বিজিএমইএ ভবন ভাঙার সময়ের আবেদনের আদেশ মঙ্গলবার
প্রকাশিত : ১১:০২, ২৫ মার্চ ২০১৮ | আপডেট: ১১:০৩, ২৫ মার্চ ২০১৮
হাতিরঝিলে অবস্থিত বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রফতানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) বহুতল ভবন ভাঙতে এক বছর সময় চেয়ে আবেদনের বিষয়ে আগামী মঙ্গলবার (২৭ মার্চ) আদেশের দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট। এ বিষয়ে বিজিএমইএ’র আবেদনের শুনানি শেষে রোববার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ আদেশের এ দিন নির্ধারণ করেন।
আদালতে বিজিএমইএ’র পক্ষে শুনানি করেন সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী কামরুল হক সিদ্দিকী। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী ইমতিয়াজ মইনুল ইসলাম।
গত ৫ মার্চ আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় বিজিএমইএ কর্তৃপক্ষ ভবনটি ভাঙতে এক বছর সময় চেয়ে আবেদন করেছিল। তবে ২০১৭ সালের ৮ এপ্রিল বিজিএমইএ’র ভবনটি ভাঙতে এর কর্তৃপক্ষকে সাত মাস সময় দিয়েছিলেন আপিল বিভাগ। আদালত তার আদেশে বলেছিলেন, এটাই শেষ সুযোগ। আর সময় দেওয়া হবে না।
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের ৫ মার্চ আপিল বিভাগ বিজিএমইএ ভবন ভেঙে ফেলতে রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে (রিভিউ) করা আবেদন খারিজ করে দেন। তখন ভবন ভাঙতে কত দিন সময় লাগবে,তা জানিয়ে আবেদন করতেও নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালত। বিজিএমইএ কর্তৃপক্ষ ভবন সরাতে তিন বছর সময় চেয়ে আবেদন করেন। এরপর একই বছরের ১২ মার্চ আপিল বিভাগ আবেদন নিষ্পত্তি করে ভবন সরাতে ছয় মাস সময় দেন।
২০১১ সালের ৩ এপ্রিল হাইকোর্টের রায়ে বিজিএমইএ ভবন ভাঙার নির্দেশ দেওয়া হয়। ‘হাতিরঝিল প্রকল্পে বিজিএমইএ ভবন একটি ক্যান্সারের মতো’ উল্লেখ করে রায় প্রকাশের ৯০ দিনের মধ্যে ভেঙে ফেলতে নির্দেশ দেওয়া হয়। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করে বিজিএমইএ কর্তৃপক্ষ। এই লিভ টু আপিল খারিজ করে রায় ঘোষণা করেন আপিল বিভাগ।
আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায়ে বলা হয়, বিজিএমএমইএ কর্তৃপক্ষ রায় কার্যকরে ব্যর্থ হলে রায়ের অনুলিপি হাতে পাওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে ভবনটি ভেঙে ফেলতে নির্দেশ দেওয়া হলো। এ ক্ষেত্রে ভবন ভাঙার খরচা আবেদনকারীর (বিজিএমইএ) কাছ থেকে আদায় করবে তারা।
এসএইচ/
আরও পড়ুন