ছাত্রাবাসে গণধর্ষণের ঘটনায় ৮ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট
প্রকাশিত : ১৩:০৬, ৩ ডিসেম্বর ২০২০ | আপডেট: ১৩:০৭, ৩ ডিসেম্বর ২০২০
সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে স্বামীকে আটকে রেখে তরুণীকে দলবেঁধে ধর্ষণের ঘটনার দায়ের করা মামলায় অবশেষে চার্জশিট দাখিল করেছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার আটজনকে অভিযুক্ত করে এই চার্জশিট আদালতে দাখিল করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। মামলায় প্রধান অভিযুক্ত হিসেবে দেখানো হয়েছে সাইফুর রহমানকে।
আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে সিলেটের চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবুল কাশেমের আদালতে এ চার্জশিট দাখিল করা হয়। সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার নিশারুল আরিফ গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশের ভাষ্যমতে, অভিযুক্ত ৮ আসামির মধ্যে ছয়জনের বিরুদ্ধে সরসারি ধর্ষণে অংশ নেয়া ও বাকি দুইজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণে সহায়তার প্রমাণ পেয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তা। ধর্ষণে সরাসরি যুক্ত আসামিরা হল- মো. আইনুদ্দিন ও মিসবাউল ইসলাম রাজন, সাইফুর রহমান, শাহ মো. মাহবুবুর রহমান রনি, তারেকুল ইসলাম তারেক, অর্জুন লস্কর।
আর ধর্ষণে সহায়তাকারী দুই অভিযুক্ত মো. রবিউল হাসান ও মাহফুজুর রহমান মাসুম। তাদের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে অভিযোগপত্র তৈরি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এর আগে মামলার আসামিদের ডিএনএ টেস্টের প্রতিবেদন না পাওয়ায় চার্জশিট দাখিলে বিলম্ব হয় বলে জানায় পুলিশ। গত রোববার ডিএনএ টেস্টের রিপোর্টটা হাতে পায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এতে আসামিদের শনাক্ত করতে পেরেছে পুলিশ।
উল্লেখ্য, গত ২৫ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় স্বামীর সঙ্গে এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে বেড়াতে গিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন ২৫ বছর বয়সী ওই তরুণী। অভিযুক্তরা সবাই ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তারা স্বামীকে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে ধর্ষণ করেন।
এ ঘটনায় ওই রাতেই স্বামী বাদী হয়ে ছয়জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও ৩-৪ জনকে আসামি করে নগরীর শাহপরান থানায় মামলা করেন। ঘটনাটি দেশজুড়ে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করলে সরকারের উচ্চ মহলের নির্দেশে আসামিদের ধরতে অভিযান চালায় পুলিশ ও র্যাব।
১ ও ৩ অক্টোবর সিলেটের বিভিন্ন স্থান থেকে এজাহারভুক্ত আসামি সাইফুর রহমান, তারেকুল ইসলাম ওরফে তারেক, শাহ মাহবুবুর রহমান ওরফে রনি, অর্জুন লস্কর, রবিউল ইসলাম ও মাহফুজুর রহমান ওরফে মাসুম এবং সন্দেহভাজন আসামি মিসবাউর রহমান ওরফে রাজন ও আইনুদ্দিন নামের আরও দুই যুবককে গ্রেপ্তার করে। তারা সবাই এমসি কলেজ ছাত্রলীগের সঙ্গে যুক্ত বলে জানা যায়।
বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ডে থাকাকালে আসামিদের মধ্যে সাইফুর, তারেক, রনি ও অর্জুন ধর্ষণের কথা স্বীকার করেন। ধর্ষণে সহায়তার কথা স্বীকার করেন রবিউল ও মাহফুজুর। অন্য দুজনও স্বীকারোক্তি দেন।
এআই/এসএ/
আরও পড়ুন