ঢাকা, রবিবার   ১৩ অক্টোবর ২০২৪

‘ডাক্তারি রিপোর্ট না থাকলেও খালাস পেতে পারে না ধর্ষক’

শাকেরা আরজু

প্রকাশিত : ১২:১৫, ১৪ নভেম্বর ২০২১

ভূক্তভোগীর ডাক্তারি রিপোর্ট না থাকলেও মামলা থেকে ধর্ষক খালাস পেতে পারেন না- এমন মন্তব্য করেছেন আইনজ্ঞরা। উচ্চ আদালতের রায়ের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী ভূক্তভোগীর জবানবন্দি ও অন্যান্য পারিপার্শ্বিক অবস্থা প্রমাণিত হলে সাজা দেয়া যেতে পারে। 

২০১৭ সালে বনানীর রেইনট্রি হোটেলে দুই শিক্ষার্থী ধর্ষণের মামলার রায়ে খালাস পায় পাঁচ আসামি। মামলায় রাষ্ট্রপক্ষ প্রমাণ করতে কেন ব্যর্থ হয়েছে তার পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন বিচারক। ধর্ষণকাণ্ডের ৩৮ দিন পর মামলা করা, ডাক্তারি পরীক্ষা ও ডিএনএ রিপোর্টে ধর্ষণের আলামত না পাওয়া ও পারিপার্শ্বিক সাক্ষ্য বিশ্বাসযোগ্য না হওয়া ছিল আসামীদের খালাস পাওয়ার অন্যতম কারণ। এরপর থেকেই রায় নিয়ে সমালোচনা শুরু করেন আইনজীবী ও মানবাধিকার কর্মীরা।

আইনজীবী ও মানবাধিকার কর্মী ইশরাত হাসান বলেন, “একটা মেয়েকে রেপ করে ৭২ ঘণ্টা আটকে রাখলে তাহলে তো তার মামলা রোধ করার সুযোগ নেই থানাতে। সংবিধানে স্পষ্টভাবে আমাদের জীবনের অধিকারে বলা হয়েছে, যেখানে আমাদের সম্মান থাকবে সেই সম্মান নষ্ট করে এবং আইনের আশ্রয় লাভের অধিকারকে নষ্ট করার সুযোগ কারোর নেই।”

আইনজীবীদের অভিমত, ধর্ষনের শিকার হলে একজন নারী কি করবেন না করবেন তা বুঝে উঠতেই সময় লেগে যায়। পরিবার ভোগেন দ্বিধাদয়। মামলা, ডাক্তারি পরীক্ষা করার আগ পর্যন্ত শারীরিক ও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত থাকেন অনেকেই।

আইনজীবী ও মানবাধিকার কর্মী ফাওজিয়া করিম ফিরোজ বলেন, “অনাস্থা চলে আসবে, যারা এই ধরনের কাজে অভ্যস্ত তাদেরকে ইনকারেজমিং দেবে এটা। মানুষের বিচারের প্রতি কোন আস্থাই থাকবে না।”

তবে আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গত বছরের অক্টোবরে প্রকাশিত এক রায়ে হাইকোর্ট ভূক্তভোগীর ডাক্তারি পরীক্ষা না থাকলেও জবানবন্দী ও পারিপার্শ্বিক অবস্থার প্রেক্ষিতে প্রমাণসাপেক্ষে আসামির সাজা দেওয়া যেতে পারে বলে পর্যবেক্ষণ দেন। 

আইনজীবী ও মানবাধিকার কর্মী সালমা আলী বলেন, “সাউথ এশিয়া এবং যেখানেই আমি দেখি, সেখানে কিন্তু এই বিষয়গুলোর অনেক ভালো ভালো জাজমেন্ট আছে। মেডিক্যাল টেস্ট দরকার, যখন তিন মাস দেড়ি হয়ে গেছে তখন কিন্তু মেডিক্যাল টেস্ট নেই। আমাদের হাইকোর্টের অনেকগুলো জাজমেন্ট আছে যে দেড়িতে করলে মেডিকেল টেস্টের প্রয়োজন নেই।”

ভিডিও-

এএইচ/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি