ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪

সিনহা হত্যায় আসামি সাগর দেব’র বিরুদ্ধে পরোয়ানা

কক্সবাজার প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১৪:৪৩, ২১ ডিসেম্বর ২০২০

কক্সবাজারের টেকনাফের বাহারছড়ায় পুলিশের গুলিতে নিহত অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলার চার্জশিট গ্রহণ করেছেন আদালত। একইসঙ্গে এই মামলার পলাতক আসামি টেকনাফ থানার সাবেক এএসআই সাগর দেবের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।

আজ সোমবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে কক্সবাজারের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম তামান্না ফারাহ এ আদেশ দেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এডভোকেট ফরিদুল আলম বলেন, গত ১৩ ডিসেম্বর র‍্যাবের তদন্ত কর্মকর্তার দেয়া চার্জশিট আজ গ্রহণ করেছে আদালত। একইসঙ্গে এ মামলার পলাতক আসামি এএসআই সাগর দেবের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করেছে। এছাড়াও টেকনাফ থানা পুলিশের দায়ের করা মামলার আসামি সিফাত ও শিপ্রাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।

দীর্ঘ চার মাস আট দিন তদন্ত শেষে টেকনাফ থানার আলোচিত ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ ১৫ জনকে আসামি করে চার্জশিট দেন র‍্যাবের তদন্ত কর্মকর্তা মো. খায়রুল ইসলাম। এতে এএসআই সাগর দেব পলাতক রয়েছেন বলে উল্লেখ করা হয়।

প্রসঙ্গত, গত ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে গাড়ী তল্লাশীকে কেন্দ্র করে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান।

এ ঘটনায় গত ৫ আগস্ট নিহত সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস বাদী হয়েছে বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের সাবেক ইনচার্জ পরিদর্শক লিয়াকত আলীকে প্রধান আসামি করে টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ ৯ জন পুলিশ সদস্যকে আসামি করা হয়। আদালত মামলাটির তদন্ত করার আদেশ দেন র‌্যাবকে।

এরপর গত ৬ আগস্ট প্রধান আসামি লিয়াকত আলী ও টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ ৭ পুলিশ সদস্য আদালতে আত্মসমর্পণ করেন।

পরবর্তীতে সিনহা হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার সংশ্লিষ্টতা পাওয়ার অভিযোগে পুলিশের দায়ের মামলার ৩ জন সাক্ষী এবং শামলাপুর চেকপোস্টের দায়িত্বরত আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়ানের (এপিবিএন) ৩ সদস্যকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। এছাড়া একই অভিযোগে পরে গ্রেপ্তার করা হয় টেকনাফ থানা পুলিশের সাবেক সদস্য কনস্টেবল রুবেল শর্মাকেও।

মামলায় গ্রেপ্তারকৃত ১৪ আসামিকে র‌্যাবের তদন্তকারী কর্মকর্তা বিভিন্ন মেয়াদে রিমাণ্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। এদের মধ্যে টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও কনস্টেবল রুবেল শর্মা ছাড়া ১২ জন আসামি আদালতে ঘটনার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

এনএস/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি