ব্যবহৃত সুরক্ষা সামগ্রী নিয়ে সরকারকে আইনি নোটিশ
প্রকাশিত : ১৭:৪৪, ৯ জুন ২০২০
দেশে প্রতিদিনই উদ্বেগজনকহারে বাড়ছে করোনাক্রান্তের সংখ্যা। দীর্ঘ হচ্ছে স্বজন হারাদের মিছিল। ভাইরাসটি থেকে বাঁচতে আমাদের দেশে সুরক্ষা সামগ্রীর ব্যবহার উল্লেখজনকহারে বাড়ছে, যদিও তা আশ্বানরূপ নয়।
তবে, শুরুর দিকের চেয়ে পর্যায়ক্রমে বাড়ছে মাস্ক, গ্লাভস, পিপিইসব বিভিন্ন মেডিকেল বর্জ্য। তবে, ব্যবহৃত এসব বর্জ্য যাচ্ছে কোথায়? এ নিয়ে রয়েছে ধুম্রুজাল। নির্দিষ্ট কোন স্থান, কি উপায়ে সেগুলো ধ্বংস করা যায় তা নিয়ে এখন পর্যন্ত নেই কোন সঠিক দিক নির্দেশনা। যাতে রয়েছে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি।
তাই এবার এসব বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে সরকারকে আইনি নোটিশ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবী। আজ মঙ্গলবার মো. জে আর খান (রবিন) নামের এই আইনজীবী ইমেইলে সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে নোটিশটি পাঠান।
নোটিশ পাওয়ার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে এসব মেডিকেল বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ না নিলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়।
এছাড়া নোটিশে বলা হয়েছে, ‘‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও দেশিয় বিশেষজ্ঞদের মতে এ ভাইরাস ব্যক্তি থেকে ব্যক্তি এবং এক জনগোষ্ঠী থেকে অন্য জনগোষ্ঠীতে সংক্রমিত হয়।
‘এমনকি করোনাক্রান্ত ব্যক্তি ও তার সংস্পর্শে আসা ব্যক্তির ব্যবহৃত ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী থেকেও এ ভাইরাস সংক্রামিত হয়। কিন্ত দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্য কর্মীদের ব্যবহৃত সুরক্ষা সামগ্রী পিপিই, হ্যান্ড গ্লাভস, সার্জিক্যাল মাস্ক ব্যবস্থাপনা ছাড়াই সাধারণ বর্জ্যের সাথে যত্রতত্র ফেলা হচ্ছে। ফলে দিন দিন স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়ছে।”
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ওই আইনজীবী গণমাধ্যমকে জানান, ‘স্বাস্থ্য সচিব, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের সচিব, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র এবং দুই সিটি করপোরেশনের প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তার কাছে নোটিশটি পাঠিয়েছি।’
একটি সংবাদপত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে নোটিশে আরও বলা হয়েছে, করোনা সংক্রমণের পর দেশে প্রায় ১৪ হাজার ৫০০ টন বর্জ্য তৈরি হয়েছে। এর মধ্যে রাজধানীতেই এক হাজার ৩১৪ টন সার্জিক্যাল হ্যান্ড গ্লাভস ও ৪৪৭ টন সার্জিক্যাল মাস্কের বর্জ্য তৈরি হয়েছে।
এ ধরনের বর্জ্যের সঠিক ও যথাযথ ব্যবস্থাপনা না থাকায় পরিবেশগত ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে। পাশাপাশি পরিচ্ছন্নতাকর্মীসহ জনসাধারণের মধ্যে করোনাভাইরাস ছড়ানোর ঝুঁকিও তৈরি হচ্ছে। এটি কোনোভাবেই কাম্য নয় বলেও উল্লেখ করা হয়েছে ওই নোটিশে।
এআই//এসি
আরও পড়ুন