যুদ্ধাপরাধ মামলায় নোয়াখালীর ৪ আসামির রায় কাল
প্রকাশিত : ১২:১৬, ১২ মার্চ ২০১৮ | আপডেট: ১২:৩০, ১২ মার্চ ২০১৮
নোয়াখালীর সুধারামের চার আসামির বিরুদ্ধে একাত্তরের যুদ্ধাপরাধ মামলার রায় মঙ্গলবার। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় হত্যা, গণহত্যা, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের তিনটি অভিযোগ আনা হয়েছে এ মামলার আসামিদের বিরুদ্ধে।
প্রসিকিউশন ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গত ৬ ফেব্রুয়ারি মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ (সিএভি) রেখেছিল।
সোমবার ট্রাইব্যুনাল জানায়, রায় দেওয়া হবে মঙ্গলবার। ২০১০ সালে ট্রাইব্যুনাল গঠনের মধ্য দিয়ে একাত্তরের যুদ্ধাপরাধের বিচার শুরুর পর এটি হবে ৩১তম রায়।
এ মামলার আসামিরা হলেন- আমির আলী, মো. জয়নাল আবদিন, মো. আব্দুল কুদ্দুস ও আবুল কালাম ওরফে এ কে এম মনসুর। তাদের মধ্যে মনসুর পলাতক।
মামলার আরেক আসামি মো. ইউসুফ আলী গ্রেফতার হওয়ার পর অসুস্থ অবস্থায় মারা যাওয়ায় তার নাম মামলা থেকে বাদ দেওয়া হয়।
প্রসিকিউশনের পক্ষে এ মামলায় শুনানি করেন জাহিদ ইমাম। আসামি পক্ষে ছিলেন আইনজীবী তরিকুল ইসলাম, মিজানুর রহমান, গাজী এমএইচ তামিম ও মাসুদ রানা।
জাহিদ ইমাম বলেন, চার আসামির বিরুদ্ধে তিনটি অভিযোগের ওপর প্রসিকিউশন যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করে। প্রসিকিউশন মনে করে, উপযুক্ত তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে আসামিদের বিরুদ্ধে সবকটি অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে। আমরা আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তির আরজি জানিয়েছি ট্রাইব্যুনালের কাছে।
এ মামলায় প্রাথমিকভাবে পাঁচজনের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হলেও মামলার অভিযোগ গঠনের আগে আসামি মো. ইউসুফ আলী গ্রেপতারের পর অসুস্থ হয়ে মারা যান।
পরে ২০১৬ সালের ২০ জুন চারজন আসামিকে হত্যা, লুণ্ঠণ ও অগ্নিসংযোগের তিন ঘটনায় অভিযুক্ত করে বিচার শুরু করে আদালত।
প্রসিকিউশনের আনা অভিযোগে বলা হয়, মুক্তিযুদ্ধের সময় আসামিরা নোয়াখালীর সুধারামে ১১১ জনকে হত্যা করে।
মামলার তদন্তের দায়িত্বে ছিলেন প্রসিকিউশনের তদন্ত কর্মকর্তা হেলাল উদ্দিন। তিনিসহ মোট ১৫ জন প্রসিকিউশনের পক্ষে সাক্ষ্য দেন। আসামিপক্ষ ট্রাইব্যুনালে কোনো সাক্ষী হাজির করতে পারেনি।
এসএইচ/
আরও পড়ুন