ঢাকা, সোমবার   ০৭ অক্টোবর ২০২৪

জামায়াত নেতা আযাদ কারাগারে

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৫:১৬, ২৫ জুলাই ২০১৮

যুদ্ধাপরাধের বিচার নিয়ে মন্তব্যের জন্য আদালত অবমাননার দায়ে দণ্ডিত জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

বুধবার সকালে বিচারপতি শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন।

পাঁচ বছর আগের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত কক্সবাজারের সাবেক এই সাংসদ আজ সকালে ট্রাইব্যুনালে আত্মসমর্পণ করলে ট্রাইব্যুনাল তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। আদালত অবমাননার অভিযোগে ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক তিন মাসের সাজাপ্রাপ্ত ছিলেন তিনি।

আদালতে জামায়াতের এই নেতার পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট আব্দুস সুবহান তরফদার ও মতিউর রহমান আকন্দ। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন জিয়াদ আল মালুম।

রাষ্ট্রপক্ষের এক কৌঁসুলি জানান, আযাদ আজ ট্রাইব্যুনালে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল।

ট্রাইব্যুনাল সূত্র জানায়, ২০১৩ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর মতিঝিলে জামায়াতের এক সমাবেশে জামায়াতের তিন নেতা বিচারাধীন বিষয়ে  বক্তব্য দিয়েছিলেন। মতিঝিলে জামায়াতের ওই সমাবেশে সেলিম উদ্দিন ট্রাইব্যুনালকে উদ্দেশ্য করে বলেছিলেন, দেশকে গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দেবেন না। সবকিছু হিসেব করে রায় দেন। তিনি বলেন, দেশকে গৃহযুদ্ধ থেকে বাঁচাতে হলে বিতর্কিত ট্রাইব্যুনাল থেকে রায় দেওয়ার কোন সুযোগ নেই। একই সমাবেশে হামিদুর রহমান আযাদ বলেছিলেন, স্কাইপে সংলাপের গোপন তথ্য প্রকাশিত হওয়ার পর এ ট্রাইব্যুনাল আর এক মুহূর্তও চলতে পারে না। আর রফিকুল ইসলাম খান পরের দিন অর্থাৎ ৫ ফেব্রুয়ারি প্রেস ব্রিফিংয়ে একই ধরনের বক্তব্য দিয়েছিলেন। বিভিন্ন সংবাদপত্রে প্রকাশিত সংবাদের সূত্র ধরে ৭ ফেব্রুয়ারি ট্রাইব্যুনাল জামায়াত নেতাদের বিরুদ্ধে কারণ দর্শানোর নোটিস জারি করে তাদের সশরীরে হাজির হয়ে বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিতে বলে ট্রাইব্যুনাল। কিন্তু এই তিন নেতার কেউই ট্রাইব্যুনালে হাজির হয়ে জবাব না দেওয়ায় ট্রাইব্যুনাল ৬ মার্চ তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে। ওই বছরের ৯ জুন হামিদুর রহমান, তৎকালীন জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম খান ও মহানগর সহকারী সেক্রেটারি সেলিম উদ্দিনকে দোষী সাব্যস্ত করেছিল আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। ওই সময় আযাদকে তিন মাসের কারাদণ্ড, তিন হাজার টাকা অর্থদণ্ডসহ রায় দেন ট্রাইব্যুনাল। এই রায়ের পর থেকেই আযাদ পলাতক ছিলেন।

একে//


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি