ভবন ভাঙা
মুচলেকা দিয়ে এক বছর সময় পেল বিজিএমইএ
প্রকাশিত : ০৯:৫৮, ২ এপ্রিল ২০১৮ | আপডেট: ১০:০৫, ২ এপ্রিল ২০১৮
বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) রাজধানীর হাতিরঝিলে অবস্থিত বহুতল ভবন ভাঙতে আরো এক বছর সময় পেয়েছে। আজ সোমবার বিজিএমইএ কর্তৃপক্ষ ভবন ভাঙতে আর সময় চাইবে না এই মর্মে মুচলেকা দেওয়ায় আদালত শেষবারের মতো এই সময় দেন। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে বিজিএমইএর পক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার ইমতিয়াজ নজরুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সর্বোচ্চ আদালত বলেছেন, বিজিএমইএ ১৬ তলা ওই ভবন ভেঙে ফেলার আগে ২০১৯ সালের ১২ এপ্রিল পর্যন্ত সময় পাচ্ছে।
এর আগে গত বুধবার বিজিএমইএ আর সময় চাইবে না মর্মে আদালতে মুচলেকা দেয়। আদালত ভবন ভাঙার সময়ের আবেদনের জন্য আজকের দিন ধার্য করেন। সেই সঙ্গে সময়ের আবেদন সংশোধন করে আনতে বলা হয়।
ওইদিন আদালতে বিজিএমইএর পক্ষে শুনাতে কামরুল হক সিদ্দিকী বলেন, বিজিএমইএ কর্তৃপক্ষ মিটিং করে সিদ্ধান্ত নিয়ে মুচলেকা দিয়েছেন। তখন আদালত বলেন, তাহলে বোর্ড অব ডিরেক্টররা আর সময় চাইবে না তো? জবাবে কামরুল হক বলেন, আর সময় চাইবো না। তখন আদালত বলেন, যখন ছয় মাস পরে ডিরেক্টর পরিবর্তন হবে তখন নতুন ডিরেক্টর এসে সময় চাইলে কী করবেন? এরপর আদালত বিজিএমইএর শেষ সময় চাওয়ার শর্ত সংক্রান্ত মুচলেকাটি পুনরায় সংশোধন করে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন।
আদালত বলেন, মুচলেকার পরিপ্রেক্ষিতে দেওয়া নির্দিষ্ট সময় পর আদালতের আদেশ পালন না করা হলে এজন্য বোর্ড অব ডিরেক্টরদের সবাই জন্য দায়ী থাকবেন। একইসঙ্গে ভবন ভাঙতে রাজউককে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি রাখতে বলেছেন।
গত বছরের ৮ অক্টোবর বহুতল ভবন ভাঙতে বিজিএমইএকে সাত মাস সময় দিয়েছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। ওইদিন আদালতে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) পক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
গত বছর এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ১২ মার্চ ভবন ভাঙতে বিজিএমইএকে ছয়মাসের সময় দিয়েছিলেন আপিল বিভাগ। ওই সময় শেষ হওয়ায় একই বছরের ২৩ আগস্ট আরও এক বছর সময় চেয়ে এ আবেদন জানায় বিজিএমইএ। ওই আবেদনের শুনানি নিয়ে ৮ অক্টোবর সাত মাস সময় দেন আপিল বিভাগ। পরে এ সময় শেষ হওয়ার আগেই ফের একবছর সময় চেয়েছে বিজিএমইএ।
১৯৯৮ সালের ২৮ নভেম্বর তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিজিএমইএ ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। নির্মাণ শেষ হলে ২০০৬ সালের ৮ অক্টোবর ভবনটির উদ্বোধন করেন সে সময়কার প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। এরপর থেকে এটি বিজিএমইএর প্রধান কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।
কিন্তু রাজউকের অনুমোদন ছাড়াই কারওয়ান বাজার সংলগ্ন বেগুনবাড়ী খালে বিজিএমইএ ভবন নির্মাণ করা হয়েছে উল্লেখ করে ২০১০ সালের ২ অক্টোবর একটি ইংরেজি দৈনিকে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওইদিনই প্রতিবেদনটি আদালতে উপস্থাপন করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ডি এইচ এম মনির উদ্দিন। পরদিন ৩ অক্টোবর বিজিএমইএ ভবন কেন ভাঙার নির্দেশ দেওয়া হবে না- তা জানতে চেয়ে স্বতঃপ্রণোদিত (সুয়োমোটো) রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
/ এআর /
আরও পড়ুন