চুক্তির আলোকে শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে আনা হবে: চিফ প্রসিকিউটর
প্রকাশিত : ১৪:৫৫, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের নবনিযুক্ত চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেছেন, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের অপরাধী বিনিময় চুক্তি রয়েছে। সেই চুক্তির আলোকে শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া শুরু করা হবে।তাকে বিচারের মুখোমুখি করা হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
চিফ প্রসিকিউটর বলন, গণহত্যার অভিযোগে দায়ের করা অধিকাংশ মামলার প্রধান আসামি শেখ হাসিনা। তাকে দেশে ফিরিয়ে এনে ট্রাইব্যুনালে বিচারের মুখোমুখি করা হবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের অপরাধী প্রত্যার্পণ চুক্তি সম্পাদিত হয়েছে ২০১৩ সালে। শেখ হাসিনা সরকারের সময়ে এ চুক্তিটি হয়েছিল। তিনি যেহেতু বাংলাদেশে গণহত্যার প্রধান আসামি সুতরাং এ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তাকে আইনগতভাবে বাংলাদেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করার চেষ্টা করবো।
এক প্রশ্নের জবাবে চিফ প্রসিকিউটর বলেন, গণহত্যার এভিডেন্স নষ্ট হওয়ার আগেই সংরক্ষণ করা বড় চ্যালেঞ্জ। আমরা দেশবাসীর কাছে আহ্বান জানাচ্ছি, আলামত নষ্ট হওয়ার আগেই যার কাছে গণহত্যা, নির্যাতনের যে এভিডেন্স আছে আপনারা ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশনের কাছে বা তদন্ত সংস্থার কাছে জমা দিন।
তাজুল ইসলাম বলেন, ‘তদন্তকালে আসামিদের গ্রেফতারের আবেদন করবে প্রসিকিউটর টিম। আগে ট্রাইব্যুনালে আসামিপক্ষের আইনজীবী হিসেবে কাজ করলেও বর্তমানে রাষ্ট্রপক্ষে আইনি লড়াইয়ে কোনও আইনগত জটিলতা নেই। দ্রুত ট্রাইব্যুনালের বিচারপতি নিয়োগ দেওয়া হবে।’
এক প্রশ্নের জবাব নবনিযুক্ত চিফ প্রসিকিউটর বলেন, শেখ হাসিনাসহ যত প্রভাবশালী আসামিই হোক না কেন সবার সঙ্গে সমান আচরণ করা হবে। কারো প্রতি যেমন জুলুম করা হবে না, তেমনি কাউকে ছাড়ও দেওয়া হবে না।
তিনি বলেন, আজ থেকেই তদন্ত শুরু হবে। প্রধানমন্ত্রী, আইজিপি, যে-ই অপরাধী হোক না কেন, আইনের চোখে সবাই সমান। শহীদদের পরিবারকে ন্যায়বিচার দেয়া হবে। তদন্তকালে আসামিরা গ্রেফতার হবে। সম্ভাব্য আসামিরা যাতে দেশের বাইরে না যেতে পারেন, সেই ব্যবস্থা নেয়া হবে, যোগ করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে আরও চার প্রসিকিউটর উপস্থিত ছিলেন। তারা হলেন– মো. মিজানুল ইসলাম, গাজী মোনাওয়ার হুসাইন তামিম, বি এম সুলতান মাহমুদ ও আব্দুল্লাহ আল নোমান।
এএইচ
আরও পড়ুন