ঢাকা, মঙ্গলবার   ২৬ নভেম্বর ২০২৪

সাগর-রুনি হত্যা: সরানো হলো র‌্যাবকে, তদন্তে টাস্কফোর্স

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:৫৬, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | আপডেট: ১২:৫৮, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যার মামলার তদন্তের দায়িত্ব থেকে র‌্যাবকে সরিয়ে দিয়েছেন আদালত। মামলার তদন্তে উচ্চ পর্যায়ের টাস্ক ফোর্স গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। 

সোমবার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি মুহাম্মদ মাহবুব উল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে এই নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।

হাইকোর্ট বলেছেন, এ হত্যাকাণ্ডের তদন্তভার থেকে র‌্যাবকে সরানো হলো। এটি পাঠানো হয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে, বিভিন্ন সংস্থার অভিজ্ঞ, যোগ্যতাসম্পন্ন ব্যক্তিদের সমন্বয়ে গঠিত টাস্কফোর্সের মাধ্যমে তদন্ত করাতে পারবে সরকার।

এর আগে আজ সকালে বিচারপতি ফারাহ মাহবুবের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্ত থেকে র‍‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নকে (র‌্যাব) সরিয়ে দিতে আবেদন করেছে রাষ্ট্রপক্ষ। 

একই সঙ্গে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীন তিন সদস্যের একটি টাস্কফোর্সকে এই ঘটনার তদন্ত করার আবেদন করা হয়।

এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল এ পর্যন্ত ১১৩ বার সময় পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। র‌্যাবের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খন্দকার শফিকুল আলম সর্বশেষ ৯ সেপ্টেম্বর প্রতিবেদন দাখিল করতে ব্যর্থ হওয়ায় ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম মো. মাহবুবুল হক তদন্ত প্রতিবেদন নতুন করে দাখিলের জন্য ১৫ অক্টোবর নতুন দিন ধার্য করেছেন।

আলোচিত এ হত্যা মামলা পরিচালনার জন্য বাদীপক্ষ আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনিরকে নিয়োগ দিয়েছে। রোববার মামলার বাদী মেহেরুন রুনির ভাই নওশের রোমান বিষয়টি জানিয়ে বলেছেন, এখন থেকে সাগর-রুনি হত্যা মামলার প্রকৃত রহস্য উন্মোচনে আইনজীবী শিশির মনির আইনি লড়াই করবেন। 

শিশির মনির বলেন, পিবিআইয়ের মাধ্যমে আমরা সাগর-রুনি হত্যার রহস্য উন্মোচনে কাজ শুরু করব। এর অংশ হিসেবে তদন্ত কর্মকর্তাদের সঙ্গে খুবই দ্রুত বৈঠক করা হবে। একই সঙ্গে হত্যার রহস্য উন্মোচনে নিম্ন আদালত ও উচ্চ আদালতে আইনি লড়াই চালিয়ে যাব। 

২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারের ভাড়া বাসায় খুন হন সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি। তাদের একমাত্র ছেলে পাঁচ বছর বয়সী মাহির সরওয়ার মেঘ সেই সময় বাসায় ছিল। সাগর বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল মাছরাঙা টিভিতে এবং রুনি এটিএন বাংলায় কর্মরত ছিলেন। 

হত্যার ঘটনায় রুনির ভাই নওশের আলম রোমান শেরেবাংলা নগর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। প্রথমে মামলাটি শেরেবাংলা নগর থানার মাধ্যমে তদন্ত শুরু হয়। এরপর চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলা হিসেবে এর তদন্ত ভার ঢাকা মহানগর ডিবি পুলিশকে দেওয়া হয়। 

দুই মাসেরও বেশি সময় তদন্ত করে ডিবি রহস্য উদঘাটনে ব্যর্থ হয়। পরে ২০১৪ সালের ১৮ এপ্রিল হাইকোর্টের নির্দেশে হত্যা মামলার তদন্ত ভার র‍্যাবের ওপর ন্যস্ত করা হয়। 

সাগর সরওয়ার মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক এবং এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক ছিলেন মেহেরুন রুনি।

এএইচ


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি