‘উচ্চ আদালতে নারী বিচারক বাড়ানো হবে’
প্রকাশিত : ১৮:০৫, ১০ মার্চ ২০১৮ | আপডেট: ১৮:১৮, ১০ মার্চ ২০১৮
আগামীতে উচ্চ আদালতে নারী বিচারক নিয়োগের সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন।
শনিবার বাংলাদেশ মহিলা জাজ অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত প্রধান বিচারপতিকে দেওয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এতথ্য জানান।
তিনি বলেছেন, অধিকাংশ নারী বিচারক তাদের দায়িত্ব পালনে যথেষ্ট দক্ষতার পরিচয় দিচ্ছেন। আগামীতে উচ্চ আদালতে আরও নারী বিচারপতি নিয়োগে আমরা সচেষ্ট থাকবো।
জেলা দায়রা জজ এবং চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এবং চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবেও আরও নারী বিচারক নিয়োগের বিষয়টি ‘সক্রিয়ভাবে বিবেচনার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
বর্তমানে উচ্চ আদালতে পাঁচজন নারী বিচারক রয়েছেন। নিম্ন আদালতে ১৬৭৩ জন বিচারকের মধ্যে ৪৩৩ জন নারী, যা মোট সংখ্যার এক-চতুর্থাংশ।
বিচার প্রশাসন ও প্রশিক্ষণ ইন্সটিটিউশনে অনুষ্ঠিত এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী। তিনি বাংলাদেশের আইনসভায় স্পিকার পদে প্রথম নারী।
বাংলাদেশের নারী বিচারপতিরা নারী ক্ষমতায়নের একটি অনন্য অধ্যায় মন্তব্য করে শিরীন শারমিন বলেন, “বাংলাদেশে যে নারী বিচারকরা রয়েছেন তারা অত্যন্ত দক্ষতা, যোগ্যতা ও নিষ্ঠার সাথে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে বিচারকাজ পরিচালনা করে যাচ্ছেন।”
জেলায় আবাসন বরাদ্দের ক্ষেত্রে নারী বিচারকদের অগ্রাধিকার দিতে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে প্রধান বিচারপতি বলেন, “স্বামী-স্ত্রী দুজনই বিচারক হলে তাদের একই কর্মস্থলে রাখার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হবে। সঙ্গত কারণে সেটা সম্ভব না হলে পার্শ্ববর্তী জেলায় পদায়ন করা হবে।”
নারীর ক্ষমতায়নের প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে সুপ্রিম কোর্টের নানা পদক্ষেপ ও রায়ের কথা তুলে ধরেন সৈয়দ মাহমুদ হোসেন।
স্পিকার শিরীন শারমিন বলেন, শিক্ষাক্ষেত্রে এগিয়ে আসাই একসময় নারীদের জন্য চ্যালেঞ্জ ছিল। সেই চ্যালেঞ্জে আজ বাংলাদেশের নারীরা জয়ী হয়েছে। আজকের চ্যালেঞ্জ হচ্ছে, নারীর জন্য অনুকূল পরিবেশ নিশ্চিত করা।
গণতান্ত্রিক সমাজ প্রতিষ্ঠায় বিচার বিভাগের ভূমিকা তুলে ধরে তিনি বলেন, একটি ন্যায়ভিত্তিক, সমতাভিত্তিক এবং অন্তর্ভূক্তিমূলক সমাজ গঠনে বাংলাদেশের বিচার বিভাগ অব্যাহতভাবে তার দায়িত্ব পরিপালন করে যাবে এটাই প্রত্যশা।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে কুমিল্লা জেলা জজ জেসমিন আরা বেগম উচ্চ আদালতে নারী বিচারপতি নিয়োগে ১০ শতাংশ কোটা সংরক্ষণের দাবি তুলে ধরেন।
বাংলাদেশ মহিলা জাজ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি তানজিনা ইসমাইলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন সংগঠনটির উপদেষ্টা আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা, হাই কোর্ট বিভাগের বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী, বিচারপতি জিনাত আরা।
এছাড়া প্রধান বিচারপতির স্ত্রী সামিনা খালেক, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সদস্য নুরুন্নাহার ওসমানী, জ্যেষ্ঠ সহকারী জেলা জজ মেহনাজ সিদ্দিকী, নরসিংদীর যুগ্ম জেলা জজ বেগম লুবনা জাহান ও যুগ্ম আইন সচিব বেগম উম্মে কুলসুমসহ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন