রিট খারিজ : চাকরিতে কোটা থাকছে
প্রকাশিত : ১৫:২৮, ৫ মার্চ ২০১৮
সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে কোটা প্রথা পুণর্মূল্যায়ন চেয়ে করা রিট খারিজ করে দিয়েছেন উচ্চ আদালত। ফলে চাকরিতে কোটা প্রথা থাকছেই। আজ বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি মো. আতাউর রহমান খানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। একই সঙ্গে রিট আবেদনে ভুল থাকায় আইনজীবীকে ভর্ৎসনা করেছেন আদালত।
এর আগে গত ৩১ জানুয়ারি এ সংক্রান্ত রিট দায়ের করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্র ও দুই সাংবাদিক। আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী একলাছ উদ্দিন ভূইয়া।
রিটে বিবাদীরা হলেন- মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সচিব, আইন সচিব, সংসদ সচিবালয়ের সচিব, জনপ্রশাসন সচিব, পিএসসির চেয়ারম্যান।
আইনজীবী একলাছ উদ্দিন ভূঁইয়া জানান, ১৯৭২ সালে এক নির্বাহী আদেশে সরকারি, বেসরকারি, প্রতিরক্ষা, আধাসরকারি এবং জাতীয়করণকৃত প্রতিষ্ঠানে জেলা ও জনসংখ্যার ভিত্তিতে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা ও ১০ শতাংশ ক্ষতিগ্রস্ত নারীদের জন্য কোটা প্রবর্তন করা হয়।
পরে বিভিন্ন সময়ে কোটায় সংস্কার ও পরিবর্তন করা হয়। বর্তমানে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি নিয়োগে কোটা, যেমন—প্রতিবন্ধী ১ শতাংশ, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান-নাতি-নাতনি ৩০ শতাংশ, নারী ১০ শতাংশ, জেলা কোটা ১০ শতাংশ, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ৫ শতাংশ। সব মিলিয়ে ৫৬ শতাংশ কোটা বিদ্যমান রয়েছে। এই কোটাপ্রথা সংবিধানের ১৯, ২৮ ও ২৯ অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আনিসুর রহমান মীর, ঢাকাস্থ কুমিল্লা সাংবাদিক সমিতির সদস্য সচিব দিদারুল আলম ও দৈনিক আমাদের অর্থনীতির সিনিয়র সাব-এডিটর আবদুল ওদুদ রিট আবেদনটি দায়ের করেন।
বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসসহ (বিসিএস) সরকারি চাকরিতে ৫৬ শতাংশ কোটা সংস্কার করে তা ১০ শতাংশে নামিয়ে আনাসহ পাঁচ দফা দাবিতে সারাদেশে গতকাল রোববার অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন চাকরি প্রত্যাশী সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
/এআর /
আরও পড়ুন