জিয়া ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা
খালেদার জামিনের মেয়াদ বাড়ল
প্রকাশিত : ১২:৪১, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৮
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় আগামী ১৩ মার্চ পর্যন্ত খালেদা জিয়ার জামিনের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকা বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক আখতারুজ্জামান এই আদেশ দেন। একইসঙ্গে আগামী ১৩ ও ১৪ মার্চ এ মামলার যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের দিন ধার্য করেন আদালত।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল গণমাধ্যমকে বলেন, মামলাটিতে এখন আসামিপক্ষের যুক্তি তর্ক উপস্থাপনের জন্য দিন ধার্য ছিল। খালেদা জিয়া আরেকটি মামলায় সাজা পেয়ে কারাগারে আছেন। তাই তাঁকে এই মামলায় আদালতে হাজির করার জন্য হাজিরা পরোয়ানা জারির আবেদন করেছিলাম। খালেদা জিয়ার পক্ষের আইনজীবীরা তাঁর জামিনের মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন করেছিলেন। আদালত দুই পক্ষের বক্তব্য শুনে এই মামলায় খালেদা জিয়ার জামিনের মেয়াদ ১৩ মার্চ পর্যন্ত বাড়িয়েছেন। ১৩ ও ১৪ মার্চ শুনানির দিন ধার্য করেছেন।
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় দুদকের যুক্তিতর্ক শুনানি শেষ হয়েছে। গতকাল রোববার আসামিপক্ষের আইনজীবীদের যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের দিন ধার্য ছিল।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে তিন কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগে খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় একটি মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক হারুন-অর-রশীদ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক বাসুদেব রায়।
উল্লেখ্য, গত ৮ ফেব্রুয়ারি দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসনকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ড. আখতারুজ্জামান। এ মামলায় অন্য আসামি খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমানকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। রায়ের পর খালেদা জিয়াকে নাজিমউদ্দিন রোডের পুরনো কারাগারে রাখা হয়েছে।
/ এআর /
আরও পড়ুন