ঢাকা, বুধবার   ০৩ জুলাই ২০২৪

শিক্ষকদের বাড়তি আর্থিক সুবিধা দেয়া প্রশ্নে হাইকোর্টের রুল

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৬:৩৭, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২২

সারা দেশের বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারিদের বেতনের ১০ শতাংশ কর্তনের বিপরীতে বাড়তি আর্থিক সুবিধা কেন দেয়া হবে না; তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট বিভাগ। 

একই সঙ্গে শিক্ষক ও কর্মচারিদের অবসরের আর্থিক সুযোগ-সুবিধা কেন একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রদানের নির্দেশনা দেয়া হবে না; রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।

রিটকারীদের সম্পূরক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি মো. আক্তারুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ এ আদেশ দেন। রিটকারীদের পক্ষে আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া আজ বুধবার এসব কথা জানান।

আইনজীবী মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া বলেন, বেসরকারি (এমপিও ভুক্ত) শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে (স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা) কর্মরত শিক্ষক ও কর্মচারিগণের বেতন থেকে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও কর্মচারি কল্যাণ ট্রাস্ট প্রবিধানমালা, ১৯৯৯ ও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক ও কর্মচারি অবসর সুবিধা প্রবিধানমালা, ২০০৫ এর আলোকে বেতন থেকে অবসরের জন্য ৬ শতাংশ কর্তন করা হতো। 

কর্তনকৃত অর্থ থেকে অবসরের পর অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক ও কর্মচারিদের এককালীন আর্থিক সুবিধা প্রদান করা হতো। তবে ২০১৭ সালে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এস. আর. ও নম্বর ৮৪ এবং এস.আর.ও নম্বর ৮৯ জারি করে; এর মাধ্যমে ওই কর্তনকৃত ৬ শতাংশের পরিবর্তে ১০ শতাংশ বৃদ্ধি করে; যা ২০১৯ সালের এপ্রিল মাস থেকে কার্যকর হয়। ২০১৯ সালের এপ্রিল মাস থেকে সমস্ত বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষক ও কর্মচারিদের বেতনের ৬ শতাংশের পরিবর্তে বর্ধিত হারে ১০ শতাংশ কর্তন করা হয়। কিন্তু অতিরিক্ত ৪ শতাংশ বর্ধিত কর্তনের জন্য কোনো প্রাপ্য অতিরিক্ত সুবিধা অবসর গ্রহণকারী শিক্ষক-কর্মচারিদের প্রদান করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।

তিনি বলেন, কর্তনকৃত ১০ শতাংশ অবসরের পর অনেক সময় অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক ও কর্মচারিগণ তাদের জমাকৃত অবসর সুবিধা পেতে দীর্ঘ সময় লেগে যায়। এবিষয় বেসরকারি ও এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও কর্মচারিগণ হাইকোর্ট বিভাগে রিট দায়ের করে।

এসি
 


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted







© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি