শুক্রবার রাজধানীর ডিপ্লমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউটে (আইডিইবি) এক্সিলেন্স বাংলাদেশ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন এই খাতের সফল ক্যারিয়ার গড়া ব্যক্তি ও বিশেষজ্ঞগণ। আলোচনা সভার উদ্বোধণ করেন প্রাইভেট সেক্টর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ফেডারেশন বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা সেক্রেটারি ইঞ্জিনিয়ার জামাল উদ্দিন নাহিদ। এতে আরও উপস্থিত ছিলেন ক্রাউন সিমেন্টের সিইও মাসুদ খান, ড্যাফোডিল কম্পিউটার্স লি. এর হেড অফ মোবাইল বিজনেস মুহাম্মদ তৌফিকুল ইসলাম, স্টার সিরামিকস লি. এর হেড অফ এইচআর হাসান আকন্দ, প্রভিটা গ্রুপের হেড অফ এচইআর জাহাঙ্গীর নবী মীর, এইচআর প্রফেসনালের এস এম আহবাবুর রহমান, ইগলু আইসক্রিমের সিইও কামরুল হাসান, আকিজ ফুড অ্যান্ড বেভারেজেস লি. এর সিইও নজর ই জিলানী, শান্তা হোল্ডিংসের চিফ ইঞ্জিনিয়ার শাখাওয়াত হোসেন, বসুন্ধরা গ্রুপের এইচআর প্রফেশনালস তানিয়া জাহিদ এবং দৈনিক মানবকণ্ঠের সিনিয়র রিপোর্টার নাজমুল হক ইমনসহ প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, ‘পড়াশুনার পাশাপাশি বাস্তবিক শ্রমের বিনিময়ে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। আমাদের দেশে প্রতি বছর সিভিল ইঞ্জিনিয়ারস প্রায় সব খাতেই অনেক মেধাবী মুখ বেরিয়ে আসলেও চাকরির ইন্টারভিউ দিতে গিয়ে তারা নিজেকে প্রমাণ করতে পারছে না। এটি থেকে বের হয়ে আসতে হবে। প্রকৃত মেধাবীর অভাবে অনেক ক্ষেত্রে বিদেশীদের চাকরি দিতে হচ্ছে। যা কাম্য নয়।’
ক্রাউন্ট সিমেন্টের সিইও মাসুদ খান বলেন, ‘দেশে উন্নয়নমূলক কাজ বৃদ্ধি পাওয়ায় সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে সম্ভবনা বাড়ছে। শহরের পাশাপাশি গ্রামেও অনেক এখন দালান কোঠা নিমার্ণ করা হচ্ছে। মেট্রোরেল ও মহাসড়ক নিমার্ণের পাশাপাশি বিভিন্ন সরকারী বেসরকারি ভবন নির্মাণ বেড়ে গেছে। সামনে আরও বাড়বে। তবে নিজেকে দক্ষ করে গড়তে না পারলে পড়াশুনা করে পাওয়া শুধু সার্টিফিকেট দিয়ে চাকরি হবে না। তাই এখনি সময় নিজেকে প্রস্তুত করার।’
বসুন্ধরা গ্রুপের এইচআর প্রফেশনালস তানিয়া জাহিদ বলেন, ‘বর্তমান সময়ে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে হলে মেধা ও দৈহিক শ্রমের বিকল্প নেই। পড়াশুনার পাশাপাশি ক্যারিয়ারে ভালো কিছু করতে নেটওয়ার্কিং অর্থাৎ যোগাযোগ বাড়াতে হবে। এছাড়া পার্সোনাল ব্র্যান্ডিংয়ের মাধ্যমে নিজেকে তুলে ধরতে হবে”।
মানব কণ্ঠের সিনিয়র রিপোর্টার নাজমুল হক ইমন বলেন, “সবধরণের পেশার সাথেই সাংবাদিকতার সম্পর্ক আছে। কোন ব্যক্তি যে পেশাতেই থাকুন না কেন সে পার্টটাইম করে হলেও সাংবাদিকতায় আসতে পারেন। কলামসহ বিভিন্ন ধরণের আর্টিকেল লিখতে পারেন। আমাদের দেশে অবকাঠামোগত বিভিন্ন স্থাপনায় প্রায়ই আমরা ত্রুটি দেখি আর তা নিয়ে প্রতিবেদন করি। আগামী দিনগুলোতে যদি দক্ষ সিভিল ইঞ্জিনিয়ার বের হয়ে আসে তাহলে দেশের অবকাঠামো আরও উন্নত হবে”।
//এস এইচ এস//
আরও পড়ুন