মুক্তিযুদ্ধে ব্যবহৃত অস্ত্র বিক্রি-হস্তান্তরে হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা
প্রকাশিত : ১৭:৫০, ২৪ নভেম্বর ২০২০
মুক্তিযুদ্ধের সময় ব্যবহৃত অস্ত্র বিক্রি ও হস্তান্তর থেকে বিরত রাখতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মহিউদ্দিন শামীম সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ এ সংক্রান্ত রিটের শুনানি নিয়ে আজ রুলসহ আদেশ দেন।
‘মুক্তিযুদ্ধের অস্ত্র বেচতে চায় সরকার’ শিরোনামে গত ৫ অক্টোবর একটি জাতীয় দৈনিকে প্রতিবেদন ছাপা হয়। প্রতিবেদনটি যুক্ত করে মুক্তিযুদ্ধের সময় ব্যবহৃত অস্ত্র ও আগ্নেয়াস্ত্রগুলো জাতীয় ঐতিহ্য হিসেবে সংরক্ষণের নির্দেশনা চেয়ে সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী জেড আই খান পান্না এবং আইন ও সালিশ কেন্দ্রের পক্ষে ১৫ নভেম্বর একটি রিট পিটিশন দাখিল করা হয়।
আজ মঙ্গলবার আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী শামছ্ উদ্দিন বাবুল। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী সৈয়দা নাসরিন ও মো. শাহিনুজ্জামান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী।
শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট নির্দেশনাসহ আদেশ দেন। আদেশে মুক্তিযুদ্ধের সময় ব্যবহৃত অস্ত্র ও আগ্নেয়াস্ত্রগুলো জাতীয় ঐতিহ্য হিসেবে সংরক্ষণে কী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে, তা জানিয়ে বিবাদীদের ছয় মাসের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
মুক্তিযুদ্ধের সময় ব্যবহৃত অস্ত্র ও আগ্নেয়াস্ত্রগুলো বিক্রি ও হস্তান্তরের কার্যক্রম কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত। মুক্তিযুদ্ধের সময় ব্যবহৃত অস্ত্র ও আগ্নেয়াস্ত্রগুলো জাতীয় ঐতিহ্য হিসেবে সংরক্ষণে অবিলম্বে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না- রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ওই সব অস্ত্র ও আগ্নেয়াস্ত্র মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে বা মুক্তিযুদ্ধ সংশ্লিষ্ট অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানে হস্তান্তরের জন্য কেন নির্দেশ দেয়া হবে না- এ মর্মেও রুল দিয়েছেন হাইকোর্ট।
প্রতিরক্ষা সচিব, অর্থ সচিব, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ও বাণিজ্য সচিবকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, মুক্তিযুদ্ধের সময় ব্যবহৃত হয়েছে এমন আগ্নেয়াস্ত্রগুলো সরকার বেচে দিতে চায়। সরকারের যুক্তি হচ্ছে এগুলো পুরোনো, অপ্রচলিত এবং যুদ্ধাস্ত্র হিসেবে অকার্যকর।
এসি
আরও পড়ুন