একরাম হত্যায় ৩৯ জনের প্রাণদণ্ড
প্রকাশিত : ১৫:৫৩, ১৩ মার্চ ২০১৮ | আপডেট: ১৭:০৮, ১৩ মার্চ ২০১৮
ফেনীর ফুলগাজী উপজেলা চেয়ারম্যান একরামুল হককে হত্যা মামলায় ৩৯ আসামির প্রাণদণ্ড হয়েছে। খালাস পেয়েছেন বিএনপি নেতা মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী ওরফে মিনার চৌধুরীসহ ১৬ জন। মঙ্গলবার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আমিনুল হক এ রায় দেন।
২০১৪ সালের ২০ মে শহরের একাডেমি এলাকায় দিবালোকে তৎকালীন ফুলগাজী উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি একরামুল হক একরামকে গুলি করে, কুপিয়ে ও গাড়িসহ পুড়িয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়।
হত্যার ঘটনায় জড়িত হত্যাকারীরা একের পর এক গ্রেফতার হতে থাকলে মুখোশ উন্মোচিত হয় ঘটনার নেপথ্যের কাহিনী। হত্যার সঙ্গে জড়িত রাঘব-বোয়ালদের নাম বেরিয়ে এলে গা-ঢাকা দিয়ে আত্মগোপনে যায় হত্যাকারীরা। হত্যার পর ফুঁসে ওঠেন এলাকাবাসী।
হরতাল-অবরোধ-বিক্ষোভসহ মাসব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেন তারা। একরাম হত্যার ঘটনায় তার বড় ভাই রেজাউল হক জসিম বাদী হয়ে বিএনপি নেতা মাহাতাব উদ্দিন আহম্মেদ চৌধুরী মিনারের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৩০-৩৫ জনকে আসামি করে মামলা করেন। হত্যার ১২০ দিন পর ২০১৪ সালের ২৮ আগস্ট তদন্ত কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ ৫৬ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করেন। আদালত ওই বছরের ১২ নভেম্বর আলোচিত এ হত্যা মামলার অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন। অভিযোগপত্র দাখিলের ১৬ মাস পর ২০১৭ সালের ১৫ মার্চ আদালত মামলার অভিযোগ (চার্জ) গঠন করেন।
পরে সাক্ষ্য গ্রহণের মধ্য দিয়ে বিচারকাজ শুরু হয়। এ পর্যন্ত আদালত মামলার বাদী একরামের বড় ভাই রেজাউল হক জসিম, ছোট ভাই এহসানুল হক, নিহতের স্ত্রী তাসমিন আক্তার, গাড়িচালক আবদুল্লাহ আল মামুনসহ ৪৭ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন। অভিযোগপত্রে পুলিশ ৫৯ জনকে সাক্ষী করেছিল।
মামলায় রায়ে ৩৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। খালাস পেয়েছেন মিনার চৌধুরী।
/ এআর /
আরও পড়ুন