আয়াজ হত্যা
একজনের আমৃত্যু কারাদণ্ড, ৫ জনের যাবজ্জীবন
প্রকাশিত : ১৫:৫৬, ১০ ডিসেম্বর ২০২০
গভর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি স্কুলের ছাত্র আয়াজ হককে পিটিয়ে ও ছুরিকাঘাতে হত্যার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় এক ছাত্রের আমৃত্যু সশ্রম কারাদণ্ড ও পাঁচজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। আসামিরা সবাই সিটি কলেজের ছাত্র।
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ইকবাল হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন।
রায়ে আসামি ইনজামামুন ইসলাম ওরফে জিসানকে আমৃত্যু সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়। এছাড়া যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হচ্ছে- তৌহিদুল ইসলাম, মশিউর রহমান আরাফ, তৌহিদুল ইসলাম শুভ, আবু সালেহ মো. নাসিম ও আরিফ হোসেন রিগ্যান।
রায় ঘোষণার আগে কারাগারে আটক আসামি ইনজামামুন ইসলাম ওরফে জিসান ও তৌহিদুল ইসলামকে আদালতে হাজির করা হয়। তবে এ মামলায় মশিউর রহমান আরাফ, তৌহিদুল ইসলাম শুভ, আবু সালেহ মো. নাসিম ও আরিফ হোসেন রিগ্যান পলাতক রয়েছে।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১৪ সালের ৯ জুন সিটি কলেজের প্রীতি ফুটবল টুর্নামেন্টের প্রস্তুতি ও খরচ বাবদ টাকা তোলার বিষয় নিয়ে আয়াজের বড় ভাই সিটি কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আশদিন হকের সাথে আসামিদের কথা কাটাকাটি ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে ওইদিন বিকেলে ধানমন্ডি থানাধীন জিগাতলায় যাত্রী ছাউনির কাছে আয়াজকে একা পেয়ে আসামিরা পরস্পরের যোগসাজশে মারপিট ও ছুরিকাঘাত করে মারাত্মক জখম করে।
এরপর আয়াজকে চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ছেলে আয়াজ হত্যার ঘটনায় তার বাবা আইনজীবী শহীদুল হক ২০১৪ সালের ৯ জুন ধানমণ্ডি থানায় সিটি কলেজের বাণিজ্য বিভাগের ছয় ছাত্র ইনজামামুন ইসলাম ওরফে জিসান, তৌহিদুল ইসলাম, মশিউর রহমান আরাফ, তৌহিদুল ইসলাম শুভ, আবু সালেহ মো. নাসিম ও আরিফ হোসেন রিগ্যানের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ১০ থেকে ১২ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন৷
এরপর ২০১৫ সালের ১৩ মে ধানমন্ডি থানার এসআই সাহিদুল বিশ্বাস ৪৭ জনকে সাক্ষী করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০১৬ সালের ২৪ নভেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচারের আদেশ দেন আদালত।
বিচার চলাকালে বিভিন্ন সময়ে আদালত ১৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন।
এএইচ/এসএ/
আরও পড়ুন