ঢাকা, সোমবার   ০৭ অক্টোবর ২০২৪

সন্দ্বীপের সন্তান ‘পায়েল’ হত্যার রহস্য উদঘাটন  

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২০:৫০, ২৫ জুলাই ২০১৮ | আপডেট: ২০:৫১, ২৫ জুলাই ২০১৮

সন্দ্বীপের ছেলে ও নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির ছাত্র সাইদুর রহমান পায়েল হত্যার রহস্য উদঘাটন করা হয়েছে। হানিফ পরিবহনের বাসচালক জালাল, সুপারভাইজার ফয়সাল ও সহকারী জনিকে আটকের মাধ্যমে জানা যায় প্রকৃত ঘটনা। তারা পায়েল হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।

গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুন-উর-রশীদ হত্যার রহস্য উদঘাটন নিয়ে বলেন, সাইদুর হত্যার রহস্য বের করার জন্য বাসচালক, সুপারভাইজার ও চালকের সহকারীকে সন্দেহভাজন হিসেবে আটক করা হয়। তাদের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের পর জানা যায় হত্যার রহস্য। বাসের সুপারভাইজার ফয়সাল পুলিশের কাছে হত্যার ঘটনার বর্ণনা দেন। পরে তাঁকে মুন্সীগঞ্জের আদালতে পাঠানো হয়।     

মুন্সীগঞ্জে আদালতের পুলিশ পরিদর্শক হেদায়তুল ইসলাম বলেন, আজ আসামি ফয়সালকে আমলি আদালত গজারিয়ায় হাজির করে পুলিশ। ফয়সাল বিচারকের কাছে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।

ফয়সালের জবানবন্দির বরাতে হেদায়তুল ইসলাম আরও বলেন, ২১ জুলাই রাতে হানিফ পরিবহনের বাসটি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে নারায়ণগঞ্জের মদনপুরে যানজটে পড়ে। বাসযাত্রী সাইদুর প্রস্রাব করতে বাস থেকে নিচে নামেন। বাস দ্রুত টান দিলে পায়েল বাসের দরজার সঙ্গে জোরে ধাক্কা খায়। নাক মুখ দিয়ে রক্ত বের হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। বাসের চালক, চালকের সহকারী ও সুপারভাইজার ধারণা করেন, পায়েল মারা গেছেন। এই ভেবে চালকের সহকারী ও সুপারভাইজার পায়েলকে ব্রিজ থেকে ফেলে দিয়ে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন।

গত ২১ জুলাই রাতে চট্টগ্রাম মহানগর থেকে হানিফ পরিবহনের বাসে চড়ে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির বিবিএর পঞ্চম সেমিস্টারের শিক্ষার্থী সাইদুর এবং তাঁর রুমমেট ও বন্ধু আকিমুর রহমান আদর। ভোররাত সাড়ে ৪টার দিকে বাসটি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার মদনপুর ক্যাসেল হোটেলের সামনে যানজটে পড়ে। তখন সাইদুর তাঁর মোবাইল বাসেই রেখে প্রস্রাব করতে নামেন। ওই সময় সাইদুরের সহপাঠী ঘুমিয়ে ছিলেন।

সাইদুরের মা কোহিনূর বেগম সকালে তার মোবাইলে ফোন দেন। ফোন ধরেন বাসে থাকা তাঁর বন্ধু আদর। সাইদুর নিখোঁজের বিষয়টি জানতে পেরে পরিবারের সদস্যরা বন্দর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। এরপর ২৩ জুলাই সোমবার সকালে মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার ভবের চর খাল থেকে সাইদুরের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর হানিফ পরিবহনের তিনজনকে পুলিশ আটক করে। 

এসি


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি