কৌশলী ব্যারিস্টার সুমন, রিমান্ডে প্রশ্ন এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা
প্রকাশিত : ১৬:২৫, ২৮ অক্টোবর ২০২৪ | আপডেট: ১৬:৪৫, ২৮ অক্টোবর ২০২৪
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ঢাকার মিরপুরে যুবদল নেতা হৃদয় মিয়াকে গুলি করার মামলায় গ্রেফতারের পর সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনকে গত ২২ অক্টোবর পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। রিমান্ড শেষে ব্যারিস্টার সুমনকে রোববার (২৭৮ অক্টোবর) কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
এদিন সুমনকে আদালতে হাজির করে তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মিরপুর মডেল থানার এসআই আব্দুল হালিম। অন্যদিকে ব্যারিস্টার সুমনের পক্ষে আইনজীবীরা জামিন চেয়ে আবেদন করেন।
কারাগারে আটক রাখার আবেদনে বলা হয়, আসামি ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমনকে পাঁচ দিনের পুলিশ রিমান্ডে পেয়ে মামলার ঘটনায় সম্পৃক্ততা ও ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটনের জন্য ‘দফায় দফায় ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ’ করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে উক্ত আসামি মামলার ঘটনার বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদান করেছেন। আসামি একজন ব্যারিস্টার বিধায় কৌশলে জিজ্ঞাসিত প্রশ্নের উত্তর প্রদান করেন। তিনি অত্র মামলার ঘটনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন বলে সাক্ষ্য প্রমাণ পাওয়া যায়।
আবেদনে আরো বলা হয়, জিজ্ঞাসাবাদে আসামির দেওয়া তথ্য যাচাই বাচাই করে দেখা হচ্ছে। তথ্য যাচাই বাছাই শেষে প্রয়োজন হলে পরবর্তীতে পুনরায় তাকে পুলিশ রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করা হতে পারে। মামলার তদন্ত সমাপ্ত না হওয়া পর্যন্ত আসামিকে জেল হাজতে আটক রাখা একান্ত প্রয়োজন। আসামি জামিনে মুক্তি পেলে পলাতক হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
গত ২১ অক্টোবর মধ্যরাতে ঢাকার মিরপুর-৬ এলাকা থেকে সুমনকে গ্রেঢতার করে পুলিশ। পরদিন তাকে আদালতে হাজির করে হৃদয় মিয়া ‘হত্যাচেষ্টা’ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। পুলিশের আবেদনের শুনানি করে সুমনকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে পাঠায় আদালত।
এ মামলার বাদী হৃদয় মিয়া মিরপুরের বাঙালিয়ানা ভোজ হোটেলের সহকারী বাবুর্চি। তিনি হবিগঞ্জের মাধবপুর ১০ নম্বর হাতিয়াইন ইউনিয়ন যুবদলের সিনিয়র সহ সভাপতি।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মধ্যে গত ১৯ জুলাই গুলিতে আহন হন হৃদয়। সরকার পতনের পর গত ২৩ সেপ্টেম্বর মিরপুর মডেল থানায় তিনি এই হত্যাচেষ্টা মামলা করেন।
এসএস//
আরও পড়ুন