ঢাকা, শুক্রবার   ০৮ নভেম্বর ২০২৪

রবির ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দের নির্দেশনা স্থগিত

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৯:৫৩, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ | আপডেট: ২০:০৬, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

মূল্য সংযোজন কর (মূসক) ফাঁকির অভিযোগে মোবাইল ফোন অপারেটর রবির সব ব্যাংক অ্যাকাউন্ট তিন দিনের জন্য জব্দ রাখার যে নির্দেশনা জাতীয় রাজস্ব বোর্ড দিয়েছিল, তার কার্যকারিতা হাইকোর্টে স্থগিত করেছেন।

রবির এক রিট আবেদনের শুনানি শেষে বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের হাইকোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার রুলসহ এ আদেশ দেয়।

রবির পক্ষে আদালতে শুনানি করেন আইনজীবী তানজীব উল আলম। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মনিরুজ্জামান।

আইনজীবী তানজীব গণমাধ্যমকে বলেন, “রবির সব ব্যাংক অ্যাকাউন্ট তিন দিনের জন্য জব্দ রাখতে সোমবার ব্যাংকগুলোকে চিঠি দিয়েছিল এনবিআর। ওই চিঠির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে মঙ্গলবার রিট আবেদন করে রবি। আদালত রুল জারি করে ওই চিঠির কার্যকারিতা স্থগিত করেছে।”

রবির সব ব্যাংক অ্যাকাউন্ট তিন দিনের জন্য জব্দ রাখতে ব্যাংকগুলোতে পাঠানো এনবিআরের চিঠি কেন সংবিধান ও আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মনিরুজ্জামান গণমাধ্যমকে বলেন, হাইকোর্টের এ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে যাবেন তারা।

এদিকে হাইকোর্টের আদেশের পর রবির সকল ব্যাংক অ্যাকাউন্ট মঙ্গলবার থেকে সক্রিয় হয়ে গেছে বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে এ মোবাইল অপারেটর কোম্পানি।  

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, “একটি দায়িত্বশীল মোবাইল ফোন অপারেটর হিসেবে ১৯৯৭ সাল থেকে কার্যক্রম পরিচালনা করছে রবি। যা সরকারের অন্যতম বৃহৎ করদাতা। দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম মোবাইল ফোন অপারেটর হিসেবে রবি রাষ্ট্রের সকল আইন অনুসরণ করে কার্যক্রম পরিচালনা করছে এবং দেশের টেলিযোযোযোগ শিল্পের বিকাশে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”

প্রায় ১৯ কোটি টাকা ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক ফাঁকির অভিযোগে সোমবার এনবিআরের বৃহৎ করদাতা ইউনিট (এলটিইউ) থেকে সব ব্যাংকে রবির অ্যাকাউন্ট জব্দ করতে চিঠি পাঠানো হয়।

চিঠিতে আরও বলা হয়, গত ৭ ফেব্রুয়ারি একজন অতিরিক্ত কমিশনারের নেতৃত্বে তাদের একটি প্রতিনিধি দল রবির করপোরেট অফিস পরিদর্শন করে। সে সময় ২০১৭ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত কোম্পানির সবশেষ আর্থিক বিবরণী এবং সিম বিক্রির কাগজপত্র সংগ্রহ করা হয়।

সেই কাগজপত্র পর্যালোচনা করে দেখা যায়, রবি অপরিশোধিত সম্পূরক শুল্ক, স্থান ও স্থাপনা ভাড়ার ওপর প্রযোজ্য অপরিশোধিত ভ্যাট, কম প্রদর্শিত সিমের ওপর প্রযোজ্য অপরিশোধিত সম্পূরক শুল্ক ও ভ্যাট এবং বিটিসিএল-কে প্রদত্ত সেবার ওপর প্রযোজ্য অপরিশোধিত ভ্যাট বাবদ মোট ১৮ কোটি ৭২ লাখ ৮৮ হাজার ৩২ টাকা নির্ধারিত সময়ে সরকারি কোষাগারে জমা না দিয়ে কর ফাঁকি দিয়েছে।

ওই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে রবির কমিউনিকেশনস অ্যান্ড করপোরেট রেসপনসিবিলিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট ইকরাম কবির সোমবার গণমাধ্যমকে বলেন, “এটি কর ফাঁকি নয়। এনবিআর এর সাথে আমাদের দীর্ঘদিনের চলমান ডিসপিউট।”

এর আগে প্রায় ৯২৫ কোটি টাকা কর ফাঁকির অভিযোগে গত ৯ ফেব্রুয়ারি রবিকে চিঠি পাঠিয়েছিল এনবিআর। সে সময় রবির পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, ‘ভিত্তিহীন’ অডিটের মাধ্যমে এনবিআর ‘অন্যায্য’ দাবি করছে।

কেআই/টিকে


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি