বিজিএমইকে ফের মুচলেকা দিতে হবে, আদেশ সোমবার
প্রকাশিত : ১০:৩০, ২৮ মার্চ ২০১৮ | আপডেট: ১০:৩১, ২৮ মার্চ ২০১৮
রাজধানীর হাতিরঝিলের বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) ভবন ভাঙার জন্য সময়ের আবেদনের উপর আদেশ সোমবার (২ এপ্রিল)। একইসঙ্গে ওইদিন ভবন ভাঙতে এক বছরের বেশি সময় চাইবে না এই মর্মে বিজিএমইএকে আবারও মুচলেকা দিতে হবে।
বুধবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে চার সদস্যের আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন। একইসঙ্গে সময়ের আবেদন সংশোধন করে আনতে বলা হয়েছে।
আদালতে বিজিএমইএর পক্ষে শুনানি করেন কামরুল হক সিদ্দিকী। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী ইমতিয়াজ মইনুল ইসলাম। কামরুল হক সিদ্দিকী বলেন, বিজিএমইএ কর্তৃপক্ষ মিটিং করে সিদ্ধান্ত নিয়ে মুচলেকা দিয়েছেন। তখন আদালত বলেন, তাহলে বোর্ড অব ডিরেক্টররা আর সময় চাইবে না তো? জবাবে কামরুল হক বলেন, আর সময় চাইবো না। তখন আদালত বলেন, যখন ছয় মাস পরে ডিরেক্টর পরিবর্তন হবে তখন নতুন ডিরেক্টর এসে সময় চাইলে কী করবেন? এরপর আদালত বিজিএমইএর শেষ সময় চাওয়ার শর্ত সংক্রান্ত মুচলেকাটি পুনরায় সংশোধন করে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন।
আদালত বলেন, মুচলেকার পরিপ্রেক্ষিতে দেওয়া নির্দিষ্ট সময় পর আদালতের আদেশ পালন না করা হলে এজন্য বোর্ড অব ডিরেক্টরদের সবাই জন্য দায়ী থাকবেন। একইসঙ্গে ভবন ভাঙতে রাজউককে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি রাখতে বলেছেন।
এর আগে মঙ্গলবার প্রতিষ্ঠানটির থেকে মুচলেকা পাওয়ার শর্তে সময়ের আবেদন বিবেচনা করার আশ্বাস দিয়েছেন সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ। তাতে, ভবিষ্যতে আর সময় চাওয়া হবে না, আবেদনে এমন মুচলেকা দিতে বলা হয়েছে। সেই অনুযায়ী বিজিএমইএ আজ সকালে আদালতে মুচলেকা দেয়। তবে বিষয়টি অস্পষ্ট হওয়ায় আদালত ফের মুচলেকা দেওয়ার নির্দেশ দেন।
গত বছরের ৮ অক্টোবর বহুতল ভবন ভাঙতে বিজিএমইএকে সাত মাস সময় দিয়েছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। ওইদিন আদালতে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) পক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
গত বছর এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ১২ মার্চ ভবন ভাঙতে বিজিএমইএকে ছয়মাসের সময় দিয়েছিলেন আপিল বিভাগ। ওই সময় শেষ হওয়ায় একই বছরের ২৩ আগস্ট আরও এক বছর সময় চেয়ে এ আবেদন জানায় বিজিএমইএ। ওই আবেদনের শুনানি নিয়ে ৮ অক্টোবর সাত মাস সময় দেন আপিল বিভাগ। পরে এ সময় শেষ হওয়ার আগেই ফের একবছর সময় চেয়েছে বিজিএমইএ।
১৯৯৮ সালের ২৮ নভেম্বর তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিজিএমইএ ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। নির্মাণ শেষ হলে ২০০৬ সালের ৮ অক্টোবর ভবনটির উদ্বোধন করেন সে সময়কার প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। এরপর থেকে এটি বিজিএমইএর প্রধান কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।
কিন্তু রাজউকের অনুমোদন ছাড়াই কারওয়ান বাজার সংলগ্ন বেগুনবাড়ী খালে বিজিএমইএ ভবন নির্মাণ করা হয়েছে উল্লেখ করে ২০১০ সালের ২ অক্টোবর একটি ইংরেজি দৈনিকে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওইদিনই প্রতিবেদনটি আদালতে উপস্থাপন করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ডি এইচ এম মনির উদ্দিন। পরদিন ৩ অক্টোবর বিজিএমইএ ভবন কেন ভাঙার নির্দেশ দেওয়া হবে না- তা জানতে চেয়ে স্বতঃপ্রণোদিত (সুয়োমোটো) রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
/ এআর /
আরও পড়ুন