ঢাকা, শনিবার   ০২ নভেম্বর ২০২৪

মানবতাবিরোধী অপরাধ

রাজনগরের চার আসামির রায় যে কোনো দিন

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২২:৫৩, ২৭ মার্চ ২০১৮

একাত্তরের যুদ্ধাপরাধ মামলায় মৌলভীবাজারের রাজানগর উপজেলার সাবেক মাদ্রাসা শিক্ষক আকমল আলী তালুকদারসহ চার রাজাকারের  বিরুদ্ধে একাত্তরের যুদ্ধাপরাধ মামলার রায় হবে যে কোনো দিনমঙ্গলবার প্রসিকিউশন আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে আদেশ দেন বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল

স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় হত্যা, গণহত্যা, ধর্ষণ, অপহরণ, আটক, নির্যাতন, গুম, লুণ্ঠন ও অগ্নিসংযোগের মত মানবতাবিরোধী অপরাধের দুটি ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে এ আসামিদের বিরুদ্ধে।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, এদিন আসামিদের মধ্যে আকমল আলী তালুকদার (৭৩) আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তবে পলাতক রয়েছে অপর তিন আসামি মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার আব্দুন নূর তালুকদার ওরফে লাল মিয়া, আনিছ মিয়া ও আব্দুল মোছাব্বির মিয়া।

মামলায় প্রসিকিউশনের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করেন আইনজীবী সৈয়দ হায়দার আলী। অপরদিকে আসামি আকমলের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করেন আইনজীবী আবদুস সোবহান তরফদার। আর পলাতক আসামিদের পক্ষে ছিলেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আবুল হাসান।

প্রসিকিউটর মুশফিক গণমাধ্যমকে বলেন, মামলায় একাত্তরে ৫৯ জনকে হত্যা, ছয়জনকে ধর্ষণ, ৮১টি বাড়িতে লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। প্রসিকিউশনের ১৩ জন সাক্ষীর মধ্যে পাঁচজন একাত্তরে আসামিদের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে তিনজন ধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন। এছাড়া সাক্ষী বারীন্দ্র মালাকার ও সুবোধ মালাকার গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন। ফলে এ মামলায় আসামিদের ছাড় পাওয়ার কোনো সুযোগ নেই বলে আমরা মনে করি। তাই প্রসিকিউশনের পক্ষ থেকে আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ২৬ নভেম্বর মৌলভীবাজারের এই চার আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে ট্রাইব্যুনাল। ওই দিনই রাজনগরের পাঁচগাঁও গ্রাম থেকে মৌলভীবাজার টাউন সিনিয়র কামিল মাদ্রাসার অবসরপ্রাপ্ত উপাধ্যক্ষ আকমল আলীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তাকে ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। এরপরে ২০১৬ সালের ২৩ মার্চ চার আসামির বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন চূড়ান্ত করে ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিলের পর গত বছরের ৭ মে অভিযোগ গঠন হয়।

সূচনা বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে ৪ জুলাই সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। এরপরে ২০১৭ সালের ৭ মে অভিযোগ গঠনের মধ্যে দিয়ে এই মামলার বিচার কাজ শুরু করে ট্রাইব্যুনাল।

আর/টিকে


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি