দলের বিরুদ্ধে ভোট-সংক্রান্ত ৭০ অনুচ্ছেদ নিয়ে রিট খারিজ
প্রকাশিত : ১৫:২২, ১৮ মার্চ ২০১৮
জাতীয় সংসদে নিজ দলের বিপক্ষে ভোটদানের কারণে আসন শূন্য হওয়া-সংক্রান্ত সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে করা রিট খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। আজ রোববার বিচারপতি আবু তাহের মোহাম্মদ সাইফুর রহমানের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জেড আই খান পান্না। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
এর আগে গত ১১ মার্চ শুনানি শেষে আদেশের জন্য ১৮ মার্চ দিন নির্ধারণ করেন হাইকোর্ট। এর আগে হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চ ৭০ নম্বর অনুচ্ছেদ নিয়ে বিভক্ত আদেশ দিয়েছিলেন। পরে বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য একক হাইকোর্ট বেঞ্চে পাঠানো হয়।
এর আগে গত ১৫ জানুয়ারি হাইকোর্টের দেওয়া বিভক্ত আদেশে জাতীয় সংসদে নিজ দলের বিপক্ষে ভোটদানের কারণে আসন শূন্য হওয়া-সংক্রান্ত ৭০ অনুচ্ছেদ কেন বাতিল ও সংবিধানবিরোধী ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন বেঞ্চের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি। আর কনিষ্ঠ বিচারপতি রিট আবেদনটি সরাসরি খারিজ করে দেন। বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ ওই আদেশ দিয়েছিলেন।
দ্বিধাবিভক্ত আদেশের কারণে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে নথি পাঠানো হয় প্রধান বিচারপতির কাছে। নিয়ম অনুযায়ী, প্রধান বিচারপতি বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য অন্য কোনো বেঞ্চে পাঠান। পরে বিচারপতি আবু তাহের মোহাম্মদ সাইফুর রহমানের একক হাইকোর্ট বেঞ্চে পাঠালে শুনানি শেষে তিনি আদেশের জন্য আজকের দিন নির্ধারণ করেন।
সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, কোন নির্বাচনে কোন রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরূপে মনোনীত হইয়া কোন ব্যক্তি সংসদ-সদস্য নির্বাচিত হইলে তিনি যদি—(ক) উক্ত দল হইতে পদত্যাগ করেন, অথবা (খ) সংসদে উক্ত দলের বিপক্ষে ভোটদান করেন, তাহা হইলে সংসদে তার আসন শূন্য হইবে, তবে তিনি সেই কারণে পরবর্তী কোন নির্বাচনে সংসদ-সদস্য হইবার অযোগ্য হইবেন না।
৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল চেয়ে করা রিট আবেদনে বলা হয়, ৭০ অনুচ্ছেদ সংবিধানের মৌলিক কাঠামো এবং ৭(১), ১১, ১৯(১, ৩) ২৬(১, ২), ২৭, ১১৯(১), ১৪২ ও ১৪৯ অনুচ্ছেদ পরিপন্থী। সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদের কারণে অনিচ্ছাসত্ত্বেও দলের পক্ষে ভোট দিতে বাধ্য হন দলীয় প্রতীকে নির্বাচিত সংসদ সদস্যরা।
২০১৭ সালের ১৭ এপ্রিল এই ৭০ অনুচ্ছেদের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ।
এসএইচ/
আরও পড়ুন