ঢাকা, শুক্রবার   ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪

নারী ও শিশু নির্যাতনের মামলা দেড় লাখেরও বেশি বিচারাধীন (ভিডিও)

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:০৫, ২৪ অক্টোবর ২০২০ | আপডেট: ১২:০৮, ২৪ অক্টোবর ২০২০

৩১ বছর পর খুলনার শিশু ধর্ষণ মামলায় আসামির শাস্তি বহাল রেখে আপিল খারিজ করেছে হাইকোর্ট। বিচারপতি আবু জাফর সিদ্দিক ও বিচারপতি বেঞ্চ এ রায় দেন। এই বেঞ্চ থেকে গত ১ মাসে ৭৩টি মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে। এর মধ্যে ধর্ষণের মামলা ১৫টি। দেশে বিচারাধীন নারী ও শিশু নির্যাতন মামলা রয়েছে ১ লাখ ৭০ হাজার ৩৬১টি। দ্রুত বিচার শেষ না হলে অপরাধ কমবে না বলে মত আইনজ্ঞদের। 

১৯৮৭ সালে ১০ বছরের বালিকা মাঠে গরু আনতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয়। পরে শিশুটির বাবা ধর্ষক শওকতের বিরুদ্ধে মামলা করেন। শওকতকে ৭ বছরের সাজা দেন বিচারিক আদালত।

১৯৮৯ সালে হাইকোর্টে আপিল করে আসামী। এর পর থমকে যায় বিচারের কার্যক্রম। তবে রাষ্ট্রপক্ষের উদ্যোগে নিষ্পত্তি হয় মামলাটি। ৩১ বছর পর আপিলের রায় আসে। বিচারিক আদালতের সাজা বহাল রাখেন হাইকোর্ট।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সামিরা তারানুম রাবেয়া বলেন, সবচেয়ে পুরনো মামলা ১৯৮৯ সালে ১০ বছরের একটি বালিকা ধর্ষিতা হয় এবং সেই আসামির আপিল খারিজ হয়ে সাজা বহাল রয়েছে। 

মানবাধিকার কর্মী ও আইনজীবী জ্যোর্তিময় বড়ুয়া, দুঃখজনক যে ৩১ বছর পর একটি শিশু ধর্ষণের বিষয়ে রায় এসেছে। এখানে আমি মনে করি যে, আমাদের নিজেদের উদ্যোগী হওয়ার ব্যাপার আছে এবং এটা এক্সিপেডেট করা উচিত। কারণ এতে উভয় পক্ষই ক্ষতিগ্রস্ত।

সংশ্লিষ্ট বেঞ্চে গত ১ মাসে ১৫টি ধর্ষণ মামলাসহ ৭৩টি পুরাতন মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই শাস্তি বহাল রয়েছে বলে জানান রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সামিরা তারানুম রাবেয়া বলেন, অনেকগুলো ধর্ষণ মামলার রায় হয়েছে। বেশির ভাগ মামলারই আপিল খারিজ হয়, আসামীর সাজা বহাল আছে।

পরিসংখ্যান মতে, সারাদেশে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের প্রায় ৩৪ হাজার মামলা ৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে বিচারাধীন। আর উচ্চ আদালতের নির্দেশে স্থগিত মামলা সংখ্যা ১১শ’ ৫৬টি। 

বিচারে দীর্ঘসূত্রতায় হতাশ মানবাধিকার কর্মী ও আইনজীবীরা। নারী শিশু নির্যাতনের মামলার বিচার দ্রুত শেষ করতে হাইকোর্টের আগের নির্দেশনা মেনে মনিটরিং সেল গঠনের তাগিদ দেন তারা।

মানবাধিকার কর্মী ও আইনজীবী জ্যোর্তিময় বড়ুয়া, হাইকোর্ট ডিভিশনের যে গতবছরের ৭ দফা নির্দেশনা, সেগুলোকেও যদি মেনে চলা হয়, যে মনিটরিং কমিটির কথা সেখানে বলা হয়েছিল সে মনিটরিং কমিটি কাজ করে যথাযথভাবে তাহলে আমি মনে করি এক্সিপেডেট করা সম্ভব।

মানবাধিকার কর্মী ও আইনজীবী ফওজিয়া করিম ফিরোজ বলেন, আইন প্রণয়নকারীরা যখন এই আইনটা যে উদ্দেশ্য নিয়ে প্রণয়ন করেছিল সে উদ্দেশ্যের পুরোটা দেখা উচিত ছিল। বেশ অনেকগুলো বছর, প্রায় ১৮ বছর। এই ১৮ বছরের একটা সমীক্ষা করা উচিত ছিল। তা করে পুরো আইনটাকে আপনারা রিভিউ করে সংশোধন করতে পারতেন।

আইন সংশোধন হয়ে ধর্ষণের সাজা মৃত্যুদণ্ড হলেও এসব মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি না হলে অপরাধ কমবেনা বলে মত তাদের।

ভিডিও-

 

এএইচ/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি